সোমবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মিনহাজুর রহমান নয়ন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১২:৪৮ এএম

কানাডার পথে কর্মজীবনের স্বপ্ন

মিনহাজুর রহমান নয়ন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫, ১২:৪৮ এএম

কানাডার পথে কর্মজীবনের স্বপ্ন

শান্তিপূর্ণ পরিবেশ, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, উচ্চ বেতন আর সম্মানজনক জীবনের স্বপ্ন অনেকেই দেখে কানাডা নিয়ে। বিশেষ করে বাংলাদেশের তরুণ সমাজের মধ্যে কানাডা যাব এক ধরনের আকাক্সক্ষায় পরিণত হয়েছে। কেউ যান পড়াশোনার জন্য, কেউ যান স্থায়ীভাবে বসবাস করতে। তবে কাজ করার উদ্দেশ্যে কীভাবে কানাডা যাওয়া যায়- এ প্রশ্নের উত্তর অনেকেই সঠিকভাবে জানেন না। তবে হ্যাঁ, বাংলাদেশ থেকে কাজের জন্য বৈধভাবে কানাডা যাওয়া সম্ভব, যদি আপনি সঠিক ভিসার পথ ও প্রস্তুতি নেন। চলুন এক নজরে দেখি কোন কোন ভিসায় আপনি কানাডায় কর্মজীবনের যাত্রা শুরু করতে পারেন।

অস্থায়ী বিদেশি কর্মী কর্মসূচি

সরাসরি কাজের জন্য কানাডায় যাওয়ার সবচেয়ে সাধারণ এবং বৈধ পথ হলো- এই ভিসা প্রোগ্রামটি।  অস্থায়ী বিদেশি কর্মী কর্মসূচির মাধ্যমে কানাডার নিয়োগকর্তা বিদেশ থেকে কর্মী নিয়োগ করতে পারে যদি স্থানীয় নাগরিকের অভাব হয়। আপনি যদি দক্ষতাসম্পন্ন হন (যেমন- ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, কুক, ফার্ম হেল্পার, ক্লিনার ইত্যাদি), কোনো কানাডিয়ান কোম্পানি থেকে জব অফার পান, এবং খগওঅ বা শ্রম বাজারের প্রভাব মূল্যায়ন অনুমোদিত হয় তাহলে আপনি এই ভিসায় ১-২ বছরের জন্য কাজ করতে কানাডা যেতে পারেন। এটি একটি ওয়ার্ক পারমিট, যা স্পন্সর কোম্পানির জন্য নির্ধারিত থাকে।

আন্তর্জাতিক গতিশীলতা প্রোগ্রাম এটি একটু ভিন্ন ধরনের ওয়ার্ক ভিসা প্রোগ্রাম। এখানে খগওঅ প্রয়োজন হয় না, তবে আপনাকে অবশ্যই নির্দিষ্ট কিছু ক্যাটাগরিতে পড়তে হবে- যেমন- ইনট্রা-কোম্পানি ট্রান্সফার, এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম, কিছু বিশেষ কর্মসংস্থান (যেমন, ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্টস অনুযায়ী)।

বাংলাদেশ থেকে এই প্রোগ্রামে সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কম হলেও, যদি আপনার মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির মাধ্যমে কানাডায় বদলি হয়, তাহলে এটি একটি কার্যকরী পথ।

স্টুডেন্ট ভিসা থেকে ওয়ার্ক পারমিট

অনেকেই সরাসরি কাজের ভিসা না পেয়ে স্টুডেন্ট ভিসায় যান এবং পরে পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন ওয়ার্কপারমিটের মাধ্যমে চাকরির সুযোগ নেন।

কানাডায় পড়ালেখা শেষ করার পর আপনি ১ থেকে ৩ বছর মেয়াদি ওয়ার্ক পারমিট পান, এরপর অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে পিআর জন্য আবেদন করতে পারেন। এই পথটি একটু দীর্ঘ হলেও সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

আটলান্টিক ইমিগ্রাশন প্রোগ্রাম

এই প্রোগ্রামের আওতায় কানাডার আটলান্টিক অঞ্চলের (নিউফাউন্ডল্যান্ড, নিউ ব্রান্সউইক, নোভা স্কোশিয়া) নিয়োগকর্তারা বিদেশি শ্রমিক নিয়োগ করতে পারেন। এর জন্য প্রজয়জন নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানি থেকে জব অফার, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও ভাষার দক্ষতা, নির্ধারিত অভিজ্ঞতা  এটি একটি স্থায়ী বসবাসের পথও হতে পারে।

খামারে কাজের সুযোগ

যারা খামার, ফুড প্রসেসিং, পশুপালন ইত্যাদি ক্ষেত্রে কাজ করতে চান, তাদের জন্য একটি বিশেষ কর্মসংস্থানের প্রোগ্রাম এটি।

যোগ্যতা

কানাডিয়ান নিয়োগকর্তার অফার, অভিজ্ঞতা, ভাষা ও শিক্ষাগত যোগ্যতা এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে কাজ করে পরবর্তীতে পিআর এ রূপান্তরও সম্ভব।

আরও কিছু সুযোগ

সিনিয়র কেয়ার বা চাইল্ড কেয়ার কাজের জন্য, যদি আপনার স্কিল ও ঈজঝ স্কোর ভালো হয় তবে আপনে কানাডা যেতে পারবেন সহজে।

প্রতারণার ফাঁদে পড়বেন না

‘কানাডায় চাকরি দেব’, ‘লোক নিচ্ছে’, ‘সরাসরি ফ্লাইট’,  এসব লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে অনেক দালাল প্রতারণা করছে। সবসময় জব অফার যাচাই করুন, খগওঅ অনুমোদিত কিনা দেখুন,  সরকারি সাইটে তথ্য যাচাই করুন (িি.িপধহধফধ.পধ),  পাসপোর্ট ও কাগজ নিজের কাছে রাখুন।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!