শেরপুর পৌর শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলোর বেহাল অবস্থা চরম জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরের প্রায় প্রতিটি সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। কোথাও কোথাও রাস্তাগুলো চলাচলের সম্পূর্ণ অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থী, রোগী ও ব্যবসায়ীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে।
পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার শেরপুর পৌরসভা ১৮৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যা বগুড়া পৌরসভার আগের। প্রায় ১০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই পৌর এলাকায় বর্তমানে লক্ষাধিক মানুষের বসবাস। শহরে রয়েছে শেরপুর উপজেলার বৃহত্তম বারোদুয়ারী হাট, একটি ৩১ শয্যার সরকারি হাসপাতাল, ১৬টিরও বেশি বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ১০টির মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু একটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হয়েও এখানকার নাগরিক সুবিধার মান অত্যন্ত নিম্ন।
শহরের খন্দকার পাড়ার বাসিন্দা এসএম ফেরদৌস বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ রাস্তাগুলোর এমন অবস্থায় রিকশাচালকরাও যেতে চায় না। আবার কেউ গেলে বাড়তি ভাড়া চায়।’ তিনি জানান, ‘প্রয়োজন না হলে শহরের ভিতরের রাস্তা এড়িয়ে মহাসড়ক দিয়ে চলাচল করি।’
হাটখোলা, খন্দকার পাড়া, সাবরেজিস্ট্রি অফিস, পৌরসভা কার্যালয়, থানা সড়ক, সকাল ও বিকেল বাজারসহ শহরের বেশিরভাগ সড়কেই একই চিত্র বিরাজ করছে।
বর্তমানে পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, ‘শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও সড়কের দুরবস্থা সমাধানে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’ তিনি জানান, কোভিড-১৯ প্রকল্পের আওতায় ৯টি ওয়ার্ডে প্রায় ৩ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩টি ওয়ার্ডে কাজ শেষ হয়েছে এবং বাকি ৬টিতে কাজ চলছে।
তিনি আরও জানান, ‘রিসাইলেন্ট আরবান টেরিটোরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট’ (আরইউটিডিপি) থেকে প্রায় ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ পেয়েছে পৌরসভা। এই অর্থ দিয়ে হাজীপুর ৪ লেন রোড থেকে ধুনট রোড ডক্টরস ক্লিনিক পর্যন্ত মূল সড়ক এবং সংশ্লিষ্ট লিংক রোডগুলোর উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পৌরবাসী দীর্ঘদিনের সড়ক জনদুর্ভোগ থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :