যত দূর চোখ যায়, ধ্বংসস্তূপ ছাড়া কিছুই চোখে পড়ে না। বহুদিন পর গাজার এই ধ্বংসের নগরীতেই আবারও ফিরছে ফিলিস্তিনিরা, যেখানে মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকুও নেই তাদের। তবু আপন ভূমিতে ফিরতে পেরে খুশি গাজাবাসী। যেখানে তাদের বোনা ছিল হাজারো রঙিন স্বপ্ন, যা ফিলিস্তিনের মাটির মতোই আজ ধূসর। এ অবস্থায় গাজা শহরে চলছে বুলডোজার দিয়ে ইট-পাথর সরানোর কাজ। ন্যূনতম বাসযোগ্য করতেই ফিলিস্তিনিদের এই প্রচেষ্টা।
হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতিতে একদিকে যখন বাড়ি-ঘরে ফেরার আনন্দে ভাসছে ফিলিস্তিনিরা, এর সঙ্গে গাজায় ত্রাণ পৌঁছানো যোগ করেছে নতুন মাত্রা। সীমান্ত খুলে দেওয়ায় গাজাবাসীর জন্য কয়েক ট্রাক ভর্তি মানবিক সহায়তা পৌঁছায় উপত্যকাটিতে। দৈনিক ৬০০ ট্রাক ত্রাণ প্রবেশের কথা রয়েছে গাজায়। গাজায় যখন কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস, তখন বন্দিবিনিময় নিয়ে চলছে তোড়জোড়। বাংলাদেশ সময় সোমবার দুপুরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে বন্দিবিনিময়ের কথা নিশ্চিত করেছে দুই পক্ষই। যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলের সব জীবিত ও মৃত জিম্মিকে মুক্তি দেবে হামাস। অন্যদিকে অন্তত ২৫০ ফিলিস্তিনিকে ছেড়ে দেবে তেল আবিব। এরই মধ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছে তারা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন