সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১২:৩৬ এএম

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি

শিক্ষার্থীদের আপত্তি সত্ত্বেও কনসালটেশন প্রক্রিয়া শুরু

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ১২:৩৬ এএম

শিক্ষার্থীদের আপত্তি সত্ত্বেও  কনসালটেশন প্রক্রিয়া শুরু

প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশের খসড়া বিষয়ে অংশীজনসহ সর্বসাধারণের মতামত গ্রহণ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে ৬ হাজারেরও অধিক মতামত পাওয়া গেছে। শিগগিরই এ বিষয়ে শুরু হবে কনসালটেশন প্রক্রিয়া। তবে সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির এই গঠন পক্রিয়া নিয়ে আপত্তি তুলেছেন ঐতিহ্যবাহী ঢাকা কলেজের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

গতকাল রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’ অধ্যাদেশের খসড়া বিষয়ে ইতিমধ্যে ৬ হাজারের অধিক মতামত পাওয়া গেছে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের ওয়েবসাইটে খসড়া প্রকাশ করা হয়, যা ৯ অক্টোবর পর্যন্ত উন্মুক্ত ছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘বর্তমানে মতামতসমূহ সংকলন ও বিশ্লেষণের কাজ চলমান রয়েছে। ওই প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করে অংশীজনের সঙ্গে শিগগিরই ধারাবাহিক পরামর্শ সভার আয়োজন করা হবে। অংশগ্রহণমূলক ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সবার মতামতের প্রতিফলন ঘটবে বলে আশা করা যায়।’

অংশীজনের গঠনমূলক ও প্রতিনিধিত্বশীল মতামতের ভিত্তিতে এবং বিধিসম্মত প্রক্রিয়ায় খসড়া পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ও প্রক্রিয়াকরণ শেষে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সর্বোপরি শিক্ষাব্যবস্থার সর্বোত্তম কার্যকারিতা নিশ্চিত করার উপযোগী ও বাস্তবসম্মত অধ্যাদেশ প্রণয়নের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আরও বলা হয়, ‘কনসালটেশন প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের বিশেষভাবে অনুরোধ করা যাচ্ছে।’

আপত্তি ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্রদের

ঢাকার সাতটি বড় সরকারি কলেজ একীভূত করে সরকার যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় করতে যাচ্ছে, তার কাঠামো নিয়ে এবার তীব্র আপত্তি জানিয়েছেন ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা। তারা বলছেন, প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন এবং শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ‘হাইব্রিড কাঠামো’ বা কোনো অপ্রচলিত শিক্ষাকাঠামোর পরীক্ষা-নিরীক্ষার উপকরণে পরিণত করা যাবে না। যেকোনো মূল্যে দেশের প্রাচীনতম বিদ্যাপীঠ ঢাকা কলেজের ইতিহাস-ঐতিহ্য ও স্বাতন্ত্র্য সংরক্ষণ করতে হবে।

এ নিয়ে ঢাকা কলেজের প্রাক্তন ছাত্ররা সরকারের কাছে ১০ দফা দাবি তুলে ধরে বলেছেন, এ বিষয়ে সরকারকে চার দিন সময় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে আগামী বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করা হবে। এর পরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।

গতকাল সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘ঢাকা কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী’দের ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা জানান কলেজটির প্রাক্তন ছাত্ররা। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী। লিখিত বক্তব্যে ১৮৫ বছরের পুরোনো ঢাকা কলেজের ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রস্তাবিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের’ খসড়া অধ্যাদেশ অংশীজন সবাইকে হতাশ করেছে। সংকীর্ণ স্বার্থে প্রণীত এই অবিবেচনাপ্রসূত খসড়া অধ্যাদেশ সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মতো প্রাক্তন শিক্ষার্থীদেরও আহত ও ক্ষুব্ধ করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, হারুনুর রশিদ হারুন, সাবেক জিএস জাকির হোসেন, সাবেক জিএস এস এ এইচ এম জাভেদসহ প্রমুখ।

ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক রাখার দাবিতে মিছিল-অবরোধ

ঢাকা কলেজে উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির পাঠদান অব্যাহত রাখার দাবিতে মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে  উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীরা কলেজ থেকে মিছিল নিয়ে সায়েন্সল্যাব মোড়ে এলে আটকে দেয়। সেখানে কয়েক মিনিট অবস্থানের পর তারা নীলক্ষেত মোড় ঘুরে ফের ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীরা ঢাকা কলেজের স্বকীয়তা রক্ষার দাবিতে স্লোগান দিচ্ছিল।

উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী রাসেল মিয়া বলে, ‘উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণি ঢাকা কলেজের ঐতিহ্য। আমরা চাই না ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক বিলুপ্ত হোক।’

পরে নিউমার্কেট থানার ওসি মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে তারা মিছিল নিয়ে এসে সায়েন্সল্যাব মোড় আটকে দেন। চার-পাঁচ মিনিট অবস্থান করে নিলক্ষেত মোড় ঘুরে ক্যাম্পাসে ফিরে যায়।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের খসড়া প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অধ্যাদেশের খসড়ায় বলা হয়েছে, ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি তিতুমীর কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ ও কবি নজরুল কলেজের অবকাঠামো ও ক্যাম্পাস স্থায়ীভাবে দিনের নির্দিষ্ট সময়ের জন্য দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ব্যবহার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পরিচালিত হবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!