মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১১:৩১ পিএম

চুল কেটে দিয়ে নারীর গলায় জুতার মালা, বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

বোরহানউদ্দিন প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২৫, ১১:৩১ পিএম

চুল কেটে দিয়ে নারীর গলায় জুতার মালা, বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

ভোলার বোরহানউদ্দিনে পরকীয়ার অভিযোগে এক নারীর চুল কেটে জুতার মালা পরানোর ঘটনায় করা মামলায় প্রধান আসামি বিএনপি নেতা কবির হোসেনসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার মানিকা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কবির হোসেন ও স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, ইসমাইল, মেহেদি হাসান ও সিরাজ। তারা সবাই ওই এলাকার বাসিন্দা।

গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সোহান সরকার। তিনি জানান, ঘটনার পর ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় ২০-২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ এখন পর্যন্ত প্রধান আসামিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এর আগে গত রোববার গভীর রাতে প্রধান আসামি কবির হোসেনসহ অন্য আসামিরা বেড়া ভেঙে ভুক্তভোগীর ঘরে প্রবেশ করেন। তারা পরকীয়ার অভিযোগ এনে ওই নারীকে ধরে নিয়ে যান। পরদিন বেলা ১১টার দিকে হারুনের হাটসংলগ্ন নতুন বাজার নামক স্থানে চুল কেটে ও গলায় জুতার মালা পরিয়ে জনসম্মুখে তাকে হেনস্তা করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, বড়মানিকা ইউনিয়ন বিএনপির ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি মো. হুমায়ুন কবির নিজ হাতে ওই নারীর গলায় জুতার মালা পরিয়ে দেন। এ সময় তার সঙ্গে আরও ২০-২৫ জন উপস্থিত থেকে ভিডিও ধারণ করাসহ মাথার চুল কাটতে দেখা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, পরকীয়ার অভিযোগে শাস্তি দেওয়ার নামে এ নারীকে প্রকাশ্যে চুল কেটে জুতার মালা পরানো হয়। তবে ঘটনাটিকে অনেকেই বিচারবহির্ভূত নির্যাতন বলে আখ্যা দিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের ঘটনা সমাজে নারী নির্যাতনের প্রবণতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

অভিযুক্ত ওয়ার্ড সভাপতি হুমায়ুন কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ওরা বহুদিন ধরেই অনৈতিক কর্মকা-ে জড়িত। কয়েক মাস আগেও হাতেনাতে ধরা পড়েছিল। তাই এবার বিচার করেছি ও চুল কেটে জুতার মালা দিয়েছি। এরপর তাদের বিয়ে হবে।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!