বুধবার, ১৪ মে, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০১:৪৩ এএম

জীবন নিয়ে ছিনিমিনি

স্বপ্না চক্রবর্তী

প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৫, ০১:৪৩ এএম

জীবন নিয়ে ছিনিমিনি

বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিকেরই নেই নিবন্ধন। ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

রাজধানীর আগারগাঁও এলাকার এক সড়কেই রয়েছে সরকারি-বেসরকারি ১৪২ হাসপাতাল। এসব হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন রোগীরা। কিন্তু বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিকেরই নেই নিবন্ধন। ফলে প্রতিনিয়ত রোগীরা সুস্থ হওয়ার বদলে জীবননাশসহ নানাভাবে প্রতারিত হচ্ছেন। যদিও দফায় দফায় অভিযান পরিচালিত হয় এসব হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয় না।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, রাজধানীসহ দেশের আনাচে-কানাচে নিবন্ধনবিহীনভাবে চলছে অন্তত ১২শ’ হাসপাতাল। এসব অবৈধ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের কাটাতে হচ্ছে জীবন-মরণ সংকটে।

ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা: রাজধানীর ডেমরা আমুলিয়ার আইচি হাসপাতাল। হাসপাতালটির সামনে স্কাইভিউ ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত এমন একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা যেখানে ইমার্জেন্সিতে ডাক্তারের ভিজিট মাত্র ৫০ টাকা। আর বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগী দেখেন মাত্র ২০০ টাকায়। ডেমরার আমুলিয়ার মেন্দিপুরের (মাইক্রোস্ট্যান্ড) এ হাসপাতালটির এমন প্রলুব্ধকরণ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অসহায় সাধারণ রোগীরা একটু সুস্থতার আশায় চিকিৎসা নিতে আসেন। আর তখনই শুরু হয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের পৈশাচিক আচরণ।

গত সেপ্টেম্বরে এমনই এক রোগী মোছাম্মৎ সেলিনা বেগম জরায়ুর টিউমার অপারেশনের জন্য হাসপাতালটিতে ভর্তি হলে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সুলতানা পারভীন নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। চার রকমের আলট্রাসনোগ্রামই করানো হয় মোছাম্মৎ সেলিনা বেগমের। সবকিছু চূড়ান্ত করার পরই নেওয়া হয় তাকে অপারেশন থিয়েটারে।

পরিকল্পনা মতো শুরু হয় অস্ত্রোপচারও। কিন্তু আধা ঘণ্টা পর অপারেশন থিয়েটারের বাইরে এসে ডা. সুলতানা পারভীন সেলিনা বেগমের পরিবারকে জানায়, ‘আমরা রোগীর পেট কেটেছি। কিন্তু এই অপারেশন আমার পক্ষে সম্ভব না। সেলাই করে দিচ্ছি। সেলাই শুকালে অন্য জায়গায় নিয়ে অপারেশন করান।’ হতবিহ্বল সেলিনার স্বামী আব্দুল মজিদের তখন দিশেহারা অবস্থা! পেট কাটার পর বলছে অপারেশন করা যাবে না! এও হয় পৃথিবীর কোথাও? এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বেপরোয়া আচরণের শিকার হতে হয় এই প্রতিবেদককে।

খৎনা করাতে আসা দুই শিশুর মৃত্যু হয় গত বছর। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর রাজধানীর সাতারকুলের ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করাতে এসে ভুল চিকিৎসার শিকার হয় শিশু আয়ান। পরে ইউনাইটেড হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে মারা যায় সে। এই ঘটনার পরপরই জানা যায়, নিবন্ধন ছাড়াই প্রায় এক বছর ধরে চলছিল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটির চিকিৎসা কার্যক্রম।

এর কিছুদিন পরই রাজধানীর মালিবাগে আরেক বেসরকারি হাসপাতালে খৎনা করাতে এসে প্রাণ যায় শিশু তাহমিদের। মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার জেএস ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড মেডিকেল চেকআপ সেন্টারে চিকিৎসকদের ভুলে মারা যায় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আহনাফ তাহমিদ। চিকিৎসকরা তাকে খৎনার জন্য পূর্ণ অ্যানেস্থিশিয়া দিলে সেই ঘুম আর তার ভাঙেনি। পরে জানা যায়, ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অ্যানেস্থিশিয়া দেওয়ারই অনুমোদন ছিল না। তৎক্ষণাৎ ডায়াগনস্টিকটিকে সিলগালা করে দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। বছর পেরিয়ে গেলেও হাসপাতালটির বিরুদ্ধে নেওয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এমনকি এখনো চালিয়ে যাচ্ছে চিকিৎসা কার্যক্রম।

সারা দেশে অবৈধ হাসপাতালের সংখ্যা: হাইকোর্টকে দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, সারা দেশে ১ হাজার ২৭টি অবৈধ বা অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং ১ হাজার ৫২৩টি বৈধ বা নিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ব্লাড ব্যাংক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে।

কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকেই বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে, দেশে ১২ শতাধিক অনিবন্ধিত হাসপাতাল রয়েছে দেশজুড়ে। এ ছাড়া রিনিউয়ের জন্য আবেদন রয়েছে কয়েক হাজার। রয়েছে নতুন করে হাসপাতাল তৈরির জন্য আবেদনও। কিন্তু এসবের বাইরেও অন্তত কয়েক হাজার বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদনের তোয়াক্কা না করেই পরিচালনা করছে চিকিৎসা কার্যক্রম। যেগুলোর বেশির ভাগেরই নেই পর্যাপ্ত দক্ষ চিকিৎসক, উন্নত মানের চিকিৎসা যন্ত্রপাতি। তারপরও অনেক হাসপাতালে করা হয় নানা রকমের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্রোপচার। যার খেসারত দিতে হয় রোগীদের। এমনকি কাউকে কাউকে জীবন দিয়েও খেসারত দিতে হচ্ছে।

কাজ হয় না অভিযানেও: নিবন্ধনবিহীন বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনিস্টক সেন্টার বন্ধে প্রথম ২০২২ সালের ২৬ মে দেশজুড়ে অভিযান শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে ৩ দিনে দেশজুড়ে ৫৩৮টি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীতেই বন্ধ হয় ১৬৪টি প্রতিষ্ঠান। দ্বিতীয় ধাপের অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ৮৫০টি অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ব্লাড ব্যাংক বন্ধ করে দেয়। এই অভিযানের দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয় একই বছরের গত ২৯ আগস্ট। পরের বছরগুলোতেও চলে নিয়মিত অভিযান।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথম প্রথম অভিযানে কিছুটা স্থবিরতা থাকলেও পুনরায় তা চালু হয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, প্রতারণা বন্ধে আমাদের নানা ধরনের উদ্যোগ চলমান। অনিবন্ধিত ও অনিয়মের দায়ে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো আবার যাতে চালু না হয় সেজন্য অভিযান চলমান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। মানুষের জীবন নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।

এক সড়কে ১৪২ বেসরকারি হাসপাতাল: শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটট ও হাসপাতাল, শিশু হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, নিউরোসায়েন্স হাসপাতালসহ রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে রয়েছে ১০ থেকে ১৫টি সরকারি হাসপাতাল। এই হাসপাতালগুলোকে কেন্দ্র করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের সামনে থেকে শুরু করে শ্যামলী স্কয়ার পর্যন্ত আধা কিলোমিটার রাস্তায় রয়েছে মোট ১৪২টি বেসরকারি হাসপাতাল। এসবের বেশির ভাগেরই নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুমোদন। সরকারি হাসপাতালগুলো থেকে দালালের মাধ্যমে রোগী ভাগিয়ে এনে ফায়দা লাভ করাই এসব হাসপাতালের মূল কাজ।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাবর রোড, খিলজি রোড, টিবি হাসপাতাল রোড ঘিরে এসব হাসপাতালের রমরমা ব্যবসা চলছে। আধা কিলোমিটার রাস্তায় বেবি কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, ট্রমা সেন্টার অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, অ্যানালাইসিস ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, আশিক মাল্টি স্পেশালাইজড, সিগমা মেডিকেল, মনমিতা মানসিক হাসপাতাল, শেফা হাসপাতাল, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, এলিট ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, চেস্ট কেয়ার, শিশু নিরাময়, মক্কা মদিনা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, প্লাজমা মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, আল মারকাজুল ইসলামী হাসপাতাল, নিউ ওয়েল কেয়ার হাসপাতাল, জয়ীতা মেডি ল্যাব, জনসেবা নার্সিং হোম, মুন ডায়াগনস্টিকসহ অসংখ্য বেসরকারি হাসপাতালকে কেন্দ্র করে শত শত রোগী আর দালালে গিজগিজ করে পুরো এলাকায়।

