ঢাকা সোমবার, ০২ জুন, ২০২৫

নতুনদের ন্যূনতম কর ১০০০ টাকা

হাসান আরিফ
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৫, ০৯:৪৫ এএম
ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

স্বল্প ব্যয়ে উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, দারিদ্র্য বিমোচন, প্রবৃদ্ধি সহায়ক ও মানবসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমের আওতা চলতি অর্থবছরের সমপরিমাণই থাকছে। যা সরকারের কৌশলগত উদ্দেশ্য ও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ও তা অর্জনে সহায়ক রাজস্ব বাজেটের আওতায় বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। তবে এই ব্যয় চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে। এই খাতে সরকার স্কিম হিসেবে বরাদ্দ দিয়ে থাকে।

অপরদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং খাদ্য মজুত ও বিতরণ ব্যবস্থা সুসংহত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য খাতের বরাদ্দ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। আর নতুন করদাতাদের উৎসাহিত করতে ন্যূনতম কর ১০০০ টাকার প্রস্তাব আসছে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও এনবিআর সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, নতুন ২০২৫-২৬ অর্থবছরে স্কিম খাতে বরাদ্দ হতে যাচ্ছে ৮ হাজার ৪৫৭ কোটি। যা চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট বরাদ্দ ৫ জাজার ৩৯১ কোটি টাকা। এই হিসাবে বরাদ্দ বাড়ছে ৩ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে স্কিমে বরাদ্দ আছে ৮ হাজার ৪৫৭ কোটি।

জানা গেছে, সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে সম্পদের সহজলভ্যতা আরও ভালোভাবে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আর্থিক পূর্বাভাস (ফিস্কাল ফোরকাস্টিং), বাজেট প্রণয়ন ও বাজেট বাস্তবায়ন, আর্থিক প্রতিবেদন উন্নতকরা এবং স্বচ্ছতা উন্নয়নের মাধ্যমে সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ‘স্ট্রেঞ্জথেনিং পাবলিক ফিন্যান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট প্রোগ্রাম টু এনাবেল সার্ভিস ডেলিভারি (এসপিএফএমএস)’ নামে বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় পাঁচ বছর মেয়াদি একটি কর্মসূচি অর্থ বিভাগের রাজস্ব বাজেটের আওতায় চলমান। এসপিএফএমএস’র শীর্ষক কর্মসূচির মাধ্যমে সরকার নন-এডিপি বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

এদিকে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন এবং খাদ্য মজুত ও বিতরণ ব্যবস্থার সুসংহত করতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য খাতের বরাদ্দ চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজাটের তুলনায় আগমী অর্থবছরের বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ ৯ গুণের বেশি বাড়িয়ে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা করা হতে পারে।

সূত্রটি জানিয়েছে, বর্তমান সরকার খাদ্য নিরাপত্তার ওপর বিশেষ গরুত্ব দিচ্ছে। কোনো পরিস্থিতিতেই যাতে খাদ্যের সংকট তৈরি না হয়, সরকার সবসময় সেই চেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্রচেষ্টার অংশ হিসেবেই আগামী অর্থবছরে খাদ্য খাতে বরাদ্দা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এমনকি ইতোমধ্যে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজাটে খাদ্য খাতের বরাদ্দ প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় অনেক বাড়ানো হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, অনেক দিন ধরেই দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা চাপের মধ্যে রয়েছে। সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে আগামী অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি কমানোর ওপর বিশেষ গুরত্ব দিয়ে বাজেট তৈরি করা হচ্ছে। এ কারণে খাদ্য খাতের বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতা বাড়ানোর পরিকল্প করা হচ্ছে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য খাতে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে। চলতি অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১১৯ কোটি টাকা। ফলে আগামী অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৯৮১ কোটি টাকা বা ৯ দশমিক ২৪ গুণ। অবশ্য চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে খাদ্য খাতের বরাদ্দ বাড়িয়ে ১ হাজার ৮ কোটি টাকা করা হয়েছে। এ হিসাবেও চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে খাদ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ছে।

