বুধবার, ০১ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ১১:৪১ পিএম

আরসা ও আরএসওকে  সমর্থন করে না বিজিবি

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ১১:৪১ পিএম

আরসা ও আরএসওকে  সমর্থন করে না বিজিবি

আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনকে (আরএসও) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সমর্থন করে বলে যে অভিযোগ এনেছে আরাকান আর্মির রাজনৈতিক শাখা ইউনাইটেড লীগ অব আরাকান (ইউএলএ)Ñ সেটিকে বিভ্রান্তিকর বলেছে বিজিবি।

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, আরসা বা আরএসও’র সঙ্গে বিজিবির কোনো সম্পর্ক নেই। বিজিবি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে তাদের কথিত কার্যকলাপ নির্মূল করার জন্য ধারাবাহিকভাবে দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে। শীর্ষ নেতা আতাউল্লাহ জুনুনিসহ বেশ কয়েকজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যা প্রমাণ করে বিজিবি আরসা বা আরএসওকে মিত্র হিসেবে নয় বরং স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করে। সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে যেকোনো অননুমোদিত সশস্ত্র কর্মীকে উচ্ছেদ এবং তাদের অস্তিত্বকে নির্মূল করার জন্যও বিজিবি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে।

গত সোমবার রাতে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বলেছে, আরসা বা আরএসও’র সাথে বিজিবির সংযোগের বিষয়ে ইউএলএ’র অভিযোগ আসলে নিজেদের মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন ও অস্থিতিশীল কর্মকা- আড়াল করার কৌশল। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এই বাস্তবতা স্বীকার করে অপরাধীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে বিজিবি। 

বিজিবি বলেছে, জাতীয় সীমান্ত সুরক্ষিত করা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখা এবং দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার বোঝা পরিচালনা করা তাদের স্পষ্ট দায়িত্ব। ২০২৩ সালের শেষের দিকে মিয়ানমারের যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর থেকে বিজিবি নাফ নদী ও সীমান্তবর্তী পাহাড়ে টহল জোরদার করেছে যাতে সহিংসতা ছড়িয়ে না পড়ে। ঘুমধুম ও বান্দরবান-কক্সবাজারজুড়ে এখন সর্বত্র সৈন্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক নজরদারি নিশ্চিত করার জন্য ছয় ঘণ্টা শিফটে কাজ করছে। অস্ত্র ও সরঞ্জামসহ অতিরিক্ত সৈন্য ও টহল মোতায়েন রয়েছে যাতে চোরাকারবারি ও জঙ্গিরা প্রবেশের সুযোগ না পায়।

এতে বলা হয়, ইউএলএ যখন বিজিবির দিকে আঙুল তুলছে, তখন আরাকান আর্মি (এএ) নিজেই উত্তর মংডুতে গভীরতর সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের ফলে তাদের বাহিনীগুলোর মনোবল ভেঙে পড়েছে। মাদক ব্যবসা, লুণ্ঠিত সম্পদ নিয়ে বিরোধ এবং মানসিক ক্লান্তিতে যোদ্ধারা হতাশ হয়ে পড়েছে। নতুন সদস্য সংগ্রহে অন্যান্য নৃগোষ্ঠীর মানুষকে যুক্ত করলেও ভাষাগত বাধা, ভূমি সম্পর্কে অজ্ঞতা ও যুদ্ধের অনিচ্ছা তাদের কার্যকারিতা কমিয়ে দিয়েছে। বুথিডং অঞ্চলের খাদ্যসংকট পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে, যার ফলে বহু রোহিঙ্গা বাংলাদেশ সীমান্তে ঢোকার চেষ্টা করছে।

বিজিবি বলেছে, একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলোÑ আরাকান আর্মির (এএ) একজন লেফটেন্যান্ট বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আত্মসমর্পণ করে বলে জানা গেছেÑ যা তাদের দুর্বলতার ইঙ্গিত দেয়। আরাকান সেনাবাহিনীর নির্যাতন কেবল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। ম্রো এবং তানচঙ্গ্যার মতো ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘুরাও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এমনকি রাখাইন সম্প্রদায়ের সদস্যরা যারা আরাকান আর্মিকে চাঁদাবাজির অর্থ দিতে অস্বীকার করে তারাও ভয়, সহিংসতা ও হয়রানির শিকার হয়। এই গোষ্ঠীগুলোর অনেকেই চাপ সহ্য করতে না পেরে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী আরও জানিয়েছে, বিজিবি ধারাবাহিকভাবে এআরএসএ বা আরএসও’র বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে। তাদের চাঁদাবাজি নেটওয়ার্ক ভেঙে দিয়েছে এবং নাফ অঞ্চলে মাদক পাচার রোধ করেছে। গোয়েন্দা তথ্য নিশ্চিত করেছে যে, জঙ্গিরা বাংলাদেশের মাটি থেকে নয়, মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করে। তা ছাড়া, সীমান্তে আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা ল্যান্ডমাইনগুলো এটিকে অবাধে বাংলাদেশ থেকে পরিচালিত হওয়ার বিষয়টি অবাস্তব করে তোলে। বিজিবি সর্বদা দেশের স্বার্থকে সমর্থন করে এবং মানবিক সুরক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ও সীমান্ত স্থিতিশীলতার ওপর জোর দেয়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিজিবি বলেছে, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যাতে তারা ন্যায়বিচার ও মর্যাদার সঙ্গে স্বদেশে ফিরে যেতে পারে। চরমপন্থিদের সঙ্গে যোগসাজশের মাধ্যমে নয় বরং সতর্কতা, কূটনীতি ও মানবিক পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত রাখবে বিজিবি। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!