- ভাইয়া হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টসের নতুন প্রকল্প সল্ট বে’র অনুষ্ঠানে ছিল গ্রাহক ও দর্শনার্থীর উপচে পড়া ভিড়
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের ইনানী বিচে ভাইয়া হোটেলস্ অ্যান্ড রিসোর্টসের নতুন প্রকল্প আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ‘সল্ট বে’ উদ্বোধনের দ্বিতীয় দিনে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। ‘বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত আত্মবিশ্বাসের নতুন ঠিকানা’ স্লোগানে গতকাল শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ কনফারেন্স সেন্টারে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করে সল্ট বে।
ভবিষ্যতের নিরাপদ বিনিয়োগ ও লাক্সারি আশ্রয়ের জন্য নতুন পাঁচ তারকা মানের হোটেল ‘সল্ট বে’ নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্পপ্রতিষ্ঠান ভাইয়া গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ভাইয়া হোটেলস্ অ্যান্ড রিসোর্টস্ লিমিটেড। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিনে গ্রাহক ও আগ্রহী দর্শকদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
উপস্থিত গ্রাহকেরা বলেন, আন্তর্জাতিক মানের পাঁচ তারকা হোটেল ‘সল্ট বে’ পর্যটননগরী কক্সবাজারে নির্মিত হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করবে। বিশ্বের দীর্ঘ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারে এমন একটি আধুনিক হোটেল নির্মিত হচ্ছে, যা দেশের পর্যটনশিল্পের জন্য ইতিবাচক। একই সঙ্গে বিনিয়োগের জন্য এটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় স্থান।
তারা জানান, দেশে বিশ্বমানের এ ধরনের হোটেল গড়ে উঠছে, এ জন্য আমরা আনন্দিত। এটি শুধু পর্যটক আকর্ষণ করবে না বরং কর্মসংস্থান সৃষ্টি, স্থানীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করে তুলবে। আমরা চাই, ভাইয়া হোটেলস্ অ্যান্ড রিসোর্টস ভবিষ্যতেও এমন আরও প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, যাতে হোটেল ব্যবসা সত্যিকারের বিশ্বমানের রূপ পায়। আধুনিক অবকাঠামো, আন্তর্জাতিক মানের সেবা এবং অতিথিপরায়ণতার সমন্বয়ে এই খাতকে যদি এগিয়ে নেওয়া যায়, তাহলে বাংলাদেশ বিশ্বে অন্যতম শীর্ষ পর্যটন গন্তব্য হিসেবে স্বীকৃতি পাবে।
ভাইয়া হোটেলস অ্যান্ড রিসোর্টসের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান, আমাদের চেয়ারম্যান মারুফ সাত্তার আলী বিশ্বাস করেন, দেশের হোটেল ইন্ডাস্ট্রি একদিন আন্তর্জাতিক মানের হয়ে উঠবে, যা শুধু ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নয় বরং দেশের অর্থনীতি ও পর্যটনশিল্পের জন্যও ইতিবাচক হবে। পর্যটন ও হোটেল ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে সরাসরি জড়িয়ে আছে দেশের কর্মসংস্থান, রাজস্ব আয় বৃদ্ধি এবং আধুনিক অবকাঠামো গড়ে তোলার বিশাল সুযোগ। এই খাতে বিকাশের মাধ্যমে লাখো মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে, যা জাতীয় অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে। দেশের পর্যটনশিল্প বিকাশে কার্যকর ভূমিকা রাখাই আমাদের অঙ্গীকার। তবে এ কাজে বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সরকারেরও সক্রিয় সহযোগিতা প্রয়োজন। দেশের পর্যটনশিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকারকে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বিশেষ করে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, নিরাপত্তা, আন্তর্জাতিক প্রচারণা এবং বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে হবে। আমরা যারা বিশ্বমানের হোটেল নির্মাণ ও পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছি, তাদের প্রতি সরকারের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া জরুরি বলেও মনে করেন তিনি।
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভাইয়া হাউজিং ও ভাইয়া হোটেলস্্ অ্যান্ড রিসোর্টস নিরলসভাবে এই খাত উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে। আধুনিক সুযোগ-সুবিধা, বিশ্বমানের সেবা নিশ্চিত করে হোটেল খাতকে উচ্চতায় পৌঁছাতে চায়, যা দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করবে এবং দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বমঞ্চে উজ্জ্বল করবে।
দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানের বিশেষ আয়োজনে ছিল শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভাইয়া গ্রুপ, ভাইয়া হাউজিং ও ভাইয়া হোটেলস্্ অ্যান্ড রিসোর্টসের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তরা।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন