ঢাকা শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

৪৫ বছর পর ফের আফিম উৎপাদনে যাচ্ছে ইরান

ভিনদেশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২৫, ১১:৪৪ পিএম

দীর্ঘ ৪৫ বছর পর প্রথমবারের মতো দেশের অভ্যন্তরে আফিম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইরান। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে সম্প্রতি ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান এ-সংক্রান্ত একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমস।

ইরানের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন দপ্তর (এফডিএ) জানিয়েছে, দেশের ওষুধ উৎপাদন খাতে ব্যবহারের জন্য আফিম চাষের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এফডিএ-এর মুখপাত্র মোহাম্মদ হাশেমি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে বলেন, ‘মরফিন, কোডেইন, পেথিডিনসহ বেশ কয়েকটি জরুরি ওষুধের প্রধান কাঁচামাল আফিম। আফিমের সরবরাহ না হলে ওষুধগুলো উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। সব দিক বিবেচনা করে বৈধভাবে আফিম উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, ইরানের বাৎসরিক আফিমের চাহিদা ৫০০ টন। একসময় এই আফিমের পুরোটাই আসত প্রতিবেশী দেশ আফগানিস্তান থেকে। ২০২১ সালে কাবুল দখলের পর আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকার আফিম চাষ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে।

ইরানে অবশ্য একসময় সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে আফিমের চাষ হতো। ১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের পর আফিম চাষে নিষেধাজ্ঞা দেয় তৎকালীন সরকার।

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে সাঈদ সেফাতিয়ান বলেন, ‘ইরানের মাটি এবং আবহাওয়া আফিম চাষের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। তাই যদি সত্যিই দেশে আফিমের চাষ শুরু হয়, তাহলে নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বৈধভাবে বিদেশেও আফিম রপ্তানি করা সম্ভব হবে।’

মাদকের অবৈধ ব্যবহার ইস্যুতে অবশ্য ইরানের সরকার কঠোর। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালে অনুমোদনহীনভাবে প্রবেশ করা আফিমের ৯০ শতাংশই জব্দ করতে পেরেছিল পুলিশ। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের তথ্য অনুসারে, অবৈধ মাদক ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে প্রায় ৫০০ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল ইরান।