সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


শাহীনুর ইসলাম শানু

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ১১:৫৩ পিএম

এনআরবিসি ব্যাংক দুর্নীতিতে মানিকজোড় তমাল-আদনান ইমাম

শাহীনুর ইসলাম শানু

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২৫, ১১:৫৩ পিএম

এনআরবিসি ব্যাংক দুর্নীতিতে মানিকজোড় তমাল-আদনান ইমাম

  • নিয়োগ বাণিজ্যসহ নামে-বেনামে দুজনই নিয়েছেন হাজার কোটি টাকা ঋণ
  • লুটপাট করেছেন সাত হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি
  • দেশে পারভেজ তমালের রয়েছে ৯০৫ কোটি টাকার সম্পদ। ফিনল্যান্ডে ১৫০০ কোটি টাকার হাউজিং ব্যবসা এবং আমিরাতে ৯০০ কোটি টাকার সম্পদ
  • পাচারের টাকায় আদনান ইমাম যুক্তরাজ্যে ৩৪টির বেশি ফ্ল্যাট কিনেছেন যার মূল্য একশ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি
  • ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হওয়ায় চলছে ৩টি মামলা
  • স্যাংশন থাকায় রাশিয়াতে ফিরতে পারেননি পারভেজ তমাল
  •  লন্ডনে পরিবারের সঙ্গে আবাসন ব্যবসায়ী আদনান ইমাম

চতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন এস এম পারভেজ তমাল এবং নির্বাহী পর্ষদের চেয়ারম্যান আদনান ইমাম। তাদের সঙ্গে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে ছিলেন আরও ৭ উদ্যোক্তা-পরিচালক। বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে বৈষম্যরিবোধী আন্দোলনের পরে দুজনের ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। তবে বিদেশযাত্রায় আদালত নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগেই গোপনে দেশান্তরি হন তারা। অভিযোগ রয়েছে, আর্থিক দুর্নীতির মাধ্যমে দুজনেই অঢেল সম্পদ কামিয়েছেন। বলা চলে, দুর্নীতিতে তারা ছিলেন মানিকজোড়। তারা এক সঙ্গে লুটপাট করেছেন সাত হাজার ৭০০ কোটি টাকারও বেশি।

দৃশ্যত এখনো এনআরবিসি ব্যাংকের সাবেক পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। যে কারণে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি সুনির্দিষ্ট সাতটি বিষয় উল্লেখ করে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দিয়েছেন এনআরবিসির উদ্যোক্তা পরিচালক সুনাইউর আলী। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক, বিএফআইইউয়ের অনুসন্ধান, সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে এনআরবিসি ব্যাংকে ‘ফরেনসিক অডিট’ চলমান। অডিট রিপোর্টের সুপারিশ অনুসারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে বলে জানানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে। 

এদিকে, সরকার পতনের পরে রাশিয়ায় ‘স্যাংশন’ থাকায় সেখানে ফিরতে পারেননি এস এম পারভেজ তমাল। তবে বর্তমানে তিনি অবস্থান করছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের নাগরিক ও ব্যবসায়ী আদনান ইমাম তার পরিবার নিয়ে এখন লন্ডনে আছেন। তবে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের মোট ৯ জনের মধ্যে বেশি সম্পদ রয়েছে আদনান ইমামের। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি জেনেক্স ইনফোসিসের বর্তমান চেয়ারম্যানও তিনি। অন্যদিকে ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেসের (এফআইএসডি) ২০২২ সালে তাদের সম্পর্কে প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। সেই প্রতিবেদন অনুসারে ব্যাংক লুটের দায়ে পরিচালনা পর্ষদের ৯ জন জড়িত হলেও এখনো ব্যবস্থা নেয়নি বাংলাদেশ ব্যাংক। শাস্তি হিসেবে শুধু স্ত্রীসহ তাদের ব্যাংক হিসাব স্থগিত ও বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। 

আদনান ইমাম অবৈধ পন্থায় নিজের আইপিই গ্রুপের কর্মীর নামে ও ১৩টি ব্যাংক থেকে ২৪৬৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে গত বছরের ৭ আগস্ট দেশান্তরি হন। একইসঙ্গে রাজস্ব আদায়ের যন্ত্রাংশ প্রদানে এনবিআরের সঙ্গে চুক্তিও ভঙ্গ করেন। পুঁজিবাজার লুটেরাদের শীর্ষে ছিলেন বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড এবং সংযুক্ত আবর আমিরাতের ধনাঢ্য এই আবাসন ব্যবসায়ী। 

অন্যদিকে পারভেজ তমালের সম্পদ কম হলেও দুর্নীতি ডুবে ছিলেন তারা একসঙ্গে। অনুসন্ধানে জানা যায়, আয়ের বেশির ভাগ অর্থ আদনান ইমাম করেছেন বিদেশে পাচার। আর পারভেজ তামাল দেশেই বেশি বিনিয়োগ করেন। এর মধ্যে দেশে প্রায় এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ কিনেন এবং বিদেশেও প্রায় ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে তার। রাজধানী ঢাকা একাধিক বাড়ি এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সম্পদ কিনেছেন তমাল। তবে ফিনল্যান্ড এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে রয়েছে প্রায় আড়াই হাজার কোটি টাকার সম্পদ। 

বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে রাশিয়া তাকে স্যাংশন দিলে বাংলাদেশে অবস্থান নেয় তমাল। চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংকের সঙ্গে মিল রেখে অবৈধভাবে ব্যাংকে ‘এনআরবি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড’ নামে কোম্পানি তৈরি এবং এনআরবিসি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি করে চূড়ান্ত লুটের দিকে অগ্রসর হয়। এরপর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় টাকা অবৈধভাবে আয় করতেন তারা। মানবসম্পদ, নিরাপত্তা প্রহরী এবং সাপোর্ট স্টাফ নিয়োগের মাধ্যমে (বিআরপিডি সার্কুলার নং-১৪) অনুসারে ৩ হাজার ১৭৪ জনকে নিয়োগ দেয় এনআরবি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেসের (এফআইএসডি) গোপন প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।

এ প্রতিবেদকের হাতে আসা গোপন প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, ব্যাংকে কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে বিধিসম্মত উপায় মানা হয়নি। এমনকি ব্যাংক নির্ধারিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মে আবেদন করার তথ্যও পাওয়া যায়নি। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া প্রার্থীরা ব্যাংকের চেয়ারম্যান তমালকে ৬ লাখ টাকা করে দেন। তার মধ্যে ৫ লাখ টাকা অগ্রিম দেওয়া হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এভাবে লোক নিয়োগের মাধ্যমেই তারা তমাল-ইমাম মানিকজোড় কামিয়েছেন হাজার কোটি টাকা।

এফআইএসডির অভিযোগ:

২০২২ সালে এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পারভেজ তমালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আনায়নপূর্বক ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের আবেদনের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের এফআইএসডির বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদন-২০২২ প্রকাশ করে। প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, এনআরবিসি ম্যানেজমেন্ট নামক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে ব্যাংকে গার্ড, পিয়ন ও চুক্তিভিত্তিক লোক নিয়োগ দেওয়া এবং ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পর্ষদ চেয়ারম্যানসহ ৯ জন পরিচালকের জড়িত হন।

এনআরবিসি ম্যানেজমেন্টকে সার্ভিস চার্জ প্রদানের মাধ্যমে ব্যাংকের মুনাফা কমিয়ে আনাসংক্রান্ত অনিয়ম, ব্যাংক-কোম্পানির প্রকিউরমেন্ট তথা পণ্য, সেবা ইত্যাদি ক্রয় ও সংগ্রহ কার্যক্রমে ব্যাংকের পরিচালক ও পরিচালকদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টতাসংক্রান্ত অনিয়ম করেন তারা। ব্যাংকের নিজস্ব বিধিমালা লঙ্ঘন করে সেবা ক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়ম এবং একইদিনে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা সম্পাদন করে ১০৫ জন কর্মকর্তার অবৈধ নিয়োগ দেয়। পর্ষদের সিদ্ধান্তের বাইরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে পরীক্ষক নিয়োগ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কর্তৃক পরিদর্শক দলকে জ্ঞাতসারে মিথ্যা তথ্য প্রদান, ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালা লঙ্ঘন করে সেবা ক্রয় প্রক্রিয়ায় অনিয়ম, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ন্যূনতম যোগ্যতা না থাকা প্রার্থীদের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করেন তারা।

