টানটান উত্তেজনা আর উৎসবমুখ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনে। দিনভর বিভিন্ন প্যানেল আর স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আচরণবিধি লঙ্ঘনসহ নানা বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুললেও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে ভোটগ্রহণ শেষে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদলের ভিপিপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান শিবিরের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছেন। ভোটে ফল ব্যাহত করা হলে প্রতিরোধেরও হুঁশিয়ারি দেন তিনি। তবে এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে শিবিরের জিএস প্রার্থী এস এম ফরহাদ বলেন, ছাত্রদল নিজেদের অনিয়মের দায় শিবিরের ওপর ছাপিয়ে দিতে চাচ্ছে। আর বাগচাসের জিএস প্রার্থী আবু বাকের মজুমদার ছাত্রদল-শিবির ডাকসুতে ভাগবাটোয়ারা করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন। এ ছাড়াও দুই ভিপিপ্রার্থী শিবিরের বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বয়কট করেছেন। এ ছাড়াও ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনসংক্রান্ত একটি মিটিং চলাকালে সেখানে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা প্রবেশ করে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খানের মুখোমুখি হন। এ সময় তারা বর্তমান প্রশাসনকে ‘জামায়াতি প্রশাসন’ আখ্যা দিলে সভাকক্ষে হট্টগোল ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার ডাকসু নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচনে ভিপি ও সমাজসেবা পদ ছাড়া সব পদেই ছাত্রলীগ বিজয়ী হয়েছিল। যদিও ওই নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। তবে এবার সেই প্রেক্ষাপট নেই। ভিপি-জিএস-এজিএসসহ সব পদেই এবার লড়াই হচ্ছে সমানে সমান। সামান্য ভোটের ব্যবধানেই এই তিন পদসহ অধিকাংশ পদেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে বলে ধারণা ভোটারসহ পর্যবেক্ষকদের। এবার দেখার অপেক্ষাÑ কে হাসবে শেষ হাসি। রাত ৯টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনো ভোটের ফল ঘোষণা করা হয়নি। ফল ঘোষণা হতে রাত ১২টা পার হয়ে যাবে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
প্রায় ছয় বছর পর জাতীয় রাজনীতির আতুড়ঘরখ্যাত ডাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে গণনার প্রক্রিয়া শুরু করতে আরও ৪৫ মিনিট লেগে যায়। বিকেল ৫টার পর ৮ কেন্দ্রেই ভোট গণনা শুরু হয়। ভোটকে অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। নির্বাচনের ভোট গণনায় স্বচ্ছতা নিশ্চিতে কেন্দ্রগুলোর সামনে এলইডি স্ক্রিনে দেখানো হয় ভোট গণনা। বিকেল পৌনে ৫টার দিকে কেন্দ্রগুলোর বাইরে থাকা এলইডি স্ক্রিন একে একে চালু করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
ডাকসুতে এবার মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ আর ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার রয়েছেন ২০ হাজার ৯১৫ জন। এবারের নির্বাচনে ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তাদের মধ্যে বিভিন্ন পদে ছাত্রী ৬২ জন। এ ছাড়া প্রতি হল সংসদে ১৩টি করে ১৮টি হলে মোট পদের সংখ্যা ২৩৪। এসব পদে ভোটের লড়াইয়ে অংশ নেন এক হাজার ৩৫ জন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রতিনিধি নির্বাচনে ছয় পৃষ্ঠার ওএমআর শিটের ব্যালট পেপারে রায় দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, ১৪টি মেশিনে এসব ব্যালট গোনা হচ্ছে। এগুলোর কোনোটির স্ক্যানিং স্পিড ঘণ্টায় ৫০০০, কোনোটির ৮০০০ পাতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন থেকে ভোটের আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা করা হবে।
তিন পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস
ভোটগ্রহণ শেষ হলেও কে বিজয়ী হচ্ছেন তার পূর্বাভাস দিতে পারছেন না কেউ। ডাকসুর ভোটার, শিক্ষক, নির্বাচন বিশ্লেষকরা নানা চুলচেরা বিশ্লেষণ করেও মিলাতে পারছেন না সমীকরণ। কারণ এবার ভিপি, জিএস ও এজিএস পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। অল্প ভোটের ব্যবধানে হবে জয়-পরাজয়।
