সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০১:০১ এএম

আফগান-পাকিস্তান উত্তেজনা

কার সামরিক শক্তি কেমন?

ভিনদেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৩, ২০২৫, ০১:০১ এএম

কার সামরিক শক্তি কেমন?

এবার দক্ষিণ এশিয়ার সংঘাত গড়িয়েছে আফগানিস্তান-পাকিস্তানের মধ্যে। কিছুদিন আগে যা ছড়িয়েছিল ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে। ২০২৫ সালের সামরিক শক্তি সূচকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে বিশাল ব্যবধান উঠে এসেছে। বিশ্ব সামরিক শক্তি পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ারের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী, সামরিক সক্ষমতা, জনশক্তি, প্রতিরক্ষা বাজেট ও বিমান শক্তিÑ সব ক্ষেত্রেই পাকিস্তান আফগানিস্তানের চেয়ে বহুগুণ এগিয়ে। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার সূচকে পাকিস্তানের শক্তি সূচক দাঁড়িয়েছে দশমিক ২৫, যা বিশ্বে ১২তম স্থান। অন্যদিকে আফগানিস্তানের সূচক ২ দশমিক ৬৪, যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি এবং সামরিক দুর্বলতার নির্দেশক। এই র‌্যাঙ্কিংয়ে আফগানিস্তানের অবস্থান ১১৮তম। জনশক্তি ও প্রতিরক্ষা সক্ষমতা: পাকিস্তান প্রায় ৫ লাখের বেশি সক্রিয় ও আধা সামরিক সেনা নিয়ে আঞ্চলিকভাবে অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী গড়ে তুলেছে। এর বিপরীতে আফগানিস্তানে কোনো পূর্ণাঙ্গ নিয়মিত সেনাবাহিনী নেই; তাদের রিজার্ভ বা সক্রিয় বাহিনীর সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায়। এ ছাড়া প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও আধুনিক অস্ত্র ব্যবহারে পাকিস্তানের সেনারা দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও ন্যাটো-সমর্থিত প্রশিক্ষণ পেয়েছে, যা আফগান বাহিনীর ক্ষেত্রে নেই।

বাজেট ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা: প্রতিরক্ষা বাজেটেও দুই দেশের ব্যবধান চোখে পড়ার মতো। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা বাজেট প্রায় ৭ দশমিক ৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে আফগানিস্তানের বাজেট মাত্র ২৯ কোটি ডলার। এই পার্থক্য তাদের সামরিক প্রযুক্তি, অস্ত্রভান্ডার ও সরঞ্জাম উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখছে। বিমান ও স্থল শক্তি: বিমান সক্ষমতার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের রয়েছে প্রায় চৌদ্দ শতাধিক বিমান, যার মধ্যে যুদ্ধবিমান, আক্রমণ হেলিকপ্টার ও কার্গো প্লেন অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে আফগানিস্তানের বিমান শক্তি বর্তমানে প্রায় নিষ্ক্রিয়। তাদের হাতে রয়েছে মাত্র ৯টি বিমান। স্থলবাহিনীর ক্ষেত্রেও পাকিস্তানের কাছে ট্যাংক, সাঁজোয়া যান, স্বচালিত আর্টিলারি, রকেট সিস্টেমসহ আধুনিক অস্ত্রের বিস্তৃত ভান্ডার আছে। আফগান বাহিনী এসব ক্ষেত্রে কার্যত পিছিয়ে।

নৌশক্তি ও ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা: আফগানিস্তান ল্যান্ডলকড বা সমুদ্রবিহীন দেশ হওয়ায় নৌবাহিনী গঠনের কোনো সুযোগ নেই। বিপরীতে পাকিস্তানের রয়েছে একটি কার্যকর ও উন্নত নৌবাহিনী, যা ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। আঞ্চলিক ভারসাম্যে প্রভাব: বিশ্লেষকদের মতে, আফগানিস্তান রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল অর্থনীতি এবং সীমিত আন্তর্জাতিক সহযোগিতার কারণে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে শক্তিশালী হতে পারছে না। অন্যদিকে পাকিস্তান যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও তুরস্কের মতো দেশের সহযোগিতায় প্রযুক্তিগতভাবে দ্রুত আধুনিকায়িত হচ্ছে। তবে সাম্প্রতিক সীমান্ত উত্তেজনা প্রমাণ করেছে, পাহাড়ি ভূখ- ও স্থানীয় গেরিলা কৌশলে আফগান যোদ্ধাদের কিছু সুবিধা আছে। কিন্তু সামগ্রিক সামরিক ক্ষমতায় পাকিস্তানই আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে অনেক এগিয়ে আছে।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!