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ঢাকা শিশু হাসপাতাল, জাতীয় কিডনি ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং জাতীয় বাতজ্বর ও হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রসহ এই এলাকায় সরকারি হাসপাতালগুলো ঘিরে দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা স্বীকার করেছে খোদ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরও।

শুধু এই কয়টি হাসপাতালই নয়, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী এলাকায় এ রকম বৈধ-অবৈধ শতাধিক বেসরকারি হাসপাতাল থাকার কথাটি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নজরেও রয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. আবু জাফর বলেন, আমরা এসব এলাকায় নিয়মিতই অভিযান পরিচালনা করি। কিন্তু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অভিযান পরিচালনা করতে আমাদের সুবিধা হয়।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা: মানুষের জীবন-মৃত্যুর বিষয় যেখানে জড়িত সেখানে এসব অবৈধ অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান এভাবে চলতে পারে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। এসব বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, যদিও নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে এসব অবৈধ হাসপাতালের বিরুদ্ধে। কিন্তু কিছু কিছু হাসপাতাল রয়েছে যারা বলছে তারা লাইসেন্সের জন্য আবেদন করেছে।

কিন্তু এখনো লাইসেন্স পায়নি। কিন্তু সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, এরা অপারেশন থিয়েটার থেকে আইসিইউ সেবা পর্যন্ত দিচ্ছে। সব জায়গাতেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। এগুলো সত্যি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। এগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়ার লক্ষ্যে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে। এসব অবৈধ হাসপাতালে যেসব চিকিৎসক রোগী দেখেন বা চিকিৎসা দেন তাদেরও দায়িত্বশীল হতে হবে।

এসব অবৈধ হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা বিষয়ে সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজির আহমেদ বলেন, দেশের বেসরকারি হাসপাতাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার যে লোকবল আছে তা দিয়ে এত বড় সেক্টর সামলানো সম্ভব না। এক সময় তো দেশে মাত্র কয়েকশ বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ছিল। এখন তো ছোট-বড় হিসাব করলে অর্ধ লাখ হবে।

এজন্য আলাদা একটি অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠান করতে হবে। তিনি বলেন, সারা দেশে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা ও তদারকির জন্য প্রচুর লোকবল দরকার। সেই সঙ্গে যুগোপযোগী আইন লাগবে।

আইনে সর্বোচ্চ ক্ষমতা অধিদপ্তরকে দিতে হবে। তারা যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন। অনুমোদন ছাড়া বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক চালু করার শাস্তি দীর্ঘমেয়াদি কারাবরণ করতে হবে। দুই-চার বছর জেল খেটে যেন বেরিয়ে আসতে না পারে। কারণ তারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।

তিনি বলেন, আইন সংশোধন, সক্ষমতা বৃদ্ধি আর প্রচুর অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে। কারণ শুধু ঢাকা নয়, সারা দেশে এই অধিদপ্তরকে চষে বেড়াতে হবে। ভালো গাইড লাইন তৈরি করতে হবে। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করতে হবে। এর বাইরে আর কোনো সমাধান নেই।

সমাধান স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশে: সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রতিবেদন জমা দিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদনে হাসপাতালকে দালালমুক্ত করাসহ স্বাস্থ্যসেবা খাতের উন্নয়নে একগুচ্ছ সুপারিশ করা হয়।

এক্ষেত্রে ‘বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সার্ভিস’ নামে আলাদা কাঠামো গঠনের কথাও বলা হয়। সুপারিশে অনিবন্ধিত বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনার পাশাপাশি এসব হাসপাতালকে যথাযথ নজরদারিতে নিয়ে আসার কথা বলা হয়। এর জন্য প্রয়োজনীয় ও দক্ষ জনবল নিয়োগেরও সুপারিশ করা হয়। 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!