রাশিয়া ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টদের সঙ্গে কথা বলে ফায়দা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েক দিন ধরেই হতাশ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি কোনোভাবেই পুতিনকে বাগে আনতে পারছেন না। তার আশা ছিল, আলোচনার মাধ্যমেই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্রমাগত আক্রমণে ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেছে ট্রাম্পের।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে টেলিফোনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিনের ওপর হতাশা ঝাড়েন ট্রাম্প। পুতিনের সঙ্গে সম্পর্ক এখনো ছিন্ন করেননি বলেও জানান তিনি। পুতিনের ওপর বিশ্বাস হারিয়েছেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তিনি কারো ওপরই আস্থা বা বিশ্বাস রাখেন না।
৫০ দিনের মধ্যে ইউক্রেনে যুদ্ধবিরতি চুক্তি না হলে রাশিয়ার ওপর কঠোর শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউজে ন্যাটো প্রধান মার্ক রুটের সঙ্গে বৈঠকে এ ঘোষণা দেন তিনি। এ ছাড়া ন্যাটোর মাধ্যমে ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের পরিকল্পনাও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ইউক্রেন নিয়ে তলানিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সম্পর্ক। দীর্ঘদিন পুতিনের প্রশংসা করলেও যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করার জন্য এখন তাকেই দুষছেন ট্রাম্প। এর মধ্যেই সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন ন্যাটোপ্রধান মার্ক রুটোর সঙ্গে। এ সময় পুতিনের ওপর অসন্তোষও প্রকাশ করেন ট্রাম্প।
সোমবার ওভাল অফিসে খুব কড়া ভাষায় বক্তব্য রাখছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইউক্রেনে নতুন করে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের ঘোষণা দিচ্ছিলেন তিনি। এ ছাড়া রাশিয়ার ওপর নতুন করে বড় ধরনের শুল্ক আরোপের হুমকিও দিচ্ছিলেন, যা কার্যকর হলে রাশিয়ার যুদ্ধ চালানোর সক্ষমতায়ও আঘাত হানতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্টের এমন ঘোষণার পর মস্কো স্টক এক্সচেঞ্জ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছিল? দেখা গেছে, সেখানে শেয়ারের দরপতনের বদলে গড়ে ২.৭ শতাংশ বেড়েছে। এর কারণ হলো, ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছ থেকে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞার জন্য প্রস্তুত ছিল রাশিয়া।
ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে সংঘর্ষের দিকে এগোচ্ছে। রাশিয়ান ট্যাবলয়েড মস্কোভস্কি কমসোমোলেটস তাদের সোমবারের সংস্করণে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের সোমবারের চমক আমাদের দেশের জন্য সুখকর হবে না। ‘সুখকর’ না হলেও এই ঘটনায় স্বস্তি পাচ্ছে রাশিয়া। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, রাশিয়ার বাণিজ্যিক অংশীদারদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফার শুল্ক আরোপ মাত্র ৫০ দিনের মধ্যেই শুরু হবে। এই প্রেক্ষাপট মস্কোকে পাল্টা প্রস্তাব নিয়ে আসতে এবং নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন আরও বিলম্বিত করার জন্য যথেষ্ট সময় দেবে।
আপনার মতামত লিখুন :