মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মেহেদী হাসান খাজা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম

ককটেল ও আগুনসন্ত্রাসে জনমনে আতঙ্ক

গোয়েন্দাদের সন্দেহে ফ্যাসিবাদের দোসররা

মেহেদী হাসান খাজা

প্রকাশিত: নভেম্বর ১০, ২০২৫, ১১:৪৮ পিএম

গোয়েন্দাদের সন্দেহে ফ্যাসিবাদের দোসররা

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ আগামী ১৩ নভেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত। দিনটিকে সামনে রেখে হঠাৎ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে। রাজধানীসহ বিভিন্ন  এলাকা অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। গতকাল সোমবার মেরুল বাড্ডা, শাহজাদপুর ও ধানমন্ডি ল্যাবএইড হসপিটালের সামনে চারটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ছাড়াও হেলমেট পরে মোটরসাইকেলে এসে ঢাকার অন্তত ৯ জায়গায় প্রায় ২০টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এসব করে সন্ত্রাসীরা জনমনে আতঙ্ক তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

এদিকে রাজধানীতে ককটেল হামলার ঘটনায় ২৮ বছর বয়সি এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। প্রাথমিক তদন্তে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। গতকাল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ তথ্য জানানো হয়।

এদিকে গোয়েন্দা সূত্রগুলো দাবি করছে, এসব হামলা-আগুনসন্ত্রাসের পেছনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়িত থাকার সম্ভাবনা বেশি। তাদের বিরুদ্ধে বেশকিছু তথ্যপ্রমাণ ও আলামত পাওয়ার পর পুলিশ বলছে, তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সারা দেশে নৈরাজ্যে জড়িত। 

এদিকে গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঝটিকা মিছিলের আগে ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্ক ছড়ানোর অভিযোগে গত ১ মাসে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের প্রায় ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরমধ্যে অনেকে ১৩ নভেম্বরকে সামনে রেখে নৈরাজ্যের চেষ্টা করে। অন্যদিকে ঢাকাসহ গতকাল সোমবার টাঙ্গাইলের গোপালপুরে নির্বাচন অফিসে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার সকাল থেকে রাত ৯টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাজধানীর মেরুল বাড্ডা, শাহজাদপুর ও ধানমন্ডিতে চারটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও মিরপুর, ধানমন্ডি, খিলগাঁওসহ ঢাকার অন্তত ৯ স্থানে ২০টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ককটেল বিস্ফোরণ ও যাত্রীবাহী বাসে আগুনের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে ধরার পর পুলিশ বলছে, ঢাকাসহ দেশের সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং তদন্তে নেমেছে পুলিশ।  অপরাধীদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

ঢাকার যেসব স্থানে বাসে আগুন ও ককটেল বিস্ফোরিত হয়

রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় দুটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। সোমবার ভোরের দিকে দুটি বাসে অগ্নিকা-ের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। এ ছাড়া সকালে রাজধানীর দুটি এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার রাশেদ বিন খালিদ জানান, ‘সোমবার ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে সংবাদ আসে রাজধানীর মেরুল বাড্ডা ও শাহজাদপুর এলাকায় আকাশ পরিবহন ও ভিক্টর পরিবহনের দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি করে ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। তবে বাসে কীভাবে আগুন লেগেছে তা আমরা জানি না। এতে কেউ হতাহত হয়েছে এমন তথ্যও পাওয়া যায়নি।’ পুলিশ জানায়, ‘মেরুল বাড্ডা আরমা মাজেদা মালিক টাওয়ারের সামনে আউট গোয়িংয়ে আকাশ পরিবহনের বাসে আগুন লেগে সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরে থানা পুলিশ বাসটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। এ ছাড়া শাহজাদপুর লোকেশনে একটি ভিক্টর বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে।’

শাহ্ আলীতে ৩টি ককটেল বিস্ফোরণ, আগারগাঁওয়ে ২টি ও ধানমন্ডিতে আগুন

অন্যদিকে গতকাল সোমবার পৃথক ঘটনায় মিরপুর শাহ্ আলী মার্কেটের সামনে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। আগারগাঁও রেডিও স্টেশনের সামনে দুটি ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে। সবুজবাগে ককটেল বিস্ফোরণ হয় ও ধানমন্ডিতে শান্ত মরিয়ম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এসব ঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের বিষয়ে ধানমন্ডি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) শাহ মোহাম্মদ তারিকুজ্জামান জানান, আনুমানিক সকাল ৭টায় ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে দুটি এবং রাপা প্লাজার বিপরীত পাশ থেকে মাইডাস সেন্টারের সামনে আরও দুটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় মোটরসাইকেল আরোহীরা। পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ককটেল বিস্ফোরণের এ ঘটনায় কোনো হতাহত নেই। আলামত ও সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’

বেতার ভবনের সামনে হাতবোমা বিস্ফোরণ

এ ছাড়া ঢাকার আগারগাঁও এলাকায় বাংলাদেশ বেতার ভবনের সামনে হাতবোমা ফাটানো হয়। সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে শেরেবাংলানগর থানার ওসি ইমাউল হক জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বেতার ভবনের প্রধান ফটকের সামনে কে বা কারা একটি ককটেল ছুড়ে মারলে সেটি বিস্ফোরিত হয়। তবে কেউ হতাহত হননি।’

পুলিশ আশপাশের সিসিটিভি ভিডিও দেখে জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা করছে বলে জানান। কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার মধ্যে সোমবার ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত পাঁচ জায়গায় ককটেল হামলার খবর দিল পুলিশ। এদিন ভোর পৌনে ৪টার দিকে মিরপুর গ্রামীণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে হাতবোমা ছুড়ে পালিয়ে যায় দুই ব্যক্তি।

এরপর মোহাম্মদপুরে স্যার সৈয়দ রোডে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের খাদ্যপণ্যের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ‘প্রবর্তনা’র সামনে ও সীমানার ভেতরে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে সকাল ৭টা ১০ মিনিটের দিকে। এ ছাড়া ধানমন্ডির ২৭ নম্বরে রাপা প্লাজার কাছে মাইডাস সেন্টারের সামনে এবং ধানমন্ডি ৯/এ ইবনেসিনা হাসপাতালের সামনে সকাল ৭টার দিকে ককটেল ফাটানো হয়।

এসব বিষয়ে রাজনৈতিক ও অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায় ঘোষণার সম্ভাব্য তারিখ ১৩ নভেম্বরকে কেন্দ্র করে রাজধানীসহ সারা দেশে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ফ্যাসিবাদের পক্ষ থেকে আন্দোলন বা ব্লকেডের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে নানা ধরনের গুজব ও অপপ্রচারÑ যার মধ্যে রয়েছে গণসমাবেশ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, আগুন, ককটেল বিস্ফোরণ, লকডাউন ঘোষণাসহ নানা গুজব, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার আশঙ্কা এবং যানবাহনে অগ্নিসংযোগ। এসব বিষয়ে প্রশাসন চোখ-কান খোলা রাখতে হবে এবং সব বিষয়ে অতিরিক্ত সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন অপরাধ বিশ্লেষকেরা।

পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) খোন্দকার রফিকুল বলেছেন, ‘রাজধানীসহ সারা দেশে চেকপোস্ট বাড়ানোর পাশাপাশি তল্লাশি কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। ১৩ নভেম্বর ঘিরে কোনো দল বা গোষ্ঠী বিশেষ কিছু ঘটাবে বলে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য আমাদের কাছে নেই। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা অপপ্রচার আছে।  এসব অপপ্রচারকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। সেই সঙ্গে ককটেল বিস্ফোরণ ও যানবাহনে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে সব ধরনের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার বাংলাদেশ পুলিশ।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ‘আমরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নজরদারি বাড়িয়েছি। যেখান থেকে যে ধরনের তথ্য পাচ্ছি সব ধরনের তথ্যকেই গুরুত্ব দিচ্ছি। বিভিন্ন মেসেঞ্জার এবং হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বিশ্লেষণ করে এরই মধ্যে বেশ কিছু দলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছি। তাদের কাছ থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সে অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ ওই কর্মকর্তা জানান, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর গত ১৪ মাসে তারা ঝটিকা মিছিলসহ বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে সংঘটিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় বারবার ব্যর্থ হয়েছে। তাই পুরোনো কৌশল বাদ দিয়ে এবার তারা নতুন কিছু করতে চায়। এরই অংশ হিসেবে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়ে ব্যাপক হতাহতের মাধ্যমে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে জনমনে আতঙ্ক তৈরি করতে চায়।  নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রায় শতাধিক পরিকল্পনাকারীকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা পুলিশ।’

জানতে চাইলে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পক্ষে এই মুহূর্তে বড় কিছু করা সম্ভব নয়। তবে ১৩ নভেম্বর ঘিরে ফেসবুক এবং ইউটিউব থেকে আমরা অনেক ধরনের তথ্য পাচ্ছি।  এসব তথ্যকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করছি। আমরা পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিচ্ছি। পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বেশ কয়েক দিন ধরেই কাজ করছে। মাঠে থাকবে রাজনৈতিক দলগুলোও।’ আতঙ্কিত হওয়ার মতো কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সুনির্দিষ্ট কোনো থ্রেট না থাকলেও আমরা বেশ কিছু নেতাকর্মীকে নজরদারিতে রেখেছি।’

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। আমরাও সেগুলো আমলে নিয়ে মাঠে আছি। নিষিদ্ধ কোনো সংগঠন যেন অরাজকতা চালাতে না পারে সে ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট তৎপর আছি। কেউ নাশকতার চেষ্টা চালালে আমরা কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেব।’

আওয়ামী লীগকে প্রেস সচিবের হুঁশিয়ারি

নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পক্ষে ঢাকার রাজপথে ঘোষিত কর্মসূচি কঠোরভাবে দমন করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গতকাল সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে জুলাই বিপ্লবীদের ‘ধৈর্যের পরীক্ষা না নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে তিনি লিখেছেন, ‘এটা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়, এটা নতুন বাংলাদেশ।’

জুলাই অভ্যুত্থান দমাতে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকা আওয়ামী লীগ। এর মধ্যে গতকাল সোমবার ঢাকায় দুটি বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে; কয়েক জায়গায় বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছে।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় আওয়ামী লীগের লগি-বৈঠা আন্দোলনে জামায়াতকর্মীদের সঙ্গে সংঘাতের প্রসঙ্গ টেনে শফিকুল আলম বলেন, ‘বিএএল, তাদের সহযোগী এবং তাদের গণহত্যাকারী নেতারা মনে করছেন যেন আবারও ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর ফিরে এসেছে। তারা কল্পনা করছে দিবালোকে এক ডজন মানুষ হত্যার পর হাজার হাজার গু-া নিয়ে মধ্য ঢাকার রাস্তায় দখল নেওয়ার দৃশ্য। কিন্তু দুঃখিত, এটা এখন একটি নতুন বাংলাদেশ। নিষিদ্ধ রাজনৈতিক বা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর যেকোনো সমাবেশের প্রচেষ্টাই আইনের পূর্ণশক্তির মুখোমুখি হবে।’

আওয়ামী লীগের উদ্দেশে শফিকুল আলম বলেন, ‘জুলাইয়ের বিপ্লবীদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না। আর মনে রাখবেন, এটা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর নয়, এটা জুলাই, চিরকালের জন্য।’

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!