আবেদন এবং প্রার্থী নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা, ব্যাংকের মাত্র ২৭ জন কর্মকর্তাকে ৫টি থেকে ১৩টি ইনক্রিমেন্ট প্রদান, ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা লঙ্ঘন করে কিছু কর্মকর্তাকে সীমাতিরিক্ত ইনক্রিমেন্ট প্রদান, ব্যাংকের মানবসম্পদ নীতিমালা লঙ্ঘন করে দুজন কর্মকর্তাকে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই পদোন্নতি দিয়েছেন তারা। মানবসম্পদ নীতিমালা লঙ্ঘন করে ব্যাংকিং অভিজ্ঞতাহীন জনবল নিয়োগ, ঋণের অর্থে জমি ক্রয়পূর্বক সেই জমি ঋণের জামানত হিসেবে প্রদান, বাংলাদেশ ব্যাংকের বিধি লঙ্ঘন করে তমাল পারভেজ মতিঝিল ও গুলশানে দুটি অফিস ব্যবহার করেন। 

পারভেজ তমালের সম্পদ

অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর গুলশান-১ এলাকায় পারভেজ তমালের নামে (পুরাতন আড়ং ভবনের পেছনে হাতির ঝিল সংলগ্ন) প্রায় ১ বিঘা জায়গা রয়েছে। যার মূল্য প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এ ছাড়াও রাজধানী নিকুঞ্জ-২ এর দুটি প্লট নিয়ে একটি বাড়ি নির্মাণ করেন, যার মূল্য প্রায় ৫০ কোটি টাকা। উত্তরা ৫ নম্বর সেক্টরে ১ নম্বর রোডে প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করেন একটি ভবন।

এর বাইরে ময়মনসিংহের ভালুকা থানার কাঁঠালি ইউনিয়নের ডালিপাড়ায় (বিদ্যুৎ অফিসের পাশে) ৩০ একরের প্রজেক্ট, যার মূল্য প্রায় ৬৫০ কোটি টাকা। রংপুরের শঠিবাড়ি কলেজের পেছনে ৩ তলা বাড়িসহ রয়েছে ১২ বিঘা জমি, যার মূল্য ১৫ কোটি। বগুড়া জেলার কাহারু থানার জাম গ্রামে রয়েছে ৪০ বিঘা আয়তনের মাছের প্রজেক্ট। যার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা। এ ছাড়া গাইবান্ধায় বান্ধবী মণির নামে ৩০০ বিঘা জমি রয়েছে, যার মূল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। এ ছাড়া দুটি রেঞ্জ রোভার গাড়ি ছাড়াও ৩০টি মডেলের গাড়ি ব্যবহার করতেন তমাল। এসবের মোট মূল্য ৯০৫ কোটি টাকা। এ ছাড়াও ফিনল্যান্ডে ১৫০০ কোটি টাকার হাউজিং ব্যবসা এবং সংযুক্ত আবর আমিরাতে প্রায় ৯০০ কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। 

আদনান ইমামের সম্পদ: জানা যায়, পাচারের টাকায় যুক্তরাজ্যে ৩৪টির বেশি ফ্ল্যাট কিনেছেন এই আবাসন ব্যবসায়ী। যার মূল্য একশ বিলিয়ন পাউন্ডের বেশি। সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের চেয়ে বেশি সম্পদ দুবাইয়ে অর্জন করেন তিনি। আগে থেকে ব্যবসায়ী হওয়ায় দুবাইয়ে শত বিলিয়ন ডলারের ভিলা ও কটেজ স্ত্রী নাদিয়া মোমিন ইমামের নামে কিনেছেন। আমেরিকায় তার প্রচুর সম্পদ রয়েছে বলে বিশেষ সূত্র নিশ্চিত করেছে।

একই সঙ্গে তিনি ঢাকার উত্তরা, গুলশান, চট্টগ্রামের খুলশি, পাহাড়তলী ও গ্রামের বাড়ি পটিয়াতেও ভূসম্পদ কেনেন। অর্থপাচার মামলায় ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা ইউনিট ও এনবিআর অনুসন্ধান করছে।

যুক্তরাজ্যের নাগরিক আদনান ইমাম মোট ১৪৩১ কোটি ঋণের মধ্যে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) থেকে ৯৬৩ কোটি টাকা নিয়েছেন। তার মধ্যে মোট ৯০৫ কোটি টাকা ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপি হওয়ায় তিনটি মামলা করেছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। ঋণের মধ্যে এডব্লিউআর ডেভেলপমেন্ট (বিডি) লিমিটেডের মাধ্যমে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক থেকে ৫৭০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। 

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেনেক্সে ইনফোসিস লিমিটেডের নামে ৩৩৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা ইউসিবি থেকে ঋণ গ্রহণ করেন। ঋণ পরিশোধ না করায় এখন ইচ্ছাকৃত খেলাপি এবং অর্থঋণ আদালতে মামলা চলমান। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অর্থঋণ আদালতে রয়েছে আরও দুটি মামলা। তবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) বিশেষ একটি সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা কর অঞ্চল-১৫ থেকে শিগগিরই এ কোম্পানির বিরুদ্ধে শাস্তির ঘোষণা আসছে। কোম্পানিকে আরও মুনাফা উপযোগী করে তুলতে শীর্ষ পদে নেতৃত্বের রদবদলও আসছে বলে জানিয়েছে এনবিআর। 

অভিযোগ সম্পর্কে এনআরবিসি ব্যাংকের অভিযুক্ত সাবেক চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল ও আদনান ইমামের মতামত জানতে তাদের হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সাড়া মেলেনি।

সাবেক পরিচালনা পর্ষদের ৯ সদস্য সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে অযোগ্যতার কারণে। ব্যাংক চালাবে ম্যানেজমেন্ট এবং পর্ষদ দেখবে তারা কোথায় ভুল করছে। পর্ষদ ভেঙে না দিলে আরও পরিস্থিতি খারাপ হতো। সেখানে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট ডিরেক্টর। তাদের নির্মোহতার গুণে ব্যাংকগুলো ভালো করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি অনিয়মের জন্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আছে। যেকোনো ব্যাংক স্বউদ্যোগে ফরেনসিক অডিট করতে পারে। পূর্বের এফআইএসডিসহ অন্য সব সুপারিশকে ভিত্তি করেই আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’   

এদিকে, নামে-বেনামে ব্যাংক টাকা উত্তোলনে সহযোগীরা এখনো ব্যাংকের শীর্ষ পদে অবস্থান করছেন। তাদের সম্পর্কে বর্তমান পর্ষদের অবস্থান সম্পর্কে এনআরবিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা (এমডি) পরিচালক তৌহিদুল আলম খান রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘ব্যাংকে ফরেনসিক অডিট হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে অবগত। অডিট রিপোর্টের সুপারিশ অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

দুর্নীতিতে মানিকজোড়ের বিরুদ্ধে সরকারের তরফ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া না হলেও দুদক, এনবিআরের সেন্ট্রাল ইনটেলিজেন্স ইউনিট (সিআইসি) ও বাংলাদেশ ব্যাংকের বিএফআইইউর সুপারিশ আমলে নেওয়া হবে। তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, সম্পদ জব্দ ও নেত্বত্বে বদল আসছে বলে জানিয়েছে এনবিআর কর্তৃপক্ষ।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!