বগুড়ার ধুনটে রাজনৈতিক পূর্ববিরোধের জেরে সাহিদুর রহমান জয় নামের এক সেচ্ছাসেবক দল নেতাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে এলাঙ্গী ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। গত শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার এলাঙ্গী ইউনিয়নের হাসাপোটল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সাহিদুরের বাবা বাদী হয়ে ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সেদিন সাহিদুর ও তার বাবা আব্দুল আলীম ব্যক্তিগত কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় হাসাপোটল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন ও তার সহযোগীরা পথরোধ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। সাহিদুর প্রতিবাদ করলে ইসমাইল ও তার লোকজন তাকে বেদম মারধর করে গুরুতর আহত করেন। এ সময় তার বাবা বাধা দিলে তাকেও মারধর করা হয়। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। পরে পরিবারের সদস্যরা আহতদের উদ্ধার করে ধুনট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
সাহিদুরের বাবা বলেন, ‘কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের ঝামেলা হয়। সেই সূত্র ধরেই মূলত ইসমাইল এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। ইসমাইল এলাঙ্গী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তারেক হেলালের অনুসারী। তিনি আওয়ামী লীগ শাসনামলে বিএনপি করার অপরাধে অনেককে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ পতনের পরেও এরা আগের মতো সন্ত্রাসী কর্মকা- চালিয়ে যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’
অভিযোগ অস্বীকার করে ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। মূলত আমি ঘটনাস্থলেই ছিলাম না। এ ঘটনায় হৃদয় মিয়াসহ আমাদেরই দুইজন হাসপাতালে ভর্তি আছে।’
ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম জানান, ‘আমরা ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন