- দুই প্রান্তের সংযোগ সড়ক না থাকার কারণে ব্যবহার করা যাচ্ছে না
- স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশ-কাঠের সাঁকো বানিয়ে চলাচল করছেন
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের চাওবন-ডুয়াইবাড়ি আঞ্চলিক সড়কের সেরার খালের ওপর নির্মিত কোটি টাকার সেতুটি ছয় মাস পরও ব্যবহার করা যাচ্ছে না। সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগ সড়ক না থাকায় আশপাশের কয়েকটি গ্রামের হাজারো মানুষ আজও দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন। বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা ঝুঁকিপূর্ণভাবে বাঁশ ও কাঠের অস্থায়ী সাঁকো বানিয়ে সেতু পার হচ্ছেন। বিশেষত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, নারী ও বয়োবৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির সম্মুখীন।
স্থানীয়রা জানান, সেতু নির্মাণের সময় দ্রুত সংযোগ সড়ক তৈরি করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
চাওবন গ্রামের আবদুর রহমান বলেন, ‘সেতুটি আমাদের প্রধান চলাচলের পথ। কিন্তু রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন কাঠ-বাঁশের সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠতে হয়, শিশুদের জন্য এটি ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ।’
রওশন বেগম ও কারিমা নামের নারী বাসিন্দারা জানান, তাদের সন্তানদের প্রতিদিন ভয়ে-ভয়ে সেতু পার করতে হয়।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস জানিয়েছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের গ্রামীণ সড়কে সেতু ও কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ১ কোটি ৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ৪০ ফুট দীর্ঘ ও ১৪ ফুট প্রশস্ত সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিথুন এন্টারপ্রাইজ সেতুর মূল কাজ শেষ করেছে।
স্বত্বাধিকারী আশরাফুল ইসলাম জানান, বর্ষার কারণে মাটি সংগ্রহে দেরি হওয়ায় সংযোগ সড়কের কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান বাবু এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) ইশতিয়াক হোসাইন উজ্জ্বল জানান, মাটির ব্যবস্থা হলে সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত শুরু হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ব্যারিস্টার সজীব আহমেদ বলেন, ‘সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ শুষ্ক মৌসুমে শুরু হবে এবং জনদুর্ভোগ দ্রুত দূরীকরণে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে রুপালী বাংলাদেশের গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন