* স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সের গোপন কক্ষেও থাকবে সিসিটিভি
দীর্ঘ ৩৫ বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচন। আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিতব্য এ নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে ক্যাম্পাসজুড়ে।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথ, অনুষদ ভবন, ঝুপড়ি ও বিভিন্ন স্পটে প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচার চলেছে। রাত ১০টা পর্যন্ত প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ঘাম ঝরানো ব্যস্ততা দেখা গেছে। নিজেদের ইশতেহার ও প্রতিশ্রুতি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন তারা।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ভোটগ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচটি অনুষদ ভবনকে কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রায় ২৭ হাজার ৫০০ ভোটার এই নির্বাচনে ভোট দেবেন। এ জন্য পাঁচটি কেন্দ্রে ৬০টি কক্ষ ও প্রায় ৭০০ বুথে ওএমআর পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে নির্বাচনের দিন নির্বিঘœ ভোটগ্রহণ নিশ্চিত করতে। ভোটারদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩০টি বাসের ব্যবস্থা করেছে। পাশাপাশি শাটল ট্রেনও চলবে অতিরিক্ত শিডিউলে।
সার্বিক পরিবেশে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা। তবে তারা ভোটের দিন পর্যন্ত এ শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন আয়োজনের জন্য আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমি বিশ্বাস করি, আমার প্রিয় শিক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খলভাবে ভোট প্রদান করবে। নিরাপত্তা জোরদারের পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রের গোপন কক্ষেও সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ চলে গেলেও ফুটেজ সংরক্ষিত থাকবে। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার পবিত্র দায়িত্ব পবিত্রতার সঙ্গে পালন করতে চাই।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বশেষ চাকসু নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯০ সালে। দীর্ঘ ৩৫ বছর পর বুধবার আবার ভোট হতে যাচ্ছে। এবার মোট ভোটার প্রায় ২৭ হাজার ৫০০, যার মধ্যে ছাত্রী প্রায় সাড়ে ১১ হাজার।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন