শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৩:২৫ এএম

ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া বেড়ে জনমনে আতঙ্ক

রাজশাহী ব্যুরো

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৬, ২০২৫, ০৩:২৫ এএম

ডায়রিয়া-নিউমোনিয়া  বেড়ে জনমনে আতঙ্ক

  • দুই দিনে ভর্তি ১১২ জন, শিশু-বয়স্করাই বেশি আক্রান্ত
  • তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় জ্বর-সর্দি-কাশি বেড়েছে
  • চিকিৎসকদের সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ

রাজশাহীতে ঠান্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়া রোগে আক্রান্তের সংখ্যা হঠাৎ করেই চরমভাবে বেড়ে গেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশু ও বয়স্করা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর চাপ স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় অনেক বেশি, যার বড় অংশই ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও শ্বাসতন্ত্রের জটিলতায় ভুগছেন।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বহির্বিভাগে অন্যান্য রোগীর সংখ্যা কমলেও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা দৈনিক ৩০০ থেকে ৩৫০ জনে দাঁড়িয়েছে। গত দুই দিনেই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ১১২ জন। গত সোমবার ভর্তি হওয়া ৫৭ জন রোগীর মধ্যে ৩৪ জন বয়স্ক ও ২৩ জন শিশু। গত মঙ্গলবার ভর্তি হওয়া ৫৫ জনের মধ্যে ২৫ জন শিশু এবং ৩০ জন বয়স্ক।

চিকিৎসকদের মতে, শীত বাড়ার ফলে শিশু ও বয়স্কদের মধ্যে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ার প্রকোপ বেশি দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সব বয়সি রোগী হাসপাতালে আসছেন। হাসপাতালে ভর্তি শিশু সাইয়ান আলীর বাবা বুলবুল জানান, এক সপ্তাহ জ্বর ও কাশিতে ভোগার পর সন্তানকে হাসপাতালে আনতে হয়েছে। যদিও জ্বর কমেছে, শিশুটি এখনো কাশিতে ভুগছে। আরেক অভিভাবক সাজন বলেন, তার মেয়ের সর্দি-জ্বরের সঙ্গে ডায়রিয়া দেখা দিলে হাসপাতালে আনতে হয়; চিকিৎসায় এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র ডা. শংকর কে বিশ্বাস বলেন, ঠান্ডাজনিত রোগ থেকে বাঁচতে গরম কাপড় ব্যবহার, ঠান্ডা বাতাস এড়িয়ে চলা এবং শিশুদের বাইরে কম বের করা জরুরি। ঘরে শীতল বাতাস ঢুকতে না পারে, এ বিষয়ে অভিভাবকদের বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি।

আবহাওয়া অফিস জানায়, রাজশাহীর সর্বোচ্চ এবং সর্বনি¤œ তাপমাত্রা কমে গেছে, ফলে শীতের অনুভূতি বেড়েছে। সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাজীব খান জানান, একদিনের ব্যবধানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কমেছে ০.৬ ডিগ্রি এবং সর্বনি¤œ তাপমাত্রা কমেছে ১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৪ ডিগ্রি ও সর্বনি¤œ ১২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সকালে রেকর্ড হয়েছে ১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীত আরও বাড়তে পারে বলেও তিনি জানান।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!