মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০৫:১১ এএম

সরকারি দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি

পিরোজপুর প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২৫, ০৫:১১ এএম

সরকারি দামের চেয়ে  বেশি দামে সার বিক্রি

  • তদন্ত চললেও বিক্রি অব্যাহত
  • কৃষকদের কাছ থেকে ২৫-৩৫ টাকায় সার বিক্রি
  • কৃষি অফিস বলছে, তদন্ত শেষে ব্যবস্থা হবে

পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে ‘আতিক ট্রেডার্স এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি খুচরা সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে। উপজেলা কৃষি অফিসের তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায়ও আবারও একই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দোকানটির মালিক হেমায়েত মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করে আসছেন। এর আগে অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান ঘটনাটি তদন্ত শুরু করেন। তবে তদন্ত চলাকালীন সময়েও তিনি কৃষকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত দামে সার বিক্রি করেছেন।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হেমায়েত মোল্লা স্থানীয় কৃষকদের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী মোড়লগঞ্জ উপজেলাতেও নিয়ম ভেঙে সার বিক্রি করছেন। কৃষকরা জানান, তিনি ইউরিয়া, ডিএপি এবং এমওপি সার সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে অনেক বেশি দামে বিক্রি করছেন।

মোরেলগঞ্জ উপজেলার চর-হোগলাবুনিয়া গ্রামের কৃষক মিজান বলেন, ‘আমি ইউরিয়া ৩০ টাকা, ডিএপি ৩০ টাকা এবং এমওপি ২৫ টাকা কেজি দরে কিনেছি, যা সরকারি দামের চেয়ে বেশি।’

একই এলাকার কৃষক আ. কুদ্দুস হাওলাদার বলেন, ‘ডিএপি সার ৩৫ টাকা কেজি দরে ২০ কেজির জন্য ৭০০ টাকা নিয়েছেন হেমায়েত মোল্লা।’

আরেক কৃষক ফজলু বলেন, ‘আমি সৌদিয়া সার ৩০ টাকা কেজি দরে ৮ কেজি কিনেছি।’

দক্ষিণ ইন্দুরকানী গ্রামের হারুন মাতুব্বর জানান, ‘ডিএপি সার ৩৫ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি কিনেছি। পরে ৫০ কেজির জন্য দিতে হয়েছে ১,৬০০ টাকা।’

অভিযোগের বিষয়ে হেমায়েত মোল্লা বলেন, ‘আমি সরকার নির্ধারিত মূল্যেই সার বিক্রি করছি। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। ক্রেতারা খুচরা কিনতে এলে পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হয় না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এর আগেও তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ উঠেছিল, যা এখনো তদন্তাধীন। নিয়ম অনুযায়ী এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায় সার বিক্রি করা নিষিদ্ধ। তদন্ত শেষ হলে রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!