আর্কটিক মহাসাগরের কঠিন পরিবেশ জয় করেছে চীন। চিয়াওলং সাবমার্সিবল যানে করে বরফের নিচে প্রথম মানব-ডুব সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি ঐতিহাসিক এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে মাদারশিপ শেনহাই-১ এবং আইসব্রেকার শুয়েলং-২-এর সহযোগিতায়। খবর সিএমজির।
অভিযানের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, আর্কটিকের গভীরে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে রয়েছে জীববৈচিত্র্য। ঘনত্ব ও আকারে উল্লেখযোগ্য পার্থক্যও দেখেছেন চীনা বিজ্ঞানীরা। তারা বলছেন, এই তথ্যগুলো মেরু অঞ্চলের জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে জানা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মূল্যায়নে কাজে আসবে।
অভিযান দলের মতে, বরফাচ্ছন্ন আর্কটিক মহাসাগরের গভীরে ডুব দেওয়া সহজ কাজ নয়। সেখানকার বাতাস, ঢেউ, স্রোত, বরফ, কুয়াশা ও প্রবল শীতÑ সবকিছুই অভিযানকে বেশ জটিল করে তোলে।
চীনের জাতীয় গভীর সমুদ্রকেন্দ্রের ডুবুরি ছি হাইবিন জানান, আর্কটিকে ডুব দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সঠিক ডাইভিং পয়েন্ট নির্বাচন। চারপাশে বরফ ভাসতে থাকে, প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হয় হিসাব কষে।
গত জুলাইয়ে চীন প্রথমবারের মতো মেরু অঞ্চলে মানববাহী সাবমার্সিবল অভিযান শুরু করে। আগস্টের শুরুতে আর্কটিক মহাসাগরে মিলিত হয় শুয়েলং-২ ও শেনহাই-১। এরপর শেনহাই-১ থেকে চিয়াওলং বরফাচ্ছন্ন জলে ডুব দেয়।
কেন্দ্রের উপপরিচালক শু শুয়েই জানালেন, চিয়াওলংয়ের এই অভিযানের ফলে চীন এখন সমুদ্রের সব অঞ্চলে অভিযান চালানোর সক্ষমতা অর্জন করেছে।
পৃথিবীর পাঁচটি মহাসাগরের মধ্যে ছোট ও অগভীর মহাসাগর আর্কটিক। এটি উত্তর মেরুকে কেন্দ্র করে অবস্থিত। বৃত্তাকার অববাহিকাজুড়ে অবস্থিত আর্কটিক মহাসাগরের আয়তন প্রায় ১ কোটি ৪০ লাখ ৫৬ হাজার বর্গকিলোমিটার। বছরের অধিকাংশ সময় এই মহাসাগরের অংশবিশেষ সামুদ্রিক বরফে ঢাকা থাকে। এ ছাড়া শীতকালে সম্পূর্ণ মহাসাগরই বরফে ঢাকা পড়ে যায়।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন