চিলির সান্তিয়াগোয় ফিফা অনূর্ধ্ব-২০ বিশ^কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠেছে আর্জেন্টিনা। দুই দলের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে কার্ডের ছড়াছড়ি ছিল। হলুদ কার্ডের পাশাপাশি দুজন লাল কার্ডও দেখেছেন। উত্তাপ-উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে শেষ হাসি হাসল আর্জেন্টিনার যুবারা। ২০০৭ সালের পর এবারই প্রথম যুব বিশ্বকাপের শেষ চারে উঠল চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। প্রতি দুই বছর পর হওয়া টুর্নামেন্টটির সর্বশেষ সাত আসরের মধ্যে আর্জেন্টিনার সেরা সাফল্য ছিল কোয়ার্টার ফাইনাল।
সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে সান্তিয়াগোর জুলিও মার্তিনেজ প্রাদানোস স্টেডিয়ামে আর্জেন্টিনা করেছে দুই অর্ধে ২টি গোল। ৯ মিনিটে মেক্সিকান গোলকিপারের ভুলে বল পেয়ে দলকে এগিয়ে দেন মাহের কারিজো। ১৯ বছর বয়সি এই সেন্টার ফরোয়ার্ডের এবারের আসরে এটি তৃতীয় গোল। আর্জেন্টিনা দ্বিতীয় গোলটি পায় ৫৬ মিনিটে। বদলি নামা মাতেও সিলভেত্তি গতিময় শটে স্কোরলাইন ২-০ করেন। ইন্টার মিয়ামিতে খেলা এই উইঙ্গারের টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় গোল এটি। শেষ পর্যন্ত দুই গোলের ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছেড়েছে আর্জেন্টিনা। তবে মাঠ ছাড়ার আগে দুই দলের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষায় ছিল আক্রমণাত্মক ভাব।
পুরো ম্যাচে মোট ৩৭টি ফাউল হয়েছে, যার মধ্যে ২০টি করেছে আর্জেন্টিনা, ১৭টি মেক্সিকো। কার্ড বেশি দেখেছেন আবার মেক্সিকানরা। ৭টি হলুদ কার্ড ও ২টি লাল কার্ড দেখেছেন দলটির খেলোয়াড়েরা। এর মধ্যে ৯০ মিনিটের খেলা শেষে যোগ করা দ্বিতীয় মিনিটে লাল কার্ড দেখেন দিয়েগো ওচোয়া, ৭ মিনিটে দেখেন তাহিয়েল জিমেনেজ। ওচোয়ার লাল কার্ড ছিল দুই হলুদ কার্ডের যোগফল। আর জিমেনেজ সরাসরি লাল কার্ড দেখেন সিলভেত্তির গলা চেপে ধরায়। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে আগামী বুধবার আর্জেন্টিনার প্রতিপক্ষ কলম্বিয়া। অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়া ৩-২ গোলে হারায় স্পেনকে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন