শনিবার, ২১ জুন, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও সাইফুল ইসলাম

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০১:৩৮ এএম

হাজিদের দিয়ে স্বর্ণ চোরাচালান!

মোস্তাফিজুর রহমান সুমন ও সাইফুল ইসলাম

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২৫, ০১:৩৮ এএম

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

বছরের পর বছর ধরে হজ ও সারা বছর ওমরাহ পালনের সময় হাজিদের ব্যবহার করে সোনা এবং হীরা চোরাচালান হয়ে আসছে। বছরে ৯১ হাজার কোটি টাকার সোনা চোরাচালান হলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর নজরদারি এড়িয়ে দেশে-বিদেশে সক্রিয় একাধিক চক্র নতুন-পুরোনো কৌশলে স্বর্ণ চোরাচালানে যুক্ত।

সম্প্রতি হাজিদের ব্যবহার করে আরো একটি সোনা পাচারকারী চক্রের সন্ধান পাওয়া গেছে। চক্রের এক সদস্য বর্তমানে সৌদি আরবে কারাবন্দি। দেশে চিহ্নিত করা হয়েছে আরও কয়েক সদস্যকে, যারা দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

ডিবির ইনচার্জ মো. মোশাররফ হোসেন জানান, পুলিশ সুপারের কাছে দায়ের করা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে এ পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে।

জানা গেছে, সোনা ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে দেশ থেকে প্রতিবছর ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি পাচার হয়। আর এই অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে থাকে। গত বছরের ৩ জুন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি বা বাজুস এই তথ্য জানায়।

প্রতিদিন দেশের জল, স্থল ও আকাশপথে কমপক্ষে প্রায় ২৫০ কোটি টাকার অবৈধ সোনার অলংকার, সোনার বার, ব্যবহৃত পুরোনো জুয়েলারি (যা ভাঙারি হিসেবে বিবেচিত হয়) ও হীরার অলংকার (ডায়মন্ড জুয়েলারি) চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসছে। যা বছর শেষে যার পরিমাণ প্রায় ৯১ হাজার ২৫০ কোটি টাকার বেশি।

এভাবে দেশে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সোনা চোরাচালানের আশ্রয়দাতা বদলেছে; কিন্তু চোরাচালান বন্ধ হয়নি। চোরাচালানকারীরা দেশের ভেতরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সীমান্তে নজরদারির ঘাটতিকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে চোরাচালান অব্যাহত রেখেছেন।

গত ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছিলেন, দেশে সোনা চোরাচালানের ৯৯ শতাংশই ধরা পড়ে না। বাজুস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, এই চোরাচালান দেশের মানুষের জন্য ভালো নয়, কারো জন্যই ভালো নয়। তাহলে এই খারাপ কাজটা আমরা কেন করে যাচ্ছি।

আর যদি বলেন এটা করছি না, তাহলে এগুলো আসে কোথা থেকে। আমরা ১০০টার মধ্যে একটা ধরতে পারি; নানা কারণে ৯৯টা ধরতে পারি না। বাজারে এত এত সোনা, অথচ সোনার আমদানি নেই কেনÑ এই প্রশ্নের উত্তর আমার জানা নেই। এর জবাবটা আমি খুঁজতে চাই।

মানিকগঞ্জের গোয়েন্দা পুলিশ জানিয়েছে, সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ৬০০ গ্রাম সোনা পাচারের চেষ্টায় ছয়জন হাজিকে ব্যবহার করা হয়েছিল। জেদ্দা বিমানবন্দরে তাদের আটক করে সৌদি পুলিশ। পরবর্তী সময়ে হজ ক্যাম্পের মোয়াল্লেম জাকির হোসেন নিজে আটক থাকার শর্তে ওই ছয়জন হাজিকে মুক্ত করেন।

বর্তমানে তিনি মদিনার একটি কারাগারে রয়েছেন। ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে, যখন মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের মোশাররফ হোসেন সৌদি আরব থেকে দেশে ফেরেন।

জানা গেছে, তার কাছে আরেক প্রবাসী মো. বাবুল মিয়া ৪০০ গ্রাম সোনা ও ১০ হাজার সৌদি রিয়াল দেশে পাঠান। এর সঙ্গে মোশাররফ নিজেও আরও ২০০ গ্রাম সোনা আনার চেষ্টা করেন। অর্থাৎ মোট সোনার পরিমাণ দাঁড়ায় ৬০০ গ্রাম। যার বাজারমূল্য ৮৫ থেকে ৯০ লাখ টাকা।

