মঙ্গলবার, ২২ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


চট্টগ্রাম ব্যুরো ও রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০৩:০৬ এএম

বললেন নাহিদ ইসলাম

প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো রয়ে গেছে

চট্টগ্রাম ব্যুরো ও রাঙামাটি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০৩:০৬ এএম

প্রশাসনের বিভিন্ন স্থানে স্বৈরাচারের দোসররা এখনো রয়ে গেছে

প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। গতকাল রোববার সকালে চট্টগ্রামে স্টেশন রোড এলাকায় একটি মোটেলে জুলাই শহিদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা শহিদ পরিবারের কাছে কোনো দল হিসেবে আসিনি। আমরা এসেছি- অভ্যুত্থানে আমরা ছিলাম, আপনাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে ছিল, সে জায়গা থেকে। দল-মতের ঊর্ধ্বে সবাইকে একটি পরিবার মনে করি। অবশ্যই শহিদ পরিবারদের-শহিদদের কোনো দল হয়নি, এটা আমরা মনে করি। তারা পুরো বাংলাদেশের, দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।’

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, ‘আমরা যখন সরকারে ছিলাম, তখন শহিদ পরিবারগুলো নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম চাপ তৈরি করেছি। দেখা যাচ্ছে, উদ্যোগগুলো মাঠ পর্যায়ে পৌঁছায়নি বা পৌঁছাতে দেরি করছে এবং সেখানে অনেক ধরনের ঝামেলা এখনো হয়।’

নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা আছে। সেখানে শহিদ পরিবারগুলো যে সম্মান পাওয়ার কথা, তা পাচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন জায়গায় সে অভিযোগগুলো পাচ্ছি। তবে দলের পক্ষ থেকে শহিদ কল্যাণ-আহত সেল থেকে তাদের কল্যাণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।’

শহিদদের পরিবারের সাথে নাহিদ ইসলামের কথা বলার সময় এনসিপির কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। 
এদিকে গতকাল রাঙামাটির বনরূপায় আয়োজিত পদযাত্রা শেষে এক সমাবেশে অংশ নেন নাহিদ ইসলাম। এ সময় তিনি নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে সব জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে নতুন সংবিধান প্রণয়নের দাবি জানান। 

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আমরা পদযাত্রা নিয়ে দেশের প্রতিটি জনপদে যাচ্ছি, প্রতিটি জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছাতে চাই। পার্বত্য চট্টগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে বিভাজন ও অশান্তি জিইয়ে রাখা হয়েছে, একটি গোষ্ঠী তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য এটা করে যাচ্ছে। আমরা সেই সুযোগ আর দিতে চাই না।’

তিনি আরও বলেন, ‘মুজিববাদী সংবিধানে দেশের সব জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ ছিল না। তাই এর বিরোধিতা করেছিলেন পার্বত্য অঞ্চলের নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা। আজও সেই সংকট বিদ্যমান। আমরা চাই একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নতুন সংবিধান যেখানে সব ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষ সমান অধিকার পাবে।’

সমাবেশে এনসিপির মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেন, ‘আমলাতান্ত্রিক রাষ্ট্রে আজও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পার্বত্য অঞ্চলে বদলি করে দায় এড়ানো হয়। এতে তারা সেখানকার পরিবেশ আরও দূষিত করছে। দুর্নীতিবাজদের বদলি নয়, আইনের আওতায় আনতে হবে। পাহাড় যেন কারো ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহারের জায়গা না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

দলটির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই মুহূর্তে দরকার বিচার এবং সংস্কার। পাহাড়-সমতল নয়, লড়াই হবে একসঙ্গে। সম্প্রীতি আর সৌহার্দ্য নিয়ে আমরা চাই একটি সমন্বিত সমাজ।’
এ ছাড়া ডা. তাসনিম জারা বলেন, ‘আমরা এমন এক নতুন বাংলাদেশ চাই, যেখানে কোনো বৈষম্য থাকবে না। সবার অধিকার সংরক্ষিত থাকবে।’

সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা ধর্ম, জাতি কিংবা বর্ণের বিভেদ চাই না। সবাই যেন শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করতে পারে, সেটাই আমাদের লক্ষ্য।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন এনসিপির নেতৃবৃন্দ, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সাধারণ জনগণ।সারজিস ক্ষমা না চাইলে বান্দরবানে এনসিপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা‘দুর্নীতিবাজদের বান্দরবান পাঠানোর দায়িত্ব আমাদের’ এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলমকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বান্দরবানের ‘ছাত্র সমাজ’। অন্যথায় বান্দরবানে এনসিপির সব কার্যক্রম ‘সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।

গতকাল রোববার সকালে বান্দরবান প্রেসক্লাবের কনফারেন্সরুমে বান্দরবানের ছাত্রসমাজের ব্যানারে এক সংবাদ সম্মেলনে এই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের বান্দরবান জেলা সভাপতি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বান্দরবানের অন্যতম ছাত্র প্রতিনিধি আসিফ ইকবাল বলেন, যেসব সরকারি কর্মকর্তা ‘শাস্তিস্বরূপ বদলি’ হিসেবে বান্দরবানে দীর্ঘদিন ধরে নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের দ্রুত প্রত্যাহার করতে হবে এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের অপমানজনক বদলির চর্চা বন্ধ করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে ‘বিপজ্জনক’ বা ‘চাঁদাবাজ/দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের জায়গা’ হিসেবে উপস্থাপন রোধে সরকারকে কঠোর ও কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ের ‘জুলাই পদযাত্রা’ চলাকালে এনসিপি নেতা সার্জিস আলম একটি বক্তব্যে বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই মন্তব্য শুধু দুঃখজনক নয়Ñ এটি চরম নিন্দনীয়, অবমাননাকর ও প্রত্যাখ্যানযোগ্য। এ ধরনের কটূক্তি একটি জেলার মর্যাদাকে হেয় করার পাশাপাশি গোটা পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রতি রাষ্ট্রীয় বৈষম্য ও অবহেলার নগ্ন বহিঃপ্রকাশ।

ছাত্র নেতৃবৃন্দ জানান, বিষয়টি জানার পর আমরা স্থানীয় এনসিপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা আমাদের আশ্বস্ত করেন, ১৯ জুলাই বান্দরবানে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ অনুষ্ঠানে সারজিস আলম জনসম্মুখে ক্ষমা চাইবেন। কিন্তু বাস্তবে ঘটে তার বিপরীত। তিনি ১৯ জুলাই অনুষ্ঠানে উপস্থিতই ছিলেন না এবং দলের কোনো কেন্দ্রীয় নেতা এই বিষয়ে একবাক্যও বলেননি। বরং অনুষ্ঠান শেষে আমরা মঞ্চে গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিষয়টি স্মরণ করালে তারা কর্ণপাত না করে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!