মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। যমুনা ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)। নতুন ও উদ্ভাবনী পণ্য, টেকসই প্রবৃদ্ধি, নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহক আস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কীভাবে ব্যাংকের আমানত বাড়ানো যায়, তা নিয়ে কথা বলেছেন রূপালী বাংলাদেশের সঙ্গে।
প্রশ্ন: আমানত বাড়ানোর জন্য আপনারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছেন?
উত্তর: বর্তমান ব্যাংকিং খাতে আমানত সংগ্রহ একটি প্রতিযোগিতামূলক ও গ্রাহককেন্দ্রিক চ্যালেঞ্জে পরিণত হয়েছে। সুদের হারই এখন একমাত্র নির্ধারক নয় বরং গ্রাহক এখন নিরাপত্তা, স্বচ্ছতা, ডিজিটাল সক্ষমতা ও সেবার অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেন। যমুনা ব্যাংক এ পরিবর্তনশীল বাস্তবতা গভীরভাবে অনুধাবন করে।
আমরা সুদের হারে প্রতিযোগিতা না করে, পূর্ণাঙ্গ গ্রাহক-মূল্য ও আস্থাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। সেই লক্ষ্যে আমরা চালু করেছি নতুন ও উদ্ভাবনী পণ্য, যার মধ্যে অন্যতম হলো "Jamuna Short Note" একটি স্বল্পমেয়াদি উচ্চ রিটার্ন-ভিত্তিক ডিপোজিট পণ্য, যা দ্রুত মূলধন ঘোরাতে আগ্রহী গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় সমাধান।
আমরা কাস্টমাইজড স্কিমের পাশাপাশি অটো-রিনিউয়াল, ট্যাক্স-স্মার্ট অপশন ও বিভিন্ন মেয়াদে উচ্চ-রিটার্ন সুবিধার মতো সুবিধা সংযুক্ত করছি, যা গ্রাহকের চাহিদার সঙ্গে সম্পূর্ণরূপে মানানসই।
কৌশলগতভাবে আমরা জোর দিচ্ছি সম্পর্কভিত্তিক ব্যাংকিংয়ের ওপর। আমাদের শাখাগুলোয় ট্রেইন্ড রিলেশনশিপ ম্যানেজাররা শুধু ব্যাংকিংসেবা দেন না, বরং প্রতিটি গ্রাহকের আর্থিক লক্ষ্য ও প্রোফাইল বোঝার চেষ্টা করেন। এ মানবিক সংযোগই আমানত সংগ্রহে দীর্ঘস্থায়ী ফল দিচ্ছে। পাশাপাশি, আমরা ডিজিটাল ব্যাংকিং চ্যানেলগুলো ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপ, ই-স্টেটমেন্ট, রিয়েল-টাইম অ্যালার্ট ব্যাপকভাবে উন্নয়ন করেছি, যাতে গ্রাহক যেকোনো সময় তার টাকার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন।
সবশেষে, টেকসই ব্যাংকিং ও সুনাম হচ্ছে আমাদের মূল শক্তি। বাংলাদেশ ব্যাংকের টেকসই রেটিং, CSR কার্যক্রম এবং কম NPL, শক্তিশালী ক্যাপিটাল বেস ইত্যাদি কারণে গ্রাহক আমাদের বিশ্বাস করেন। এই আস্থা ও রেপুটেশনই আমাদের আমানত সংগ্রহে সবচেয়ে বড় পুঁজি।
যমুনা ব্যাংক বিশ্বাস করে, আস্থা রাতারাতি তৈরি হয় না এটি সময়, ধারাবাহিকতা ও দায়বদ্ধতার মাধ্যমে গড়ে ওঠে। আর যমুনা ব্যাংক ঠিক সেই মূল্যবোধেই বিশ্বাস করে।
প্রশ্ন: দুর্বল ব্যাংকগুলো ১২ শতাংশ সুদেও আমানত নিচ্ছে, এতে বাজারে কি অস্থিরতা দেখা দিতে পারে?
