যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সমুদ্র পরিবহন সংস্থাগুলোর ওপর অতিরিক্ত বন্দর ফি আদায় শুরু করবে মঙ্গলবার থেকে। সংস্থাগুলো খেলনা থেকে শুরু করে অপরিশোধিত তেল পর্যন্ত সবকিছু পরিবহন করে। আর তাই বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধের ক্ষেত্রে সমুদ্র একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্রন্টে পরিণত হতে যাচ্ছে।
চীন জানিয়েছে, মার্কিন মালিকানাধীন, পরিচালিত, নির্মিত বা পতাকাবাহী জাহাজের ওপর বিশেষ চার্জ আদায় শুরু করেছে তারা। তবে স্পষ্ট করে বেইজিং বলেছে, চীনা-নির্মিত জাহাজগুলো এই শুল্কের বাইরে থাকবে। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, চীন ছাড়ের বিষয়ে নির্দিষ্ট বিধান উল্লেখ করেছে, যার মধ্যে মেরামতের জন্য চীনা শিপইয়ার্ডে প্রবেশকারী খালি জাহাজও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। চীন কর্তৃক আরোপিত অতিরিক্ত বন্দর ফি একক সমুদ্রযাত্রার প্রথম প্রবেশ বন্দরে অথবা এক বছরের মধ্যে প্রথম পাঁচটি সমুদ্রযাত্রার জন্য আদায় করা হবে। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ওপর অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলার পর মঙ্গলবার চীন জানিয়েছে যে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধে ‘শেষ পর্যন্ত লড়াই’ করতে প্রস্তুত। বেইজিং থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘শুল্ক যুদ্ধ ও বাণিজ্য যুদ্ধের বিষয়ে চীনের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি লড়াই করতে চান, আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করব; আপনারা যদি আলোচনা করতে চান, আমাদের দরজা খোলা থাকবে।’
সমস্ত চীনা পণ্যের ওপর ট্রাম্প অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ আরো খারাপ হবে বলে সপ্তাহের শেষে উদ্বেগ বেড়ে যায়। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে চীনের আধিপত্যে থাকা বিরল মৃত্তিকার কৌশলগত ক্ষেত্রে নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আরোপের বেইজিংয়ের ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই ঘোষণা বাজারে আলোড়ন তুলেছে এবং দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সি চিনপিংয়ের সম্ভাব্য আসন্ন বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।