ঢাকা শুক্রবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৫

খুন-নৃশংসতায় ছমছমে চারপাশ

শহিদুল ইসলাম রাজী
প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২৫, ০৬:১৩ এএম
খুন-নৃশংসতায় ছমছমে চারপাশ। ছবি- রূপালী বাংলাদেশ

প্রতিদিনের মতো রাতে নিজের ঘরে ঘুমাতে যান রাফি আহমেদ। ভোরে ঘুম থেকে উঠছিলেন না। ডাকাডাকি করেও সাড়া মেলেনি। তখন পরিবারের সদস্যরা তাকে ডাকতে ঘরে গিয়ে দেখেন গলাকাটা রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে বিছানায়। গত শনিবার ভোরে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে এ নৃশংস ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রাফি রহিমপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ছিলেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে গাজীপুরে প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তরা গলা কেটে হত্যা করে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। একই রাতে নাটোরে গাড়ি থামিয়ে ব্যবসায়ীকে ভেতরেই কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।

এর এক দিন আগে গত বুধবার গাজীপুরের আরেক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে প্রকাশ্যে টেনেহিঁচড়ে ইট দিয়ে পা ও শরীর থেঁতলে দেওয়া হয়। এ সময় বাঁচার জন্য আকুতি জানালেও দুর্বৃত্তদের মন গলেনি। পুলিশ আর শত শত মানুষের সামনে তার বুকের ওপর উঠে নৃত্য করে সন্ত্রাসীরা। যার ভিডিও ইতোমধ্যে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল। এভাবেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘটছে একের পর এক নৃশংস ঘটনা।

ব্যক্তিগত শত্রুতা, পারিবারিক বিরোধ, রাজনৈতিক বিভেদ, আধিপত্য বিস্তার, চাঁদাবাজি, ছিনতাইকারীর দৌরাত্ম্যের কারণেই খুনোখুনি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞরা। এতে জনমনে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। ছড়িয়ে পড়ছে শঙ্কা-ভীতি।  

অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণঅভ্যুত্থানের পর পুলিশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সুযোগ নিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। অপরাধীদের মধ্যে ভয়হীনতা অপরাধের মাত্রায় নৃশংসতা বাড়ায়। নিজেদের ক্ষমতা আর দাপটের জানান দিতে অপরাধীরা বড় ধরনের নৃশংসতা ছড়ায়। এ রকম ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার পেছনে মাদকও একটা বড় কারণ বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

তারা বলছেন, এসব ভয়াবহতা ঠেকাতে হলে সামাজিক মূল্যবোধের পাশাপাশি আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হতে হবে। পাশাপাশি অপরাধীর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে অপরাধের বিরুদ্ধে সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলাও প্রয়োজন। 

পুলিশ সদর দপ্তরের গত ১১ মাসের অপরাধ পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, সারা দেশে গড়ে মাসে খুন হচ্ছেন ৩২১ জন। সে হিসাবে গড়ে প্রতিদিন খুন হয়েছেন ১১ জন। পরিসংখ্যান পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৪ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত দেশজুড়ে গত ১১ মাসে খুনের মামলা হয়েছে ৩ হাজার ৮৩২টি। এর মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত খুনের মামলা হয় ১ হাজার ৯৩১টি। আর আগের ছয় মাসে এ-সংক্রান্ত মামলা হয় ১ হাজার ৮৯৯টি।

অন্যদিকে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪-এর জুন পর্যন্ত ১১ মাসে সারা দেশে খুনের মামলা হয়েছিল দুই হাজার ৭৪২টি। এ হিসাবে গত ১১ মাসে খুনের মামলা বেড়েছে এক হাজার ৯০টি।

পুলিশ সদর দপ্তরের পরিসংখ্যানের হিসাবে, মেট্রোপলিটন অঞ্চলের মধ্যে বেশি খুনের মামলা হয়েছে ঢাকা মহানগরে, সবচেয়ে কম হয়েছে রংপুর মহানগরে। এ ছাড়া রেঞ্জগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি খুনের মামলা হয়েছে ঢাকা রেঞ্জে, সবচেয়ে কম হত্যা মামলা হয়েছে বরিশাল রেঞ্জে।

পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছর প্রতি মাসেই খুনের ঘটনা বাড়ছে চাঁদাবাজি, আধিপত্য বিস্তার, মাদক ও ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে।