কাস্টমস বিধি অনুযায়ী একজন যাত্রী ঘোষণাপত্র পূরণ করে সর্বোচ্চ ১১৭ গ্রাম বা ১০ ভরি সোনা আনতে পারেন। এই সীমা অতিক্রম করায় মোশাররফ কৌশল হিসেবে হাজিদের ব্যবহার করার পথ বেছে নেন। জেদ্দায় অবস্থানরত মোয়াল্লেম জাকির হোসেনের সহায়তায় ছয়জন হাজির হাতে ১০০ গ্রাম করে মোট ৬০০ গ্রাম সোনা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

এই ছয়জন হলেন, মিজানুর রহমান, ফারজানা আক্তার, শারমিন আক্তার, নাজমুস সাকিব, জাকির হোসেন ও শাহিনুর বেগম। কিন্তু বৈধ কাগজপত্র না থাকায় জেদ্দা বিমানবন্দরে সৌদি পুলিশ তাদের আটক করে। পরে হাজিদের মুক্ত করে নিজে আটক হন মোয়াল্লেম জাকির।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মো. মোশাররফ হোসেন, দেওয়ান আবুল হাসেম ও বাবুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরব থেকে সোনা চোরাচালানে জড়িত। কখনো নিজেরা, কখনো বা হাজিদের মাধ্যমে সোনা পাঠান দেশে। এবারের ঘটনায়ও সেই কৌশল ব্যবহার করা হয়।

মোশাররফ হোসেন রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘আমি এবং বাবুল দুইজনে মিলে হাজীদের নামে ৬০০ গ্রাম সোনা কিনেছিলাম। আমার ২০০ গ্রাম আর বাবুলের ৪০০ গ্রাম। হাজীদের মাধ্যমে আগেও ১০-১২ বার স্বর্ণ এনেছি। এবার সৌদি আরবের কাস্টমসে স্বর্ণ কেনার টাকার উৎস জানতে চাইলে হাজিরা বলতে না পারায় স্বর্ণ ও রিয়াল আটকে দিয়েছে।

একজন মোয়াল্লেমকেও আটকে দেওয়া হয়েছে। আমি বাংলাদেশ থেকে টাকা নিয়েছি সেই ডকুমেন্ট এবং আমার ২০০ গ্রাম স্বর্ণের ডকুমেন্ট দেখিয়েছি। কিন্তু বাবুলের স্বর্ণের কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। স্বর্ণ ও মোয়াল্লেম জাকিরকে ছাড়ানোর জন্য সৌদির এক আইনজীবীকে স্বর্ণ ও রিয়ালের অর্ধেক দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু সে রাজি হয়নি।

পরে ১৫ হাজার রিয়ালে তার সাথে চুক্তি করেছি। আমি এবং বাবুল অনেকবার এভাবে সৌদি আরব থেকে স্বর্ণ এনেছি। আগে কোনো ঝামেলা হয়নি। এবার সৌদি এয়ারপোর্টে স্বর্ণ আটকে দেওয়ায় ঝামেলা হয়েছে এবং বাবুল আমার নামে অভিযোগ করেছে। আমি চোরাচালানকারী হলে বাবুলও চোরাচালানকারী। আমার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হলে তার বিরুদ্ধেও নেওয়া হোক। জেলে গেলে দুজনেই যাব।’

তবে দেওয়ান আবুল হাসেমের সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে প্রশ্ন উঠেছে, সাধারণ প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে কর্মরত মোশাররফ ও বাবুল এত পরিমাণ সোনার মালিক হলেন কীভাবে? স্থানীয়দের ধারণা, এটি একটি বিস্তৃত সোনা চোরাচালান চক্রের অংশ, যার শাখা সৌদি আরব ও বাংলাদেশে ছড়িয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যে মানিকগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশ চক্রটির কার্যক্রম খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে।

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস গোয়েন্দা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টা বিমানবন্দর দিয়ে হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। এখানে প্রায় দুই ডজন সংস্থা নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছে।

এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চোরাকারবারিরা স্বর্ণ পাচারে জড়িয়ে পড়ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শাহজালালসহ দেশের অন্যান্য বিমানবন্দরে প্রতিনিয়ত স্বর্ণ চোরাচালানিতে যুক্তদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি স্বর্ণ জব্দ করা হয়। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সোনা বহনকারী যাত্রীরা আটক হলেও মূল হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়।

দেশের স্থানীয় বাজারে ১০ শতাংশ স্বর্ণের জোগান আসে পুরোনো স্বর্ণ থেকে। আর ৯০ ভাগই অনানুষ্ঠানিক মাধ্যম ব্যাগেজ রুলের আওতায়, আর বাকি চোরাচালানের মাধ্যমে। বেসরকারি গবেষণা বলছে, প্রতিবছর শত শত টন সোনা চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আসে। ব্যাগেজ রুলের মাধ্যমে কিছু সোনা এসেছে। প্রতিবছর বাজারে সোনার চাহিদা ৪০ টন, তাহলে বাকি সোনা কোথায় যায়? নিশ্চয়ই চোরাচালানের মাধ্যমে পাচার হয়ে যাচ্ছে।