এদিকে মূল্যস্ফীতি এখনো ৯ শতাংশের ওপরে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নিম্ন আয়ের মানুষ বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের এপ্রিল শেষে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। এক মাস আগে অর্থাৎ মার্চে ছিল ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ। ২০২৪ সালের নভেম্বরে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এরপর চলতি বছরের জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির হার কমে ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশ হয়। ফেব্রুয়ারিতে তা আরও কমে ৯ দশমিক ৩২ শতাংশ।

এমন উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে আগামী অর্থবছরে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দেওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। আগামী অর্থবছরের বাজেট দেওয়ার সময় মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিতে পারেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সাধারণ মানুষকে কিছুটা স্বস্তি দিতে খাদ্য সহায়তা ও টিসিবির মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে খাদ্যপণ্য বিক্রির আওতা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এজন্য খাদ্য সহায়তা খাতে ভর্তুকি বাবদ ১০ হাজার কোটি টাকা এবং টিসিবির ভর্তুকি বাবদ ১৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হতে পারে। চলতি অর্থবছরে খাদ্য ভর্তুকি খাতে ৭ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা ও টিসিবির ভর্তুকি বাবদ ১৯ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকার খাদ্য নিরাপত্তার ওপর খুব জোর দিচ্ছে। যে কারণে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে খাদ্য ক্রয় সংক্রান্ত কোনো প্রস্তাব আসলেই তা অনুমোদন দেওয়া হচ্ছে।

সার্বিক বিষয় মাথায় রেখেই এবার খাদ্য খাতে বরাদ্দা বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে এবার খাদ্য খাতে সব থেকে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হতে পারে। চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে খাদ্য খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয় ১১৯ কোটি টাকা। তার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ দেওয়া হয় ৫০২ কোটি টাকা।

তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের অন্যতম প্রধান উপাদান। বাজেটে খাদ্য খাতের বরাদ্দের বিষয়টি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, পুষ্টি নিশ্চিতকরণ এবং খাদ্য মজুত ও বিতরণ ব্যবস্থার উন্নয়নের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। এ কারণে  আগামী অর্থবছরের বাজেটে খাদ্য খাতে বরাদ্দা বাড়ানো হবে। এ খাতের বরাদ্দ হাজার কোটি টাকার বেশি হতে পারে।

এদিকে বর্তমানে কোনো রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় না থাকায় এবং জাতীয় সংসদ কার্যকর না থাকায় এবার সংসদে বাজেটে প্রস্তাব উপস্থাপন করা হবে না। অর্থ উপদেষ্টার ধারণ করা বাজেট বক্তব্য বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হবে। আগামী ২ জুন সোমবার বিকেল ৪টায় অর্থ উপদেষ্টার ধারণ করা বক্তব্য সম্প্রচার হবে।

নতুন অর্থবছরের জন্য অর্থ উপদেষ্টা ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিতে পারে। তা চলতি অর্থবছরের বাজেটের তুলনায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম। ফলে স্বাধীনতার পর এই প্রথম আগের বছরের তুলনায় নতুন বাজেটের আকার ছোট হচ্ছে।

নতুন অর্থবছরের মার্কিন পারস্পরিক শুল্কের চাপ সামলাতে ১৩৫ পণ্যের শুল্ক কমানো হতে পারে। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ৩১টি শিল্পের কর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহার করার পাশাপাশি আয়করের আওতায় আনা হতে পারে আইটি ব্যবসাকে। একই সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের মতো জুলাই আন্দোলনের আহত সরকারি গেজেটভুক্ত জুলাইযোদ্ধাদের আয়করে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হতে পারে। বাড়ানো হতে পারে ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি এবং মার্কিন প্রশাসনের পারস্পরিক শুল্কের সামলাতে ১৩৫টি পণ্যের আমদানি শুল্ক এবং ৩ শতাধিক পণ্যের সম্পূরক শুল্ক হ্রাস করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আর আমদানি-রপ্তানিকারকদের স্বস্তি দিতে বাজেটে ভুল এইচএস কোড ঘোষণা বা মিথ্যা ঘোষণার জরিমানা কমানো হচ্ছে। পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে কখনো ভুলবশত বা অজ্ঞতাবশত এইচএস কোড ভুলের কারণে মিথ্যা ঘোষণা হয়।

