রাজধানীর মোহাম্মদপুরে মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগে গণপিটুনিতে ইয়ামিন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন ফাহিম নামের আরও এক যুবক। গুরুতর অবস্থায় ফাহিমকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেছে পুলিশ। ইয়ামিন ঢাকা উদ্যান এলাকার মাহবুবের ছেলে। গ্রামের বাড়ি ভোলার লালমোহন উপজেলার চরসখিনা এলাকায়। গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউন রোড নং-১২, এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের ওয়াকওয়েতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার এ কে এম মেহেদী হাসান। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ছিনতাই করার সময় দুজন অজ্ঞাতনামা ছিনতাইকরীকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে তারা গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক যুবক মারা যান। অন্যজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন।
এসি মেহেদী হাসান জানান, মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা উদ্যানের শেষ মাথায় মোবাইল ছিনতাই করার সময় স্থানীয় জনতা দুই ছিনতাইকারীকে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে স্থানীয় জনতার সহায়তা তাদের দুজনকে শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ইয়ামিনকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে আহত ফাহিম নামের আরও এক ছিনতাইকারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় যার মোবাইল ছিনতাই হয়েছিল তার মোবাইলটি উদ্ধার হয়েছে এবং মোহাম্মদপুর থানায় এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন