বুধবার, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম

ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন

বন্ধ হলো শেখ হাসিনার  নির্বাচন করার পথ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৭, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম

বন্ধ হলো শেখ হাসিনার  নির্বাচন করার পথ

মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে কারো বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করা হলেই তিনি আর নির্বাচন করার যোগ্য হবেন না; জনপ্রতিনিধি হয়ে থাকলে সেই পদে থাকার যোগ্যতাও তিনি হারাবেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) আইন এক বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো সংশোধন করে এই বিধান যুক্ত করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর ফলে আইসিটি মামলা থাকায় অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ভোটে অংশ নেওয়ার সব সুযোগ বন্ধ হয়ে গেল।

গতকাল মঙ্গলবার আইসিটি আইন সংশোধন করা হয় বলে জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। কারো বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে মামলা থাকলে তিনি সংসদ সদস্য (এমপি) হওয়ার বা থাকার যোগ্যতা হারাবেন বলে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে গত সোমবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগের মুদ্রণ ও প্রকাশনা শাখা এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের পর অভিযুক্ত ব্যক্তি নি¤œলিখিত অবস্থানগুলোতে থাকার জন্য অযোগ্য বিবেচিত হবেন। তিনি জাতীয় সংসদের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হওয়া বা থাকার যোগ্য হবেন না। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সদস্য, কমিশনার, চেয়ারম্যান, মেয়র বা প্রশাসক হিসেবে নির্বাচিত বা নিয়োগপ্রাপ্ত হতে বা থাকতে পারবেন না। প্রজাতন্ত্রের কোনো চাকরিতে নিয়োগপ্রাপ্ত হতে পারবেন না। এ ছাড়া অন্য কেনো সরকারি পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না।

এতে বলা হয়েছে, উপধারা (১)-এ যা কিছুই থাকুক না কেন, ট্রাইব্যুনালে কোনো ব্যক্তি অব্যাহতি বা খালাসপ্রাপ্ত হলে, সেই ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই ধারা প্রযোজ্য হবে না।

রাষ্ট্রকে সঠিক ট্র্যাকে তোলার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন সংশোধন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। গতকাল দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে আইসিটি আইন সংশোধন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ বা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হয়, তাহলে সেই ব্যক্তি বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য হবেন না। অর্থাৎ, তিনি ভোটে দাঁড়াতে পারবেন না। মেয়র, চেয়ারম্যানসহ সরকারি কোনো কার্যালয়েও নিয়োগ পেতে পারবেন না। এই সংশোধনটা করা হয়েছে, এটা একটা নতুন সংযোজন।

তিনি আরও বলেন, আপনারা হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন, পরিবর্তনটা আবার কেন করা হলো? আমরা যেটা মনে করি, একটা রাষ্ট্র বিপ্লবোত্তর পরিবেশে যখন একটা পুনর্গঠন প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে, তখন রাষ্ট্র বা দেশকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রয়োজনে সরকার এই আইন শুধু নয়; বিভিন্ন আইনেরই সংশোধনী আনছে রাষ্ট্রকে সঠিক ট্র্যাকে তোলার জন্য। এরই অংশ হিসেবে এটা করা হয়েছে সময়ের প্রয়োজনে। এখন থেকে এই আইনটা সেভাবে প্রয়োগযোগ্য হবে।

বিচার চলাকালীন আইন সংশোধন হওয়ার বিষয়টি প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে কি নাÑ এমন প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এমন কোনো সুযোগ নেই। কারণ, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া চলমান। যদি একজন ব্যক্তির বিচার চলমান থাকা অবস্থায় বিচারকে প্রভাবিত করতে পারে, এমন কিছু সংশোধন হলে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে। এখানে যে আইনটা সংশোধন করা হয়েছে, সেটি এখনো প্রয়োগযোগ্য হয়নি। তাই প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার সুযোগ নেই। ন্যায়বিচারের পরিপন্থিও হবে না। কারণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনটি সংবিধান দ্বারা প্রোটেক্টেট একটি আইন। সুতরাং এটার সবকিছুই বৈধ বলে গণ্য হবে। আদালতে চ্যালেঞ্জও করা যাবে না।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!