গত ৭ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তায় কুপিয়ে ও গলা কেটে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় র‌্যাব-পুলিশ এ পর্যন্ত অন্তত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, ছিনতাইকারী চক্রের নারী সদস্য পথচারী বাদশাহকে বিরক্ত করার একপর্যায়ে তিনি নারীকে আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গেই চক্রের বাকি সদস্যরা বাদশাহকে ছুরি নিয়ে কোপাতে থাকে। ঘটনাটি দেখে ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক তুহিন। চক্রের সদস্যরা তার ভিডিও করা দেখে ফেলায় তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। সিসিটিভি ফুটেজ ও আসামিদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তি থেকে হত্যার কারণ সম্পর্কে এমন তথ্যই দিয়েছে পুলিশ।

গত শনিবার গাজীপুর মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান বলেছেন, ‘সাংবাদিক হত্যার দায় আমরা এড়াতে পারি না। আমাদের ব্যর্থতা ও জনবল স্বল্পতা রয়েছে।’

এ ঘটনার এক দিন আগে গত বুধবার বিকেলে মহানগরীর সদর মেট্রো থানার অদূরে অপর এক সাংবাদিক আনোয়ার হোসেনকে প্রকাশ্যে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে পিটিয়ে ও ইট দিয়ে আঘাত করে তার পা এবং শরীর থেঁতলে দিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। নির্মম এ নির্যাতনের ভিডিও এক দিন পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।

গত ৮ আগস্ট শুক্রবার সকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে ট্রাভেল ব্যাগে পলিথিনে মোড়ানো অলি মিয়া নামে এক যুবকের খ-িত (৮ টুকরা) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নৃশংস এ হত্যাকা-ের রহস্য উন্মোচন করে র‌্যাব। ক্লুলেস এ হত্যার মূলতোহাসহ দুজনকে গত শনিবার চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। একই দিনে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের তালাবদ্ধ ঘর থেকে আবুল মনছুর (৫০) নামে তান্ত্রিক বৈদ্যর গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ৬ আগস্ট নেত্রকোনার পূর্বধলায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে কাকন আহমেদ (২৮) নামের এক যুবক মারা যান। তারও আগে গত ৯ জুলাই বুধবার পুরান ঢাকার মিটফোর্ড (স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ) হাসপাতালের সামনে ব্যস্ত সড়কে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে ব্যবসায়ী লাল চাঁদকে হত্যা করে একদল দুর্বৃত্ত। হত্যার আগে ডেকে নিয়ে তাকে পিটিয়ে ও ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ থেঁতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তাকে বিবস্ত্র করা হয়। তার শরীরের ওপর উঠে লাফান কেউ কেউ। এ ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ায় দেশজুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।

এ ছাড়াও গত ১১ জুলাই নগরীর মহেশ্বরপাশার নিজ বাড়ির সামনে খুন হন বহিষ্কৃত যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান মোল্লা। মৃত্যু নিশ্চিতে গুলির পর তার পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়। নিহতের বাবা আবদুল করিম মোল্লা অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা করেন। সিসিটিভির ফুটেজে হামলাকারীরা শনাক্ত হলেও বেশির ভাগ আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। গত ৬ এপ্রিল নগরীর জাতিসংঘ পার্কের ভেতরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় পলাশ শেখকে।

খুলনা সদর থানার ওসি হাওলাদার সানোয়ার হোসাইন মাসুম জানান, প্রেমঘটিত বিরোধে তাকে হত্যা করে কয়েক যুবক। পরে ১০ জনকে আটক করা হয়। গত ২২ মে নগরীর পশ্চিম টুটপাড়ায় বৃদ্ধ নিলু বেগমকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। দুই যুবককে গ্রেপ্তারের পর জানা যায়, চুরি করা দেখে ফেলায় নিলুকে খুন করে তারা।

পুলিশ সদর দপ্তরের মাসিক অপরাধ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ৯৩১ জন খুন হয়েছেন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে খুন হন ২৯৪ জন। ফেব্রুয়ারিতে খুনের সংখ্যা বেড়ে হয় ৩০০। পরের মাসে খুনের সংখ্যা আরও বেড়ে যায়। মার্চ মাসে খুন হন ৩১৬ জন। এপ্রিলে ৩৩৬ জন, মে মাসে ৩৪১ জন খুন হন। জুনে ৩৪৪ জন খুন হয়েছেন। এই হিসাবে চলতি বছর প্রতিমাসে গড়ে দেশে খুন হয়েছেন ৩২১ জন। 

পুলিশ সদর দপ্তরের গত ছয় মাসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ডিএমপিতে খুনের মামলা হয়েছে ২১৭টি, সিএমপিতে ৩৭টি, কেএমপিতে ১৪টি, আরএমপিতে ১১টি, বিএমপিতে ১৮টি, এসএমপিতে ৯টি, আরপিএমপিতে ৪টি ও জিএমপিতে খুনের মামলা হয়েছে ৪১টি।

