পাকিস্তানের সোয়াতে এক যৌথ অভিযানে ভারত-সমর্থিত ‘ফিতনা আল-খারিজ’ জঙ্গিগোষ্ঠীর তিন সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে দেশটির পুলিশ ও কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন ‘হাই ভ্যালু টার্গেট’। পাকিস্তান সরকার তার মাথার মূল্য নির্ধারণ করেছিল ২০ লাখ রুপি। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সিটিডির বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জঙ্গিরা নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলা এবং পুলিশ সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। নিহতদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আজমল ওরফে ওয়াকাস, যিনি গ্রাম প্রতিরক্ষা পরিষদের সদস্যদের হত্যা করার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ছিলেন।
দ্বিতীয় নিহত জঙ্গিকে শনাক্ত করা হয়েছে মতিউল্লাহ হিসেবে, যিনি ইসহাক ও জুনায়েদ নামেও পরিচিত ছিলেন। তৃতীয় নিহত জঙ্গির নাম রহিমুল্লাহ রেহমানি, যিনি রোহুল্লাহ নামেও পরিচিত। সিটিডি আরও জানায়, এই জঙ্গিরা আইইডি (বিস্ফোরক ডিভাইস) হামলা, চাঁদাবাজি ও বিদেশি অর্থায়নের সহায়তায় সোয়াত অঞ্চলে সন্ত্রাস ছড়ানোর কাজ করছিল। আঞ্চলিক পুলিশ কর্মকর্তা শের আকবর খান এই অভিযানকে ‘ফিতনা আল-খারিজ’ গোষ্ঠীর সোয়াত ও আশপাশের এলাকায় কার্যক্রমে এক বড় আঘাত বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, গোষ্ঠীটি নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে।
আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল মালয়েশিয়া
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে হাজার হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন। প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের পদত্যাগের দাবিতে রাজপথে নেমেছে দেশটির জনগণ। এ সময় তারা বলছেন, ‘সরে যাও আনোয়ার’। বিক্ষোভকারীরা আনোয়ার সরকারের বিরুদ্ধে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলছেন। এদিকে, বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে শহরের বিভিন্ন স্থানে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
মালয়েশিয়ার গণমাধ্যম ‘ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে’ বলছে, শনিবার সকাল থেকেই রাজধানী কুয়ালালামপুরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ রাজপথে বের হন। তারা মারদেকা স্কয়ার ও এর আশেপাশের এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় তাদের হাতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার ছিল, যেখানে আনোয়ারের পদত্যাগ ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ক্ষমতায় আসার আগে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন।
মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, আনোয়ার ইব্রাহিমের ‘প্রতিশ্রুতি ভঙ্গই’ এ বিক্ষোভের মূল কারণ। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ ও জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে জনগণের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ বিরাজ করছে। ফ্রি মালয়েশিয়া টুডে আরও জানিয়েছে, যদিও মালয়েশিয়ার সরকার এবং তাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণভাবে ছত্রভঙ্গ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, তবে জনতা তাদের দাবিতে অনড় রয়েছে।