বিমানবন্দরে ব্যাগেজ রুলের সুবিধাটাকে ব্যবহার করে চোরাচালানিরা। তারা মাসে কয়েকবার বিদেশ গিয়েও স্বর্ণ নিয়ে আসছে। প্রতিবারে ৬০-৭০ হাজার টাকা লাভ করছে। ব্যাগেজ রুলের অপব্যবহারের কারণে লোকাল ইন্ডাস্ট্রি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বৈদেশিক মুদ্রার অপব্যবহার হচ্ছে। যে বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভে যুক্ত হওয়ার কথা ছিল, তা হচ্ছে না। শুধু ব্যাগেজ রুলের কারণে প্রতিবছর ২২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ হারাতে হয়।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে বাংলাদেশে আসছে বিপুল পরিমাণ সোনা, যা সীমান্তের ৩০ জেলা দিয়ে পাচার হয় ভারতে। চোরাচালানের নিরাপদ রুট হওয়ায় বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করছে দেশি-বিদেশি চেরাকারবারি চক্র। ফলে ২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রিজার্ভ আর ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হওয়ার তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. দেওয়ান আমিনুল ইসলাম রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, দেশের স্বর্ণ চোরাচালান সিন্ডিকেট এক ‘রহস্যজনক’ ভূমিকায় রয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দামের পার্থক্যের কারণে অব্যাহতভাবে স্বর্ণ চোরাচালান হচ্ছে। আমাদের দেশ আন্তর্জাতিক সোনাচালান রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

এতে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। আমরা যারা বৈধভাবে সোনার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত তারা চাই সরকার দ্রুত চোরাচালান বন্ধ করুক। চোরাচালানের কারণে আমাদের দেশের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী মণ মণ সোনা জব্দ এবং জড়িতদের আটক করলেও তাদের নির্মূল করা যাচ্ছে না।

সরকারের উচিত আইন কঠোর এবং সময়োপযোগী করে স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ করা। চোরাকারবারিদের কারণে বাজুস সদস্যরা প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। বাসুজ বারবার সরকারের কাছে দাবি করে এলেও চোরাচালান রুখতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

বাংলাদেশের কাস্টমস আইন, ১৯৬৯ অনুযায়ী, ঘোষণা ছাড়া কিংবা অনুমোদিত সীমার বাইরে স্বর্ণ আনাকে চোরাচালান হিসেবে গণ্য করা হয়। এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড এবং জরিমানা বা উভয় দণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের স্বর্ণ আমদানিনীতিমালা অনুসারে, সোনা আনতে হলে নির্ধারিত ফি ও শুল্ক পরিশোধ করে নির্ধারিত সীমার মধ্যে আনতে হবে।

ঘোষণা ছাড়া বা অন্যকে ব্যবহার করে গোপনে সোনা আনলে তা বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং ও চোরাচালান প্রতিরোধ আইনে মামলার আওতায় আনা যায়।

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, দেশের বিমানবন্দর, স্থল বন্দর ও নৌবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান রুখতে পুলিশের সব কটি ইউনিট একযোগে কাজ করে থাকে। গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা স্বর্ণ উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ বাহিনী স্বর্ণ চোরাচালানে যুক্ত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে সচেষ্ট রয়েছে।

স্বর্ণশিল্পের বিকাশে বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় অন্তরায় চোরাচালান। বছরে ৮০ হাজার ৩০০ কোটি টাকার সোনা ও ১০ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার হীরা অবৈধভাবে আসছে। পুরো এই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করে থাকে।

যার ফলে সরকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে এবং সোনা ও হীরা চোরাকারবারিরা বিদেশে পাচার করেন। চলমান ডলার সংকটে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার ও চোরাচালান বন্ধে সরকারকে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানায় বাজুস। স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে বাজুস কয়েকটি সুপারিশ করেছে।

সুপারিশগুলো হলো- হীরা চোরাচালানে জড়িতদের ধরতে আইন-প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জোরালো অভিযান পরিচালনা করা, সোনা ও হীরা চোরাচালান প্রতিরোধে বাজুসকে সম্পৃক্ত করে পৃথকভাবে সরকারি মনিটারিং সেল গঠন, ব্যাগেজ রুল সংশোধনের মাধ্যমে সোনার বার আনা বন্ধ করা, ট্যাক্স ফ্রি সোনার অলংকারের ক্ষেত্রে ১০০ গ্রামের পরিবর্তে সর্বোচ্চ ৫০ গ্রাম করা, একই ধরনের অলংকার দুটির বেশি আনা যাবে না।

Link copied!