মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৮:০৬ এএম

বাগদা চিংড়ি মড়ক দিশাহারা চাষিরা

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০২৫, ০৮:০৬ এএম

বাগদা চিংড়ি মড়ক  দিশাহারা চাষিরা

*** কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা

দেশের সাদা সোনাখ্যাত উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে বাগদা চিংড়ি ঘেরে ভয়াবহ মড়ক দেখা দিয়েছে। ভাইরাস, পানি স্বল্পতা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও লাগাতার বৃষ্টির কারণে চাষিরা ভরা মৌসুমেই দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসায় জেলার চাষিরা কোটি কোটি টাকার ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি চিংড়ি উৎপাদনকারী জেলা বাগেরহাটে এবারের মৌসুমের শুরুতেই বাগদা চিংড়ি ঘেরে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে এসেছে।

স্থানীয় চাষিদের অভিযোগ, ভাইরাসের পাশাপাশি অনুকূল পরিবেশ না থাকায় ঘেরে আশঙ্কাজনক হারে চিংড়ি মারা যাচ্ছে। গত বছরের মতো এবারও শুরুতে মানসম্মত পোনা সংকটে পড়েছিলেন চাষিরা। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে লাগাতার বৃষ্টি ও হঠাৎ তাপমাত্রার পরিবর্তন। সব মিলিয়ে চাষাবাদে নেমে এসেছে ভয়াবহ ধস।

চিতলমারী উপজেলার চিংড়ি চাষি চন্দন ম-ল বলেন, প্রথমদিকে আমাদের বাগদা চিংড়ি ভালো থাকলেও এখন কোনো মাছ পাচ্ছি না।

চাকশ্রী বাজারের চাষি মো. শাহজাহান বলেন, গত বছর এ সময় ৪০-৫০ কেজি চিংড়ি ধরতাম। এখন জাল ফেললে প্রায় খালি উঠে আসে। লাখ টাকার পোনা দিয়েছি, অথচ ঘেরে এখন শূন্য অবস্থা।

জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির তৌহিদুর রহমান সুমন জানান, বাগদা চিংড়ি মারা যাওয়ার সঠিক কারণ উদ্ঘাটনে আমরা চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতা চাইছি। বিজ্ঞানভিত্তিক রোগ নির্ণয় ছাড়া সমাধান সম্ভব নয়।

বাগেরহাট চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার ড. মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ঘেরের পানি ও মাটি সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় করা হবে। দ্রুত ফলাফল জানানো হবে, যাতে চাষিরা সঠিক ব্যবস্থা নিতে পারেন।

অন্যদিকে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, ভাইরাসের পাশাপাশি পানি স্বল্পতা, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা ও লাগাতার বৃষ্টির কারণে নোনা পানির চিংড়ি মারা যাচ্ছে। আমরা চাষিদের পরিকল্পিতভাবে পোনা নির্বাচন, ঘের প্রস্তুতি ও পানি ব্যবস্থাপনা করার পরামর্শ দিচ্ছি।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জেলায় ৫১ হাজার ১৫৯ হেক্টর জমিতে ৪৬ হাজার ৩১৩টি বাগদা চিংড়ি ঘের রয়েছে। গত অর্থবছরে এ জেলায় উৎপাদিত বাগদা চিংড়ির পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৯৪০ টন। তবে এবার উৎপাদন গত বছরের তুলনায় অনেক কম হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। চাষিদের ভাষ্যে, যদি দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া না হয় তবে চলতি মৌসুমে বাগেরহাটের চিংড়ি শিল্প ভয়াবহ সংকটে পড়বে। এতে শুধু চাষিরাই নয়, রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল জাতীয় অর্থনীতিও বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে পারে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!