বুধবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:২৩ এএম

টিআইবির প্রতিবেদন

অভ্যুত্থান-পরবর্তী ১৫ মাসে হামলা-মামলায় ভুক্তভোগী ১০৭৩ সাংবাদিক

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৫, ০১:২৩ এএম

অভ্যুত্থান-পরবর্তী ১৫ মাসে  হামলা-মামলায় ভুক্তভোগী  ১০৭৩ সাংবাদিক

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর গত ৫ আগস্ট থেকে চলতি বছরের ১ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে অন্তত ৪৭৬টি ঘটনায় ১ হাজার ৭৩ জন গণমাধ্যমকর্মী বিভিন্নভাবে ভুক্তভোগী হয়েছেন। এর মধ্যে হামলা, মামলা, হত্যা, হুমকি, হয়রানি, কারাবাস ও চাকরিচ্যুতির মতো ঘটনা রয়েছে। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে।

গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী দিবস-২০২৫ উপলক্ষে টিআইবি আয়োজিত ‘কর্তৃত্ববাদ পতন-পরবর্তী বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পরিস্থিতি’ শীর্ষক আলোচনায় এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন ডেপুটি কো-অর্ডিনেটর জাফর সাদিক।

১৫ মাসের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রবন্ধে জানানো হয়, এই সময়ের মধ্যে ২৫৯টি ঘটনায় ৪৫৯ জন গণমাধ্যমকর্মী হামলার শিকার হয়েছেন। ৮৯টি ঘটনায় ৯৯ জনকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হয়েছে এবং ৩০টি ঘটনায় ৭০ জন হয়রানির শিকার হয়েছেন। এ ছাড়া ১৯টি ঘটনায় অন্তত ২৭ জন সাংবাদিককে আটক করা হয়েছে। ৬ জন সাংবাদিক হত্যাকা-ের শিকার হয়েছেন।

সাংবাদিকদের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা বা বাড়িঘর ধ্বংসের মতো ৯টি ঘটনা ঘটেছে, যেখানে ১৭ জন ভুক্তভোগী হয়েছেন। এ ছাড়া ৫টি ঘটনায় ১৮৯ জন সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত, দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি কিংবা বরখাস্ত করা হয়েছে।

মূল প্রবন্ধে জাফর সাদিক বলেন, ‘কর্তৃত্ববাদের পতনের পর আশা করা হয়েছিল, গণমাধ্যমের জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ ও অবাধ সাংবাদিকতার পথ তৈরি হবে। কিন্তু বিগত ১৬ মাসের বাস্তবতা ভিন্ন কথা বলছে।’

বিশ্ব সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১৬ ধাপ এগিয়ে ১৪৯তম অবস্থানে এলেও এতে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার সুযোগ নেই বলে মনে করে টিআইবি। সংস্থাটির মতে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং আগে বিরাজমান নেতিবাচক পরিস্থিতি থেকে এখনো পুরোপুরি উত্তরণ ঘটেনি; এমনকি কিছু ক্ষেত্রে সম্ভাবনা দেখা দিলেও তা নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।

গবেষণায় দেখা যায়, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর গণমাধ্যমের ব্যবস্থাপনা পর্ষদ ও উচ্চপদস্থ সাংবাদিকদের মধ্যে বড় ধরনের রদবদল ঘটেছে। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জেরে অন্তত ৮ জন সংবাদপত্র সম্পাদক এবং ১১ জন বেসরকারি টেলিভিশনের বার্তাপ্রধানকে বরখাস্ত করা হয়েছে বা তারা পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন।

গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন উদ্ধৃত করে টিআইবি জানায়, ২৯টি গণমাধ্যমের শীর্ষ পদে পরিবর্তন এবং একটি অনলাইন পোর্টালের মালিকানায় বদল এসেছে। এসব পরিবর্তন সবসময় স্বচ্ছভাবে হয়নি এবং অনেক ক্ষেত্রে মালিকপক্ষ বা নতুন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ানোর চেষ্টা করছে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!