ধারণা করা হচ্ছে, ডাকসুর সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদকসহ (জিএস) অধিকাংশ পদে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তবে সবার নজর ভিপি ও জিএস পদের দিকে। ভিপি পদে ছাত্রদল মনোনীত আবিদুল ইসলাম খান ও ছাত্রশিবির সমর্থিত আবু সাদিক কায়েমের মধ্যে মূল লড়াই হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ পদে স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের উমামা ফাতেমা ও স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন ও বাগছাসের আব্দুল কাদেরও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারে। আর সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ছাত্রদল মনোনীত শেখ তানভীর বারী হামীমের সঙ্গে মূল লড়াই হতে পারে ছাত্রশিবির সমর্থিত এসএম ফরহাদের সঙ্গে। তবে বাগছাসের আবু বাকের মজুমদারও আলোচনায় রয়েছেন। সেক্ষেত্রে এ পদে লড়াই হতে পারে ত্রিমুখী। আবার ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’ প্যানেলের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসুও চমক দেখাতে পারেন।
ভোট ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ
ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে গত প্রায় এক মাস ধরে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। প্রার্থীদের সরব প্রচার, আড্ডা আর শেষ পর্যন্ত ভোট হবে কি নাÑ সেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলেন শিক্ষার্থীরাও। সব শঙ্কা কাটিয়ে গতকাল অনুষ্ঠিত হলো কাক্সিক্ষত ভোট। তীব্র গরম আর দুপুরের পর এক পশলা বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভোটররা প্রাণবন্তভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়টির বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরাই শুধু ডাকসু নয়, জীবনের প্রথমবারের মতো তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। ফলে সবার চোখে-মুখেই ছিল উচ্ছ্বাস। অনেক ভোটারই জানিয়েছেন, মোট ৪১টি ভোট দিতে হবে তাই কাকে ভোট দিবেন তা আগের রাতে বিশ্লেষণ করে তালিকা নিয়ে এসেছেন।
গতকাল সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকেই নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সাড়ে ৮টার দিকে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে দেখা গেছে প্রায় এক কিলোমিটার লম্বা লাইন। কেন্দ্রটি শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত।
ভোটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী রাফিয়া ইসলাম বলেন, অনেকদিন পর ডাকসুর ভোট হচ্ছে। জীবনে প্রথমবার ভোট দিচ্ছি। অনেক উৎসাহ নিয়ে সকাল সকাল বাসা থেকে চলে এসেছি।
মিরপুর থেকে ভোট দিতে আসা অনাবাসিক শিক্ষার্থী শেখ তাহনা বলেন, এই প্রথম কোনো ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছি। অনেক ভালো লাগা কাজ করছে। নিজের পছন্দের প্রার্থীদের কোনো বাধা ছাড়াই ভোট দিতে পেরেছি। সকাল সকালই চলে এসেছি, আশা করি সুষ্ঠুভাবে ফল প্রকাশ হবে।
শুধু ছাত্রীরা নয়, ছাত্রদের মধ্যে ভোট নিয়ে ছিল ব্যাপক উৎসাহ। অনেকেই নিজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে অন্যান্য কেন্দ্র বন্ধুদের নিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারা বলেন, আমরা যখন বুঝতে শিখেছি তখন জাতীয় নির্বাচনসহ যত নির্বাচন দেখেছি সবই ছিল কারচুপিতে ভরা। এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়া ভয়ডরবিহীনভাবে ভোট দিচ্ছি। এটা আমাদের জীবনে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী ফারুক ফরহান বলেন, এবার যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে অধিকাংশই যোগ্য প্রার্থী। বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে তারা আমাদের পাশে ছিলেন। তাই কার থেকে কে যোগ্য, কাকে ভোট দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক উপকারে আসবে সেটা খুঁজতে গত কয়েকদিন ধরেই বন্ধুদের নিয়ে হোমওয়ার্ক করেছি। ভোটের আগের দিন রাতেও নিজেদের মধ্যে অনেক আলোচনা করেছি। কোনো রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ছাড়াই ভোট প্রদান করলাম। ভোট দিয়ে খুব খুশি লাগছে।
ভোট পড়েছে ৭৮.৩৩ শতাংশ, সবচেয়ে বেশি সূর্যসেন হলে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ৭৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোট দিয়েছেন সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থীরা। এ হলের ৮৮ শতাংশ ভোটারই নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এ ছাড়া আরও ১২টি হলের শিক্ষার্থীরা ৮০ শতাংশের ওপরে ভোট দিয়েছেন।
সন্ধ্যায় ডাকসুর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের হলগুলোর সংযুক্ত শিক্ষার্থীরা বেশি ভোট দিয়েছেন। ছাত্রদের হলগুলোর মধ্যে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ভোট পড়েছে ৮০ দশমিক ২৪ শতাংশ, অমর একুশে হলে ৮৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৮১ দশমিক ৪৩ শতাংশ, জগন্নাথ হলে ৮২ দশমিক ৪৪ শতাংশ, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৮৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৮৩ শতাংশ, স্যার এ এফ রহমান হলে ৮২ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পড়েছে।
এ ছাড়া হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৮৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ, বিজয় একাত্তর হলে ৮৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, সূর্যসেন হলে ৮৮ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৫ শতাংশ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৮৭ শতাংশ ও কবি জসীম উদ্দীন হলে ৮৬ শতাংশ ভোটার ভোট দিয়েছেন।
ছাত্রীদের হলে তুলনামূলক কম ভোট পড়েছে। ছাত্রীদের বেগম রোকেয়া হলে ৬৫ দশমিক ৫০ শতাংশ, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৬৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৬৭ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৬৪ শতাংশ ও শামসুন নাহার হলের ৬৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন।
এক ভোটারকে দুই ব্যালট, পোলিং অফিসারকে অব্যাহতি
নির্বাচন চলাকালে কার্জন হলের একটি ভোটকেন্দ্রের পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমানকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্বাচনি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অমর একুশে হলের কেন্দ্রে একজন শিক্ষার্থীকে অনিচ্ছাকৃতভাবে দুটি ব্যালট পেপার দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলছে, বিষয়টি যে অনিচ্ছাকৃত ভুল তা অভিযোগকারী ভোটারও বুঝতে পারেন। তারপরও ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে নিষ্পত্তি করে।
দুই ভিপি প্রার্থীর ভোট বর্জন
ভোট কারচুপি ও দলীয় আধিপত্য বিস্তারের অভিযোগ এনে ভোট বর্জন করেছেন স্বতন্ত্র ভিপি পদপ্রার্থী তাহমিনা আক্তার ও অদম্য ২৪ এর ভিপিপ্রার্থী নাইম হাসান হৃদয়।
তাহমিনা আক্তার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে টিএসসিতে সাংবাদিকদের সামনে এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভোট কারচুপি ও দলীয় আধিপত্য দেখছি। অমর একুশে হলে পোলিং অফিসার শিক্ষার্থীকে ব্যালট পেপার পূরণ করে দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। আবার আমাদের ছয়জন পোলিং এজেন্ট রাখার জন্য কর্তৃপক্ষে তথ্য দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা একজনও দেয়নি।
এদিকে অদম্য ২৪ এর ভিপিপ্রার্থী নাইম হাসান হৃদয় বলেন, আগে থেকে শিবির প্রার্থীর পক্ষে পূরণ করা ব্যালট দিয়ে এবং বিভিন্ন কৌশলে জালিয়াতি করে শিবির প্রার্থীকে জিতিয়ে দেওয়ার জন্য প্রহসনের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। তাই নিজেকে প্রত্যাহার করে এই ভুয়া নির্বাচন বর্জন ও বয়কট করলাম।
তিনি আরও বলেন, শিবিরের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ভিসি ও নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সবার ওপর অনাস্থা জ্ঞাপন করে তাদের পদত্যাগ দাবি করছি এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।