রাজস্ব আহরণে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি না হওয়ায় বিকল্প উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। বিদেশি অর্থায়ন শুধু প্রত্যক্ষ বিনিয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, পুঁজিবাজারেও বিদেশি বিনিয়োগ আনার বড় সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। গতকাল বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে কেয়ার বাংলাদেশের আয়োজনে ‘দ্য নেক্সট ফ্রন্টিয়ার: ড্রাইভিং ডেভেলপমেন্ট উইথ মার্কেটস, ক্যাপিটাল অ্যান্ড ইনোভেশন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে গভর্নর এসব কথা বলেন।
গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব সম্পদ আহরণের সক্ষমতা বাড়াতে হবে, যা করা পুরোপুরি সম্ভব। বিদেশি সহায়তা একসময় জিডিপির ১২-১৪ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা অনেক কমে এসেছে। এখন দেশের উন্নয়নে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেই অর্থ জোগাড় করতে হবে।’ তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণে কাক্সিক্ষত অগ্রগতি না হওয়ায় বিকল্প উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এ বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশি অর্থায়ন শুধু প্রত্যক্ষ বিনিয়োগেই সীমাবদ্ধ নয়, পুঁজিবাজারেও বিদেশি বিনিয়োগ আনার বড় সুযোগ রয়েছে।
গভর্নরের মতে, অর্থনীতির তিনটি বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ধারাবাহিক উদ্যোগে প্রয়োজন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, আর্থিক খাতের স্থিতিশীলতা এবং উদ্ভাবন ও আর্থিক শিক্ষা বিস্তার। তিনি বলেন, ‘আমরা জানি ব্যাংক খাতের কী অবস্থা। একে স্থিতিশীল করতে ধাপে ধাপে পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে, বাস্তবায়নে সময় লাগবে তিন থেকে চার বছর। তিনি আরও বলেন, ঋণ গ্রহণে স্বচ্ছতা, ব্যাংকবহির্ভূত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি এবং গ্রামাঞ্চলে এজেন্ট ব্যাংকিং সম্প্রসারণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ও ক্ষুদ্র ঋণের প্রসার নিয়ে গভর্নর জানান, প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজার ক্ষুদ্র ঋণ দেওয়া হচ্ছে এবং ইতিমধ্যে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে। গভর্নরের মতে, সময় এসেছে উন্নয়ন সহযোগী নয়, নিজস্ব বাজারভিত্তিক অর্থায়ন কাঠামো গড়ে তোলার, যেখানে পুঁজিবাজার হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি।