মহানগরীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও পেশাদারির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. সাজ্জাত আলী। তিনি বলেন, কোনো অপরাধী যেন ছাড় না পায়, তাদের কঠোরভাবে দমন করতে হবে। গতকাল মঙ্গলবার রাজারবাগে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে জুন-২০২৫ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সভাপতির বক্তব্যে কমিশনার এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ইউনিট প্রধানের প্রধান দায়িত্ব হলো নিজ ইউনিটকে দক্ষতা ও সুন্দরভাবে পরিচালনা করা। সবাইকে দায়িত্ববোধ ও আগ্রহের সঙ্গে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, নিয়মিত টহল জোরদার, অপরাধপ্রবণ এলাকায় নজরদারি বাড়ানো, চেকপোস্ট পরিচালনা করা, মামলা তদন্তে অগ্রগতির পাশাপাশি মামলা নিষ্পত্তির হার বাড়াতে হবে। চোরাই গাড়ি উদ্ধার, মাদক উদ্ধার ও ওয়ারেন্ট তামিলে আরও তৎপর হতে হবে।
সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ বলেন, ওয়ারেন্ট তামিল ও মামলা তদন্তের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা করে কাজ করতে হবে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের সঙ্গে সহযোগিতা করে জনবান্ধব পুলিশিং নিশ্চিত করতে হবে।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলা তদন্ত ও নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের আরও তদারকি বাড়াতে হবে।
সভায় যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেন জুন-২০২৫ মাসের সার্বিক অপরাধ পরিস্থিতি যেমন- ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি, সিঁধেল চুরি, খুন, অপমৃত্যু, সড়ক দুর্ঘটনা, নারী ও শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ, মাদকদ্রব্য ও অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন মামলাসংক্রান্ত তথ্য উপস্থাপন করেন।
মাসিক অপরাধ সভায় জুনে ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার। এতে জুনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে উত্তরা বিভাগ। একই সঙ্গে শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে মোহাম্মদপুর থানা। পাশাপাশি সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসান।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার এসআই ফরহাদ হোসেন ও ভাটারা থানার এসআই মো. বিল্লাল ভুইয়া। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন মোহাম্মদপুর থানার এএসআই রকিবুল হাসান ও যাত্রাবাড়ী থানার এএসআই মো. আক্তারুজ্জামান ম-ল পলাশ।
গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে ডিবি-লালবাগ বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন ডিবি-লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার এনায়েত কবীর সোয়েব।
ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ওয়ারী ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট এস এম হাসান মাহমুদ ও বাড্ডা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট দেবপ্রিয় বড়ুয়া।
আপনার মতামত লিখুন :