উত্তর: যমুনা ব্যাংক সবসময় টেকসই প্রবৃদ্ধি, নিয়ন্ত্রিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও গ্রাহক আস্থাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়। শুধু উচ্চ সুদের প্রলোভনে আমানত সংগ্রহ আমাদের নীতিগত অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, কারণ: অস্বাভাবিক সুদের হার একটি অস্থিতিশীল প্রতিযোগিতা তৈরি করে, যা ব্যাংকিং খাতের দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ও আস্থার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সম্প্রতি রিপোর্টেও দেখা গেছে, কিছু ব্যাংকের অস্বাভাবিক হারে আমানত সংগ্রহ ভবিষ্যতে তারল্য সংকট তৈরি করতে পারে। উচ্চ সুদ মানেই উচ্চ ঝুঁকিতে বাজার থেকে আমানত টানতে গিয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান পরবর্তী সময়ে ওই উচ্চ সুদের দায়ভার বহনে হিমশিম খায়, ফলে তারা খেলাপি ঋণ বা অন্য অনিয়মে জড়িয়ে পড়তে পারে।
যমুনা ব্যাংক বরাবরই আস্থাভাজন সম্পর্ক গড়ে তোলায় বিশ্বাসী। আমরা গ্রাহকদের স্বচ্ছতা, নিয়মিত সেবা ও দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনার মাধ্যমে টিকিয়ে রাখি। অতিরিক্ত সুদ নয়, স্থিতিশীলতার ওপর ভিত্তি করেই আমানতের আস্থা অর্জন করাই আমাদের লক্ষ্য। বাজারে অস্থিরতা রোধে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা ও নীতিমালার প্রতি সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিয়মিত ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা মূল্যায়ন, কোর ব্যাংকিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং ESG (Environmental, Social, Governance) মানদণ্ডে আমাদের অবস্থান এরই মধ্যেই যমুনা ব্যাংককে শীর্ষ টেকসই ব্যাংক হিসেবে তিন বছর ধরে স্বীকৃতি এনে দিয়েছে। অতএব, যমুনা ব্যাংক অস্থির বা ক্ষণস্থায়ী প্রবণতায় নয়, বরং টেকসই ব্যাংকিংয়ের পথে বিশ্বাস রাখে।
প্রশ্ন: আমানতকারীদের অর্থের নিরাপত্তায় আপনারা কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন?
উত্তর: অর্থের নিরাপত্তা এখন আর কেবল একটি প্রযুক্তিগত বা আইনি প্রশ্ন নয়, এটি এক ধরনের নৈতিক দায়িত্ব, যা ব্যাংকের ভেতরের সংস্কৃতি, নেতৃত্ব, এবং দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যমুনা ব্যাংক শুরু থেকেই বিশ্বাস করে, গ্রাহকের টাকা শুধু একটি অঙ্ক নয়; এটি তার আস্থা, সঞ্চয় এবং ভবিষ্যতের প্রতীক। আর এই আস্থার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আমাদের নিরাপত্তা কাঠামোকেও হতে হয় সমান আধুনিক, গতিশীল এবং বিশ্বাসযোগ্য।
আমরা আজকের দিনে শুধু সফটওয়্যার আপডেট করেই নিশ্চিন্ত থাকি না। বরং আমাদের প্রতিদিনের কাজের ধারায় ঝুঁকি মূল্যায়ন, সন্দেহজনক কার্যক্রম শনাক্তকরণ এবং সময়োপযোগী প্রতিক্রিয়া একান্তভাবে অন্তর্ভুক্ত। প্রতিটি লেনদেন আমরা দেখি প্রেক্ষাপট বিবেচনায় গ্রাহক কে, তার লেনদেনের ধরন কী, আচরণগত প্যাটার্নে কোনো অস্বাভাবিকতা আছে কি না, এ বিশ্লেষণগুলো আমাদের নিজস্ব প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞ মানব সম্পদ যৌথভাবে প্রতিদিন করে। সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও আমরা আজ আর শুধু ফায়ারওয়াল বা অ্যান্টিভাইরাসের ওপর নির্ভর করি না। আমাদের আছে স্বতন্ত্র মনিটরিং টিম, যারা ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকের প্রতিটি সিস্টেম ও চ্যানেল পর্যবেক্ষণ করে। যেকোনো অস্বাভাবিক আচরণ যেমন অস্বাভাবিক লগইন, উচ্চ অঙ্কের হঠাৎ ট্রান্সফার বা বট-অ্যাকটিভিটির মতো ঘটনাগুলো আমরা অ্যালার্ট দিয়ে ধরতে পারি। এটি কেবল প্রতিরোধ নয়, গ্রাহককে তার ক্ষতির আগেই রক্ষা করা।
আমরা নিয়মিতভাবে নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাইরের নিরপেক্ষ মূল্যায়ন করাই তৃতীয় পক্ষ দিয়ে Penetration Testing I Vulnerability Assessment করানো হয়, যাতে নিজস্ব দুর্বলতা আমাদের চোখ এড়িয়ে না যায়। তা ছাড়া অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী অর্থায়ন প্রতিরোধে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও আন্তর্জাতিক সংস্থার নির্দেশনার প্রতি কঠোরভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
