ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই, ২০২৫

তুলা আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারে আল্টিমেটাম

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৬, ২০২৫, ০২:৪৪ এএম

আগামীকাল সোমবারের মধ্যে তুলা আমদানিতে অগ্রিম কর প্রত্যাহারো আল্টিমেটাম দিয়েছে বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএ। গতকাল শনিবার তুলা আমদানিতে আরোপিত ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এই আল্টিমেটাম দেয় সংগঠনটি।
সংগঠনটির নেতাদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ ও ভারতের দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে এই শিল্পকে গলা চেপে ধরা হচ্ছে। সুতা ও বস্ত্রকলগুলো বন্ধ হলে দেশের তৈরি পোশাকশিল্প দেউলিয়া হতে এক বছরের বেশি সময় লাগবে না বলেও দাবি করেন তারা।
সম্প্রতি তুলা আমদানিতে আরোপিত ২ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহারের দাবিতে এই আয়োজন বস্ত্রকল মালিকদের সংগঠন বিটিএমএর। সেখানে সংগঠনটির নেতারা আল্টিমেটাম দেন আগামী সোমবারের মধ্যে এই দাবি বাস্তবায়নের। 
সংবাদ সম্মেলনে বিটিএমএর সহসভাপতি সালেউদ জামান বলেন, সরকার আমাদের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে অগ্রিম কর নেওয়ার জন্য এই পাঁয়তারা করছে। আমি মনে করি এনবিআর বা সরকারের যারা এর সঙ্গে জড়িত, তারা একটু বিবেচনা করবেন, না হলে আমাদের সেক্টর টিকে থাকা কঠিন।
বিটিএমএর পরিচালক রাজিব হায়দার বলেন, ওনারা জানেন, এটা বাস্তবায়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ধ্বংস হব। যখন আমাদের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বলতে কিছু থাকবে না, তখন এটা হবে তাদের জন্য ওপেন মাঠ।
বিটিএমএর পরিচালক খুরশিদ আলম বলেন, একটা দেশ দিচ্ছে আর আপনারা আমাদের ওপর চাপাচ্ছেন, আপনারা তো তাদের সহযোগিতা করতাছেন। এরা কারা, তাদের বের করতে হবে। কোনো কোনো লোক, যারা এই সম্পদকে, এই শিল্পকে ধ্বংস করার জন্য জোগান দিয়ে যাচ্ছেন।
নিট পোশাকে শতভাগ আর ওভেনে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত সুতা সরবরাহের কথা উল্লেখ করে বস্ত্রকল মালিকেরা বলেন, গ্যাস ও পুঁজির সংকটের মাঝে শূন্যের কোটায় নামানো হলো সহায়তা। এখন চাপানো হলো করের বোঝা। এমন পরিস্থিতিতে শিল্প টিকিয়ে রাখার উপায় দেখছেন না তারা। বিটিএমএর নেতাদের মতে, সুতা ও বস্ত্রকল বন্ধ হলে দেউলিয়া হবে তৈরি পোশাক খাত। এ ক্ষেত্রে বিগত সরকার ও ভারতের বিরুদ্ধে নীলনকশার অভিযোগ তোলা হয়।
এদিকে সব জায়গা থেকে সরকারের ব্যবসা করা উচিত নয় বলে মনে করেন বিটিএমএর সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল। তার মতে, সার্বিকভাবে ভালো নেই দেশের বস্ত্র খাত। একপাক্ষিকভাবে করের বোঝা না চাপিয়ে আলোচনায় সমাধান খোঁজার আহ্বান তার।
তিনি আরও বলেন, আমি সরকারের কাছে অনুরোধ করব, আমার দৃঢ় বিশ্বাস সরকার এটা বুঝতে পারবে এবং শিগগির এটা প্রত্যাহার করবে। আমি সরকারের কাছে এ আবেদন আপনাদের মাধ্যমে রাখলাম এবং সরকারের জন্য আমরা কী করতে পারি, সেটা আলোচনার জন্যও আমরা প্রস্তুত আছি। এ সময় বক্তারা জানান, এই খাতে বিনিয়োগের ২২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে ১৮ বিলিয়নই ব্যাংক ঋণ।