৮০ কিমি রাস্তা সংস্কার করল জেলা যুবদল

লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের খানাখন্দে ভরা ও চলাচল অনুপযোগী রাস্তাগুলো সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে জেলা যুবদল। গত এক মাসে জেলার ২০টি ইউনিয়নে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পাকা ও কাঁচা রাস্তা সংস্কার, রাস্তার ধারে বৃক্ষরোপণ এবং আগাছা পরিষ্কার করেছে সংগঠনটি।
দীর্ঘদিন ধরে বৃষ্টি ও অবহেলায় এসব রাস্তায় সৃষ্টি হয়েছিল বড় বড় গর্ত। এতে সাধারণ মানুষের চলাচল ছিল দুর্ভোগের। এই পরিস্থিতিতে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর নির্দেশে যুবদল নেতাকর্মীরা নিজের উদ্যোগে রাস্তাগুলো সংস্কারের কাজ শুরু করেন।
জানা গেছে, জেলা যুবদলের নেতাকর্মীরা নিজেদের অর্থায়নে বালু, ইটের খোয়া ও মাটি ব্যবহার করে এসব রাস্তা সংস্কার করছেন। পাশাপাশি তারা রাস্তার পাশের আগাছা পরিষ্কার ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পরিচালনা করছেন।
গত দুই দিন ধরে সদর উপজেলার গোকু-া ও মোগলহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন ভাঙা ও খানাখন্দে ভরা রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া দুরাকুটি কবরস্থান থেকে আদিতমারী উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের শালামারা ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা সংস্কার সম্পন্ন হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আলী হোসেন জানান, ‘এই রাস্তা দিয়ে দুরাকুটি বাজারে হাজার হাজার মানুষ চলাচল করে। ভাঙা রাস্তার কারণে রিকশা, ভ্যান ও মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটত। যুবদল রাস্তা সংস্কার করায় আমরা সত্যিই উপকৃত হয়েছি।’
আরেক বাসিন্দা হযরত আলী বলেন, ‘বন্যার সময় এই রাস্তায় পানির চাপ পড়ে রাস্তাটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বর্ষাকালে চলাচল অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। এখন রাস্তাটি সংস্কার হওয়ায় আমরা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেয়েছি।’
স্কুলছাত্রী রেবেকা খাতুন ও ছাত্র আব্দুল ওহাব বলেন, ‘আমাদের স্কুলে যাওয়ার একমাত্র রাস্তা এটি। বর্ষায় কাদা জমে হেঁটে যাওয়া যেত না। অনেকবার কাদায় পড়ে বই-খাতা নষ্ট হয়েছে। এখন রাস্তা ঠিক হওয়ায় আমরা খুব খুশি।’
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আনিছুর রহমান বলেন, ‘গত এক মাসে জেলার ২০টি ইউনিয়নে ৮০ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার করেছি। বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও চলমান আছে। মানুষের সুবিধার জন্য এই জনহিতকর কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখব।’
জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী জানান, ‘সরকারিভাবে এসব রাস্তা সংস্কারের কোনো উদ্যোগ না থাকায় আমরা নিজেরাই কাজের দায়িত্ব নিয়েছি। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলুর নির্দেশে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে, যা ভবিষ্যতেও চলবে।’