গত কয়েক বছর ধরে ব্যবসায়ীরা এইচএস কোডের ফাঁদে পড়ে সর্বশান্ত হয়েছেন। বিভিন্ন সভা-সেমিনারে বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ী মহল থেকে অভিযোগ করায় আগামী বাজেটে এটি মিথ্যা ঘোষণার সমপরিমাণ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ শতাংশ জরিমানার বিধান করা হচ্ছে। বর্তমানে মিথ্যা ঘোষণার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ শতাংশ জরিমানার বিধান আছে।

নতুন অর্থ বছরের শুল্ক স্তর একটি বাড়িয়ে ৭টি  (০%, ১%, ৩%, ৫%, ১০%, ১৫%, ২৫%) করা হতে পারে। মূলত দেশে উৎপাদিত হয় না, এমন মধ্যবর্তী এবং শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামালের শুল্ক ৩ শতাংশ নির্ধারণ করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তবে খাদ্যদ্রব্য, সার, বীজ, জীবনরক্ষাকারী ওষুধ, তুলাসহ শিল্পের কাঁচামালের শুল্ক হার অপরিবর্তিত রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে সম্পূরক শুল্ক স্তর ১২টি থেকে বাড়িয়ে ১৩টি করা হচ্ছে। বর্তমানে ৬ স্তরের (০%, ১%, ৫%, ১০%, ১৫%, ২৫%) শুল্ক কাঠামো বিদ্যমান আছে।

এদিকে আইএমএফের পরামর্শে শিল্পের কর অবকাশ সুবিধা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। বর্তমানে ৩১টি শিল্প খাত ১০ বছরের জন্য অঞ্চলভেদে ক্রমহ্রাসমান হারে কর অবকাশ সুবিধা ভোগ করছে।

নতুন অর্থবছরে সাধারণ ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হতে পারে। একইভাবে মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৫ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করা হতে পারে। মুক্তিযোদ্ধাদের মতো জুলাইযোদ্ধাদের আয়কর সীমায় ছাড় দিতে পারে সরকার।

২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের আয়ের জন্য এই সীমা প্রযোজ্য হবে। অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জুলাই থেকে ২০২৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আয়ের ওপর নতুন সীমা অনুযায়ী কর নির্ধারণ করা হবে।

নতুন অর্থবছরের বাজেটে মধ্যবিত্তের পাশাপাশি উচ্চবিত্তের ওপর কর বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। এ জন্য করের স্লাবে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। বিদ্যমান কর কাঠামোয় একজন উচ্চবিত্তের আয় বছরে ৩৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা অতিক্রম করলে ৩০ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। আগামী বাজেটে এটি কমিয়ে ৩৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হতে পারে। একই সঙ্গে আইটি ব্যবসা হতে উদ্ভূত আয়কে করের আওতায় আনার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

মোট আয় করমুক্ত আয়ের সীমা অতিক্রম করলে ন্যূনতম করের পরিমাণ হবে ৫ হাজার টাকা। তবে নতুন করদাতাদের ক্ষেত্রে এই ন্যূনতম করের পরিমাণ হরে ১ হাজার টাকা। সরকার মনে করছে এতে নতুন করদাতা তৈরি হতে সহায়ক হবে এবং অনেকেই কর দিতে উৎসাহিত হবে।

সরকার বাজেটরের আবার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। এদকে জস্ব আয়ের লক্ষ্য ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, এনবিআর কর রাজস্ব লক্ষ্য ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা, এনবিআরবহির্ভূত রাজস্ব লক্ষ্য ১৯ হাজার কোটি টাকা, করবহির্ভূত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ৪৬ হাজার কোটি টাকা, অনুন্নয়ন ব্যয় ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা, এডিপির লক্ষ্য ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, ঘাটতি মিটাতে অভ্যন্তরীণ ঋণ ১ লাখ ২১ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ ১ লাখ ৫ হাজার কোটি টাকা নির্ধারণ করতে যাচ্ছে। আর জিডিপি লক্ষ্য ৫.৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশ নির্ধারণ করতে যাচ্ছে।