ব্যাবসায়িক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন সংস্কার ও সময়োপযোগী করার বিকল্প নেই বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই মিলনায়তনে আয়োজিত এক কর্মশালায় এসব কথা জানানো হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর পরিদপ্তরের (আরজেএসসি) রেজিস্ট্রার এ কে এম নুরুন্নবী কবির। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেলিম রেজা, এফসিএ (পার্টনার, আর্টিসান চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস) ও মোহাম্মদ সানাউল্লাহ (সিইও, মোহাম্মদ সানাউল্লাহ অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস)।
এ ছাড়া ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মানসহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুরুন্নবী কবির বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় পৌনে ৩ লাখ কোম্পানি নিবন্ধিত রয়েছে। নিবন্ধনের প্রায় সব প্রক্রিয়া অনলাইনে হয়ে থাকে। শুধু শেয়ার ট্রান্সফার এখনো অনলাইন হয়নি, তবে এটিও দ্রুত ডিজিটাল কার্যক্রমের আওতায় আসছে। তিনি আরও বলেন, অনেক উদ্যোক্তা বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) কিংবা অডিট রিপোর্ট সময়মতো না করায় আরজেএসসিতে কমপ্লায়েন্স জটিলতায় পড়েন। এতে নিবন্ধনসহ অন্যান্য সেবা পেতে বিঘ্ন ঘটে।
ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় প্রাতিষ্ঠানিক স্বচ্ছতা, জবাবদিহি ও সুশাসন এখন অপরিহার্য। কিন্তু অনেক উদ্যোক্তা কোম্পানি আইন ও কমপ্লায়েন্স সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা না থাকায় বিভ্রান্ত হন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, কর্মশালার মাধ্যমে সদস্যরা পরিচালনা পর্ষদ সভা, বার্ষিক ও বিশেষ সাধারণ সভা আয়োজন, কোম্পানি আইন অনুযায়ী নিয়ম-নীতি প্রতিপালন এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বাস্তবভিত্তিক জ্ঞান লাভ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :