হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ট্রাম্প বিশ্বাস করেন যে, একটি চুক্তি সম্ভব এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও শান্তি চুক্তি চান।
তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যদি এই প্রক্রিয়া শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়, তবে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।’ সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের জানান, ট্রাম্প ও ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছেন যে, ইউক্রেনের একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী থাকা প্রয়োজন, যা যেকোনো হামলা মোকাবিলায় সক্ষম। শান্তি চুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেনের সেনাদের অস্ত্রের সংখ্যা বা সক্ষমতার ওপর কোনো সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত নয়।
এ ছাড়া তিনি আশা প্রকাশ করেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন আবার যোগাযোগ শুরু করবে এবং দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে ট্রাম্প, পুতিন ও জেলেনস্কির অংশগ্রহণে একটি সম্ভাব্য ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে।
এর আগে বৈঠকের পর জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎসে বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে পুতিনের ফোনালাপ হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, পুতিন দুই সপ্তাহের মধ্যে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে রাজি হয়েছেন।’
তবে ট্রাম্প এও বলেন, বৈঠকের স্থান এখনো নির্ধারিত হয়নি। এই বৈঠকের পর ট্রাম্পকে যুক্ত করে একটি ত্রিপক্ষীয় বৈঠকও হওয়ার কথা রয়েছে।
জেলেনস্কির সঙ্গে দেড় ঘণ্টার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, যুদ্ধবিরতিই নয়, স্থায়ী শান্তি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটি সম্ভব এবং নিকট ভবিষ্যতে বাস্তবায়নযোগ্য।
ট্রাম্প আরও বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে সরাসরি আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই আলোচনার মাধ্যমে সহিংসতা স্থায়ীভাবে বন্ধ করা সম্ভব হবে।
তবে জার্মানির চ্যান্সেলর ফ্রিডরিক মের্ৎস ট্রাম্পের বক্তব্যের সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পরবর্তী বৈঠকে বসার আগে অন্তত যুদ্ধবিরতি থাকা জরুরি। আমরা রাশিয়াকে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকের জন্য চাপ দিতে চাই।
মের্ৎসের সঙ্গে একাধিক ইউরোপীয় নেতার বৈঠকও হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, ফিনল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটোর শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন