মঙ্গলবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১২:২২ এএম

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নামছে দুদক

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৫, ১২:২২ এএম

সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে  অনুসন্ধানে নামছে দুদক

এবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক। যাচাই-বাছাই শেষে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে এ অনুসন্ধান চালানো হবে। দুদকের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুসন্ধানে নামল সংস্থাটি। গতকাল সোমবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের উপপরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম।

দুদক সূত্র জানায়, দুর্নীতির অভিযোগে আলোচিত স্বাস্থ্য খাতের ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর ঘনিষ্ঠ ব্যাবসায়িক সহযোগী ছিলেন ইকবাল মাহমুদের ভাই সাদিক মাহমুদ বকুল। অভিযোগ রয়েছে, মিঠু ও বকুল পরস্পর যোগসাজশে স্বাস্থ্য খাতে নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করলেও ইকবাল মাহমুদের প্রভাবের কারণে তারা দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আলোচিত স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু এবং ইকবাল মাহমুদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ব্যাবসায়িক যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। ইকবাল মাহমুদের ভাই সাদিক মাহমুদ বকুল ছিলেন ঠিকাদার মিঠুর ব্যাবসায়িক সহযোগী। এই সম্পর্কের সুযোগে তারা স্বাস্থ্য খাতে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন। কিন্তু ইকবাল মাহমুদের প্রভাবের কারণে মিঠু ও বকুল দীর্ঘদিন ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঠিকাদার মিঠুর কাছ থেকে ঢাকার গুলশানে দুটি ফ্ল্যাট নিয়েছিলেন ইকবাল মাহমুদÑ এমন অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের বিষয়েও অনুসন্ধান চালানো হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

এ ছাড়া ইকবাল মাহমুদের ভাই সাদিক মাহমুদ বকুলের সম্পদের উৎস, বিদেশে সম্ভাব্য লেনদেন এবং যৌথ ব্যবসার আর্থিক তথ্যও পর্যালোচনা করবে দুদক। স্বাস্থ্য খাতে ‘সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারে’ জড়িত থাকার অভিযোগে গত ১১ সেপ্টেম্বর মিঠুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে দুদক বলছে, স্বাস্থ্য খাতের বিস্তৃত অনিয়ম, পাচারকৃত অর্থ এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সম্পৃক্ততা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। সেই তথ্যের ভিত্তিতেই ইকবাল মাহমুদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিসিএস ১৯৮১ ব্যাচের কর্মকর্তা ইকবাল মাহমুদ একসময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ছিলেন। ২০০৮ সালের জুনে পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন তিনি। পরের বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তাকে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের (বর্তমান জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) সচিব করা হয়। এরপর ২০১২ সালে সরকার ‘সিনিয়র সচিব’ নামে নতুন পদ সৃষ্টি করলে আরও সাতজনের সঙ্গে ইকবাল মাহমুদও ওই পদ পান। তখন তিনি ছিলেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের দায়িত্বে। একই বছরের নভেম্বরে তাকে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) বিকল্প নির্বাহী পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই দায়িত্ব শেষে ২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর ইকবাল মাহমুদ সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। অবসরে যাওয়ার পর ২০১৫ সালের আগস্টে ইকবাল মাহমুদকে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। এরপর ২০১৬ সালের মার্চে বদিউজ্জামানের স্থলাভিষিক্ত হয়ে দুদকের চেয়ারম্যান পদে বসেন ইকবাল মাহমুদ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!