সদ্যই মুক্তি পেয়েছে সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। বড় পর্দায় রণবীর সিংয়ের সিনেমাটি আসতে না আসতেই এলো নতুন চমক। দ্বিতীয় ভাগ আসবে এই সিনেমার। শুধু তাই নয়। কল্পনাতীতভাবে শিগগিরই মুক্তি পাবে এই সিনেমার দ্বিতীয় ভাগও। ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাটি গতকাল বড় পর্দায় মুক্তি পেয়েছে। সেই সিনেমার শেষেই পোস্ট ক্রেডিটে জানানো হয়েছে ‘ধুরন্ধর ২’ আসছে। ফলে স্রেফ গুঞ্জন নয়, বিষয়টাকে সিলমোহর দিলেন সিনেমার নির্মাতারা।
আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালেই মুক্তি পাবে ‘ধুরন্ধর ২’। তাও কবে? ১৯ মার্চ। হ্যাঁ, মাত্র ৩ মাসের ব্যবধানে মুক্তি পাবে রণবীর সিং অভিনীত এই সিনেমার দ্বিতীয় ভাগ। ফলে এখান থেকে এতটুকু স্পষ্ট যে পরিচালক আদিত্য ধর সিনেমাটির দুটো ভাগের শুটিংই একেবারে করে রেখেছেন।
‘ধুরন্ধর’ সিনেমাটি ৩ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের। টানটান স্ক্রিপ্ট, মারকাটারি অ্যাকশনে জমে উঠেছে সিনেমাটি। ফলে দর্শকদের নজর এখন ‘ধুরন্ধর ২’-এর দিকে। এর আগেও একাধিক সিনেমার সিক্যুয়েল এসেছে, কিন্তু এত কম সময়ের ব্যবধানে বোধহয় এই প্রথম।
‘ধুরন্ধর’ সিনেমাতে মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন রণবীর সিং। বছর দুয়েকের বিরতির পর বড় পর্দায় ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার মাধ্যমে ফিরলেন রণবীর সিং। সূত্রের খবর, এই সিনেমার জন্য সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পেয়েছেন রণবীর।
এক প্রতিবেদন অনুসারে, রণবীর সিং এই সিনেমার জন্য ৩০-৫০ কোটি টাকা পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সিনেমাটিতে একজন ভারতীয় গোয়েন্দা এজেন্টের চরিত্রে অভিনয় করছেন রণবীর সিং। এতে আরও অভিনয় করেছেন সঞ্জয় দত্ত, অক্ষয় খান্না, অর্জুন রামপাল, আর মাধবন, সারা অর্জুন প্রমুখ। প্রেক্ষাগৃহে ‘ধুরন্ধর’মুক্তি পেতেই নেটপাড়ায় প্রশংসা শুরু হয়েছে। রণবীর সিংহ এই সিনেমাতে সেরা অভিনয় করেছেন বলেও অনেকে দাবি করছেন।
এর আগে এই সিনেমাতে কাজ করেছেন রাকেশ বেদি। তিনি জানিয়েছিলেন যে, এই সিনেমার সিক্যুয়েল আসবে। তিনি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘গত বছর জানুয়ারি মাসে যখন সিনেমাটি শুরু হচ্ছে তখন আদিত্য আমায় সিনেমাটি অফার করেন। এই সিনেমাতে আমি একেবারেই অন্যরকম একটা চরিত্রে অভিনয় করব। এর দ্বিতীয় ভাগ আসবে। সেটাও তৈরি আছে। মাস দুই তিনের মধ্যেই মুক্তি পাবে।’ রাকেশ জানিয়েছেন তার চরিত্রটি পাকিস্তানের একজন বাস্তবের নেতার থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বানানো।
‘ধুরন্ধ’র মুক্তি পাওয়ার পর দর্শকদের থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছে। বক্স অফিসেও বেশ ভালোই দাপট দেখাবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। সিনেমার ট্রেলার নজর কেড়েছে এর আগে।
সেন্সর বোর্ডের বিবরণ অনুযায়ী, ‘ধুরন্ধর’ নির্মিত হয়েছে ১৯৯৯ সালের আইসি-৮১৪ কান্দাহার হাইজ্যাক এবং ২০০১ সালের ভারতীয় সংসদে হামলা, এই দুই ঘটনার ছায়ায়। সিনেমার গল্পের কেন্দ্রে রয়েছেন ভারতের ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর প্রধান অজয় সান্যাল। পাকিস্তান থেকে পরিচালিত এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি নেটওয়ার্ক গুঁড়িয়ে দিতে তিনি তৈরি করেন এক দুঃসাহসিক ও প্রায় অসম্ভব গোয়েন্দা অভিযান।
সিনেমা নিয়ে বিতর্ক হয়েছে বিস্তর। অতিরিক্ত হিংসা প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। আবার অভিযোগ উঠেছে, অনুমতি না নিয়েই মেজর মোহিত শর্মার জীবন তুলে ধরা হয়েছে। মেজর মোহিতের বাবা ও মা সিনেমার ওপর নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন। সব বাধা পেরিয়ে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। এখন রণবীরের ‘ধুরন্ধর ২’ দেখার অপেক্ষায় দর্শকরা।

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন