সোমবার, ২১ জুলাই, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


এফ এ শাহেদ

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০২:৫৭ এএম

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ ইসলামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব ঘোচার আভাস

এফ এ শাহেদ

প্রকাশিত: জুলাই ২১, ২০২৫, ০২:৫৭ এএম

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ ইসলামী দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব ঘোচার আভাস

রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রথম জাতীয় সমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতিতে নিজেদের জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে বলে মনে করছেন দলটির শীর্ষনেতারা। গত শনিবার জামায়াতের সমাবেশ সার্বিকভাবে সফল করায় দেশবাসী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন  বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সমাবেশ পরবর্তী সময় আগের চেয়েও চাঙ্গাভাব এসেছে দলটির কার্যক্রমে। এদিকে এ সমাবেশের মাধ্যমে জামায়াত এবং ইসলামী আন্দোলনসহ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলো একতাবদ্ধ হয়ে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে নতুনভাবে সোচ্চার হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গত শনিবার জামায়াতের সমাবেশে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন ইসলামী দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতিসহ জামায়াতের অন্যান্য দাবির সঙ্গে যেসব দল মোটামুটি একমত, তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে এ সমাবেশে। 

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউর রহমান গাজী রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, আমরা ইসলামী দলসহ যেসব রাজনৈতিক দল উপস্থিত ছিলাম প্রায় সবাই জামায়াতের সাত দফার প্রতি সমর্থন জানিয়েছি। আমরাও মনে করি, জনগণের কল্যাণে মৌলিক সংস্কারের আগে দেশে নির্বাচন করলে কোনো পরিবর্তন আসবে না।

জামায়াতের জাতীয় সমাবেশের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, এই সমাবেশের মধ্য দিয়ে সামনের রাজনীতিতে মেরূকরণ আরও স্পষ্ট হয়েছে। এটা ৫ আগস্টের পরই শুরু হয়েছে, এখন ধীরে ধীরে তা বাড়ছে। যেসব রাজনৈতিক দল মৌলিক সংস্কার চায়, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড চায়, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চায়Ñ তারা এক হয়েছি। এখানে ইসলামী দল ছাড়াও এনসিপির মতো তরুণদের দলও আছে। যত দিন যাবে, রাজনীতিতে এই মেরূকরণ আরও বাড়বে। 

সংস্কারের বিষয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসমাবেশেও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনকে সামনে নিয়ে আসা হয়। সেখানেও জামায়াত, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছিল।

এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জামায়াত ৫ আগস্টের পর থেকেই বিভিন্ন সময় তাদের কর্মকা-ের মাধ্যমে জানান দিয়েছেÑ তারা একটি সম্মিলিত বিরোধী দল গড়ে তুলতে চাইছে। যার প্রধান শক্তি হবে ইসলামী দলগুলো। ফলে ইসলামী যেসব দলের সঙ্গে তাদের দূরত্ব ছিল তাদের কাছে টানছে। একইসঙ্গে শক্তি বাড়াতে এনসিপির মতো তরুণদের নতুন দলসহ আর কিছু দলকে তারা সঙ্গে নিতে চায়। যার স্পষ্ট অবস্থান তাদের সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পেয়েছে। 

এদিকে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশ সার্বিকভাবে সফল করায় দেশবাসী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘গত শনিবার ঢাকা মহানগরীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশ সার্বিকভাবে অত্যন্ত সফল হয়েছে। সমাবেশে যোগদানকারী জাতীয় নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, আইনজীবী, পেশাজীবী, ছাত্র, কৃষক, শ্রমিক, শিক্ষক, ওলামায়ে কেরাম, অমুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি, জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, আহত জুলাই যোদ্ধাবৃন্দ, দেশের সর্বস্তরের জনতা, ডিএমপি, ট্রাফিক বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিদ্যুৎ বিভাগ, ঢাকা ওয়াসা,  গণপূর্ত বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাতীয় সমাবেশ সফল করার মতো একটি রৌদ্রোজ্জ্বল অনুকূল আবহাওয়া বিরাজ করায় আমরা আল্লাহ তাআলার লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করছি। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আমি আশা করি, দেশের জনগণ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রতি তাদের সহানুভূতি ও ভালোবাসা অব্যাহত রাখবেন ইনশাআল্লাহ। আমরাও দেশ ও জাতির খেদমত এবং কল্যাণে আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে যথাযথ ভূমিকা পালন করে যাব। 

এদিকে, ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রথমবারের মতো জাতীয় সমাবেশ পরবর্তী সময়ে দলটির রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় ও নেতাকর্মীদের মধ্যে এসেছে চাঙ্গাভাব। সমাবেশে লাখো নেতাকর্মীদের উপস্থিতির খবর এসেছে বিশ^মিডিয়ায়ওÑ যা দলের জন্য স্বস্তির বলে মনে করেন দলের নেতারা। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) এক প্রতিবেদনে লিখেছে, আগামী বছর প্রত্যাশিত নির্বাচনের আগে শক্তি প্রদর্শনের জন্য দেশের বৃহত্তম ইসলামী দল জামায়াতে ইসলামীর লাখ লাখ সমর্থক রাজধানী ঢাকায় সমাবেশ করেছে।

প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর দক্ষিণ এশীয় দেশটি এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বলেছে, পরবর্তী নির্বাচন এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু তার প্রশাসন ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নিÑ যেমনটি বিএনপি এবং এর মিত্রদের জোরালো দাবি ছিল। এপি জানায়, জামায়াতে ইসলামী এর আগে বলেছিল, তারা গত শনিবার ১০ লাখ লোককে একত্র করবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!