বাংলাদেশের সামনে হংকংকের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। আগামী ৯ ও ১৪ অক্টোবর হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচ দুটি খেলবেন হামজা, শমিত, জামালরা। এশিয়ান কাপের বাছাইপর্ব সামনে রেখে ৬ ও ৯ সেপ্টেম্বর ফিফা উইন্ডোতে নেপালের বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। অবশ্য আগেই অল নেপাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (আনফা) এ দুটি ম্যাচের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিল। নেপালের পক্ষ থেকে বিষয়টি প্রকাশ করা হলেও সেপ্টেম্বর ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষের বিষয়টি খোলাসা করেনি বাফুফে। ভিয়েতনাম বিকল্প হিসেবে কাজ করলেও শেষ পর্যন্ত নেপালের বিপক্ষেই খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুটবল ফেডারেশন। গত বৃহস্পতিবার রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নেপালের কাঠমান্ডুতে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলার বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে বাফুফে।
সেপ্টেম্বরের ফিফা উইন্ডোতে এশিয়ার বাইরের কোনো দলের বিপক্ষে খেলার পরিকল্পনা করেছিল বাফুফে জাতীয় দল কমিটি। ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার ২৭টি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বাফুফে। ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলো সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের খেলা থাকায় প্রীতি ম্যাচ খেলতে অপরাগতা প্রকাশ করে। শ্রীলঙ্কায় বাফুফে চার জাতি টুর্নামেন্ট খেলতে সম্মত থাকলেও পরে শ্রীলঙ্কা ফুটবল ফেডারেশন সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করে। বাফুফে ১৮ জুন নেপালের সঙ্গে খেলার আমন্ত্রণ পাঠায়। দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনার পর ২ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে দুই পক্ষ দুই ম্যাচ খেলার সম্মতি দেয়। নেপাল ম্যাচ খেলার সম্মতি প্রদানের পর ভিয়েতনাম ১১ জুলাই বাফুফেকে দুটি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলার আমন্ত্রণ জানায়। তখনই সংকটে পড়ে বাফুফে। ৯ অক্টোবর এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলার আগে শক্তিশালী ভিয়েতনামের সঙ্গে খেলার চেষ্টা করে বাফুফে। নেপালের সঙ্গে চূড়ান্ত হওয়ায় বাফুফে চেষ্টা করেছিল কম্বোডিয়াকে নেপালে এনে খেলানোর ব্যবস্থা করার। কম্বোডিয়া নেপালে যেতে আগ্রহী না হওয়ায় বাফুফে আর ভিয়েতনামের সঙ্গে খেলার বিষয়টি এগোতে পারেনি। জাতীয় দল কমিটির সভা করে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নেপালের সঙ্গেই সেপ্টেম্বর উইন্ডোতে দুটি ম্যাচ খেলার ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাফুফে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে পূর্বে সম্মতি প্রদান এবং আঞ্চলিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বিষয়টি উল্লেখ করেছে। বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হংকং, চীন-জাপানের মতো শক্তিশালী দলের সঙ্গে খেলছে। সেখানে বাংলাদেশ সেপ্টেম্বরে প্রায় সমশক্তির নেপালের বিরুদ্ধে লড়বে। নেপালের বিপক্ষে খেলে র্যাংকিংয়ে ৩০ ধাপ এগিয়ে থাকা হংকংকে কতটুকু মোকাবিলা করা যাবে, সেটা বড় প্রশ্নই। কারণ জুনে ভুটানকে ২-০ গোলে হারিয়ে সিঙ্গাপুরের বিরুদ্ধে ১-২ গোলে হেরেছিল।
আপনার মতামত লিখুন :