এ ছাড়া রেঞ্জগুলোর মধ্যে ঢাকা রেঞ্জে গত ৬ মাসে খুনের মামলা হয়েছে ৪৫৮টি, ময়মনসিংহ রেঞ্জে ১১১টি, চট্টগ্রাম রেঞ্জে ৩৪০টি, সিলেট রেঞ্জে ১০৮টি, খুলনা রেঞ্জে ১৮২, বরিশাল রেঞ্জে ৭৫টি, রাজশাহী রেঞ্জে ১৭৫টি, রংপুর রেঞ্জে ১২৪টি এবং রেলওয়ে রেঞ্জে গত ছয় মাসে ৬টি খুনের মামলা হয়েছে। খুনের পাশাপাশি সারা দেশে ডাকাতি, ছিনতাই, নারী ও শিশু নির্যাতন এবং অপহরণের মতো অপরাধও কমছে না। 

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত গত ১১ মাসে দেশজুড়ে ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭৮৮টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোÑ ডাকাতির ৬৪৭টি, দস্যুবৃত্তির এক হাজার ৫৮৮টি, দাঙ্গার ১১২টি, নারী ও শিশু নির্যাতনের ১৩ হাজার ৭৯৮টি, অপহরণের ৮৪৬টি, ধর্ষণের ৪ হাজার ১০৫টি, পুলিশ আক্রান্তের ঘটনায় ৫২০টি, অস্ত্র আইনে ১ হাজার ৪৮০টি, মাদকদ্রব্যের ৩৯ হাজার ১৪২টি, চোরাচালানের ১ হাজার ৮২০টি এবং অন্যান্য কারণে ৭৩ হাজার ৮৪০টি মামলা।

অপরাধ ও সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, এ ধরনের নৃশংসতা বর্তমানে বেড়েছে এমন নয়। তবে ধরন পাল্টেছে। সমাজ ব্যবস্থাও একটি পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক কারণে সমাজে অস্থিরতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে অপরাধের ধরনও পাল্টাচ্ছে। সমাজে নানারকম নেতিবাচক অনুষঙ্গ ঢুকে পড়েছে। এ কারণে নৃশংস অপরাধের মাত্রাও বাড়ছে। মনোবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এইরকম ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার পেছনে মাদক একটা বড় কারণ। 

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহিত কামাল বলেন, নৃশংসতা বা ভয়াবহ নিষ্ঠুরতার পেছনে মাদক একটা বড় কারণ। যারা মাদকাসক্ত বা নেশাগ্রস্ত তারা নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। তাদের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। রাগ উঠলে তারা রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। রাগটা তাদের বেড়ে বেড়ে তীব্র থেকে তীব্রতর হয়, ভয়ঙ্কর হয়ে যায় কিন্তু সে বুঝতে পারে না। তখন যেকোনো নিষ্ঠুরতা ঘটাতে পারে। 

অপরাধ বিশ্লেষকরাও এমন নৃশংস হত্যার পেছনে মনোবিদদের সুরেই কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক এবং সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলেন, যারাই এই নৃশংস হত্যাকা-ের নেতৃত্ব দেন, তারা যদি ওই সময়ে মাদকাসক্ত থাকেন তখন তাদের মধ্যে হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। মাদকের নেশা তাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের বর্বর আচরণ করার জন্য প্রভাবিত করে। 

তিনি বলেন, প্রকাশ্যে এমন নৃশংস হত্যাকান্ডের ফলে সমাজে ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। এসব নৃশংস ঘটনা আশপাশের মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন। এখন প্রত্যেকেই যে যার মতো ভালো থাকার চেষ্টা করার ফলে সমাজে এসব ঘটনার বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ তৈরি হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতি বদলাতে হলে শুধু সামাজিক মূল্যবোধ ফিরিয়ে আনা নয়, বরং আইনের শাসন নিশ্চিত করাও জরুরি। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, এখনো পুলিশ ট্রমার মধ্যে আছে। পুলিশ স্বাভাবিক কাজ করতে পারছে না। একজন পুলিশের যে কাজ, তিনজনে তা করতে পারছে না।

তিনি বলেন, আমরা খুব অসহিষ্ণু হয়ে গেছি। আগে সমাজে কোনো খারাপ কাজ ঘটলে লোকজন ঝাঁপিয়ে পড়ত সেটা প্রতিহত করার জন্য। কিন্তু আজকাল সেটা খুব কমে গেছে। অপরাধ প্রতিহত করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।