সবচেয়ে বড় কথা, আমরা বিষয়টিকে কেবল প্রযুক্তি বা নিয়ম মানা দিয়ে দেখি না। বরং আমরা এটিকে দেখি একটি পারস্পরিক সম্পর্কের জায়গা থেকে যেখানে একজন গ্রাহক তার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থীয় সিদ্ধান্তটি আমাদের হাতে তুলে দিচ্ছেন। সেই দায়িত্ব আমরা নিছক ফরমালিটি হিসেবে নিই না, বরং প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি স্তরে সেই দায়িত্ববোধ কাজ করে নির্বাহী পর্যায় থেকে শুরু করে শাখার ফ্রন্টডেস্ক পর্যন্ত।
এ কারণেই আপনি যখন যমুনা ব্যাংকে টাকা রাখেন, আপনি শুধু একটি সুদের হার পান না আপনি একটি পরিপূর্ণ নিরাপত্তা কাঠামো, একটি নীতিনিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং একটি সচেতন ও সদা প্রস্তুত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে অংশীদার হন। অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার এ সময়েও আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যেখানে আস্থা থাকবে, সেখানে টেকসই প্রবৃদ্ধিও নিশ্চিত হবে।
প্রশ্ন: বাজারে অনেক ব্যাংক আছে, এর মধ্যে গ্রাহকের আপনার ব্যাংকে কেন আস্থা রাখা উচিত? অন্য ব্যাংক থেকে আপনার ব্যাংককে কী কারণে আলাদাভাবে বিবেচনা করবেন গ্রাহকরা?
উত্তর: প্রশ্নটি খুবই যৌক্তিক এবং প্রতিদিনই গ্রাহকদের মনে এমন প্রশ্ন জাগে। কারণ একজন গ্রাহক যখন তার সঞ্চয় বা ব্যবসায়িক অর্থ কোনো একটি প্রতিষ্ঠানে রাখেন, তখন তিনি শুধু আর্থিক লেনদেন করছেন না তিনি তার ভবিষ্যৎ, পরিবার, এবং স্বপ্নকে একটি প্রতিষ্ঠানের ওপর বিশ্বাস করে তুলে দিচ্ছেন।
যমুনা ব্যাংকের প্রতি সেই আস্থার ভিত্তি তৈরি হয়েছে দীর্ঘ সময় ধরে ধারাবাহিকতা, নির্ভরযোগ্যতা এবং সেবার মান দিয়ে। আমরা বলি না, আমরা সবচেয়ে বেশি শাখা খুলেছি বা সবচেয়ে উচ্চ সুদ দিচ্ছি। আমরা বলি, আমরা সবচেয়ে বেশি সম্পর্ক তৈরি করেছি। এ ব্যাংক শুধু লেনদেন করে না, প্রতিটি গ্রাহককে বোঝে তার প্রয়োজন, সম্ভাবনা এবং সীমাবদ্ধতাকে শ্রদ্ধা করে। যমুনা ব্যাংকের প্রতিটি শাখায় আপনি পাবেন এমন একটি আচরণগত পরিবেশ, যেখানে আপনার সময়, জিজ্ঞাসা, এবং প্রাপ্তি সবকিছুকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়।
আমাদের সেবার অভিজ্ঞতা ডিজিটাল হলেও মনোভাবটি মানবিক। আমরা প্রযুক্তিকে ব্যবহার করি আপনার সময় ও শ্রম বাঁচাতে কিন্তু কখনোই সম্পর্কের জায়গায় প্রযুক্তিকে বসাই না। আমাদের মোবাইল ব্যাংকিং, রিয়েল টাইম সেবা, এবং অনলাইন লেনদেনের নিরাপত্তাব্যবস্থা দেশের শীর্ষ পর্যায়ে; কিন্তু এগুলোর পেছনে আছে আমাদের দক্ষ টিম ও অটুট দায়বদ্ধতা।
আবার, শুধু আর্থিক সেবা নয়, যমুনা ব্যাংক সামাজিক দায়বদ্ধতা ও টেকসই উন্নয়নকেও গুরুত্ব দেয়। আমরা স্কুলে শিক্ষা কার্যক্রম, পরিবেশবান্ধব প্রকল্প, কৃষি খাতে সহযোগিতা এবং ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন করে থাকি, যা ব্যাংকিংয়ের বাইরেও সমাজে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করে।
আরেকটি বিষয়, যেটি আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যমুনা ব্যাংক কখনোই বাজারে ‘শর্টকাট’ পথ খোঁজে না। আমরা কখনো অস্বাভাবিক উচ্চ সুদ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ আমানত গ্রহণে প্রতিযোগিতা করি না, বরং স্বচ্ছতা, নিয়ম, এবং দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে গ্রাহক টানি। কারণ আমরা জানি, আজকের লোভী প্রতিশ্রুতি কালকের বিপদের উৎস হতে পারে। সবচেয়ে বড় কথা, যমুনা ব্যাংকে আপনি একজন অ্যাকাউন্ট নাম্বার নন, আপনি একজন মানুষ, যার পেছনে রয়েছে পরিবার, ভবিষ্যৎ এবং একটি বিশ্বাস। সেই বিশ্বাস আমরা কেবল রাখি না, প্রতিদিন তাকে আরও দৃঢ় করার চেষ্টা করি।
প্রশ্ন: ব্যাংক একীভূতকরণের উদ্যোগে অনেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন, এটাকে কীভাবে দেখছেন?
উত্তর: একীভূতকরণ বা মের্জারের বিষয়টি বর্তমানে একটি নীতিনির্ধারক পর্যায়ে আলোচনার অংশ এবং এটি কোনো আতঙ্ক বা অস্থিরতার বিষয় নয়। বিশ্বের অনেক উন্নত অর্থনীতিতেই সময়মতো ব্যাংক একীভূতকরণ করা হয় দুর্বল ব্যাংককে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠানের আওতায় এনে তাদের পরিচালন দক্ষতা ও নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য। বাংলাদেশও এখন সেই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু একধরনের অপূর্ণ বা ভ্রান্ত তথ্যের কারণে কিছু মানুষ মনে করছেন, একীভূতকরণ মানেই সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো অনিরাপদ বা তাদের অর্থ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এটা সত্য নয়। বাংলাদেশ ব্যাংক অত্যন্ত সুস্পষ্টভাবে জানিয়েছে একীভূতকরণ একটি প্রশাসনিক ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত, ফলে গ্রাহকের টাকা পুরোপুরি সুরক্ষিত থাকবে।
আমরা একে দেখি একটি বাজার সংশোধনমূলক পদক্ষেপ হিসেবে যার মাধ্যমে সার্বিক ব্যাংকিং খাত আরও স্থিতিশীল ও টেকসই হবে। কিছু দুর্বল প্রতিষ্ঠানের ভুলের দায় সবার ওপর বর্তায় না, এবং এটিই বোঝানো এখন সময়ের দাবি।
যমুনা ব্যাংকের নিজস্ব আর্থিক ভিত্তি, তারল্য অনুপাত (liquidity ratio) এবং মূলধনের কাঠামো (capital adequacy) অত্যন্ত শক্তিশালী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সব প্রাসঙ্গিক নির্দেশনা অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের গ্রাহকরা জানেন, আমরা কখনো হঠকারী সিদ্ধান্ত নিই না বা বাজারে সাময়িক চাপ তৈরি করে এমন প্রতিযোগিতায় যাই না। এ জন্য যমুনা ব্যাংক থেকে গ্রাহকদের টাকা তোলার প্রবণতা নেই বললেই চলে কারণ আমাদের সঙ্গে রয়েছে আস্থার একটি দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক। তবে, ভ্রান্ত তথ্য প্রতিরোধে এবং গ্রাহকের মধ্যে আস্থা ধরে রাখতে আমরা আরও বেশি যোগাযোগ, সচেতনতা এবং তথ্যভিত্তিক কমিউনিকেশন জোরদার করেছি। আমাদের লক্ষ্য হলো মানুষ যেন সিদ্ধান্ত নেয় তথ্যের ভিত্তিতে, আতঙ্কের নয়। সার কথা হলো, একীভূতকরণ একটি অর্থনৈতিক নীতিগত পদক্ষেপ। এটি দুর্বল ব্যাংকের সমস্যা সমাধানের জন্য, শক্তিশালী ব্যাংকের নয়। যমুনা ব্যাংক যেমন ছিল, তেমনি থাকবে নির্ভরযোগ্য, শক্ত ভিতের ওপর দাঁড়ানো এবং গ্রাহক স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন