নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ডোবা থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্বজনদের অভিযোগ- শ্বশুরবাড়ির সামনে থেকে তাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তবে, পুলিশের ভাষ্যÑ যুবকের নামে একাধিক মামলা আছে। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষরা তাকে হত্যা করেছে।
গত শুক্রবার রাতে চৌমুহনী পৌরসভার পার্শ্ববর্তী শরীফপুর ও হাজীপুর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী সারেং বাড়ি সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান। নিহত আব্দুল কাদের জিলানী ওরফে কান কাটা কাদিরা (৪২) চৌমুহনী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুরের মো. গোফরানের ছেলে।
গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত কাদের ৭-৮ মাস আগে বিয়ে করে। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু যুবকের সঙ্গে কাদেরের বিরোধ দেখা দেয়। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার রাতে উপজেলার সারেং বাড়ির দরজায় তাকে কে বা কারা তাকে বেধড়ক পিটিয়ে ও মাথায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ সেখানে রেখে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, কাদেরের বিরুদ্ধে মারামারি, মাদকসহ ৪টি মামলা রয়েছে।
নিহতের বড় ভাই হারুনুর রশিদের অভিযোগ, শ্যালিকার বিয়ে নিয়ে কিছুদিন আগে কাদেরের সঙ্গে তার শ্যালকের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর শুক্রবার রাতে শ্বশুর বাড়ির সামনে থেকে ১০-১২ জন সন্ত্রাসী কাদেরকে তুলে দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, ‘আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে মাদক ও মারামারিসহ বিভিন্ন অপরাধে থানায় চারটি মামলা রয়েছে। সন্ত্রাসী কর্মকা-ে জড়িত থাকায় তার সঙ্গে পরিবারের কারো ভালো সস্পর্ক ছিল না। তার বাবা কয়েক বছর আগে মারা যান। মা নানার বাড়িতে থাকেন। সাত মাস আগে বিয়ে করে কাদের কিছুদিন শ্বশুরবাড়িতে থাকেন। পরে তাদের সঙ্গেও সম্পর্কের অবনতি হলে বাইরে বাইরে থাকতেন।’
ওসি আরও বলেন, ‘এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসীরা পূর্ব বিরোধের জেরে তাকে হত্যা করেছে বলে ধারণা করছি।’
এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন