চলতি ডিসেম্বরে দ্বিতীয় সপ্তাহে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার। গতকাল সোমবার নারায়ণগঞ্জ বন্দর থানার মদনপুর এলাকায় শাহারা গার্ডেন অ্যান্ড রিসোর্টে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়া ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালা শেষে তিনি সাংবাকিদের এ কথা বলেন।
ইসি মো. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকার চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের জন্য অনুরোধ করেছে। সবকিছু প্রস্তুত, মালামালও ক্রয় করা হয়েছে। আমরা আশ^স্ত করতে চাই ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমরা তপশিল ঘোষণা করব এবং দুই মাস পরে যে তারিখে শিডিউল দেওয়া হবে সে অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আমরা আশা করতে পারি নির্বাচনটা হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সুন্দর নির্বাচন ২০২৬ সালে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আয়োজনে কোনো গাফিলতি হবে না। যেখানে জরিমানা করা দরকার, যেখানে জেল দেওয়া দরকার, ম্যাজিস্ট্রেটরা সব সময় তৎপর থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। নির্বাচনের সময় কোনো পোস্টার থাকবে না। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এই বিষয়ে কঠোর হব। সব প্রার্থীর একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে ইসি বলেন, ‘গণভোটের জন্য আমরা পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়েছি। মক ভোটিংয়ে ভোট কেন্দ্রের রিহার্সাল হয়েছে। এবারের ভোটারদের জন্য নতুন বিষয় একই দিনে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এটা কীভাবে হবে এ নিয়ে অনেকে কনফিউশনে আছে। তবে আমরা ব্যাপকভাবে প্রচার করছি। রেডিও, টেলিভিশন ও ওয়েবসাইটে এগুলো দেখাচ্ছি। তথ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার এটা ব্যাপকভাবে প্রচার করবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মো. হাসানুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. রায়হান কবির, নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মুন্সী, উপসচিব মো. মোস্তফা হাসান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ইউনুচ আলী।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন