শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৫, ১২:০৯ এএম

বললেন মির্জা ফখরুল

সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মব তৈরি হচ্ছে

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২৯, ২০২৫, ১২:০৯ এএম

সোশ্যাল মিডিয়া  ব্যবহার করে মব  তৈরি হচ্ছে

সোশ্যাল মিডিয়া (সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম) এখন শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা পৃথিবীতেই একটা বড় সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এখানে যা খুশি তা বলা যায়। এখানে রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সামাজিক ব্যক্তিত্ব কিংবা ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। মব তৈরি করা হচ্ছে। এতে দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’ গতকাল  শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল ২০২৫-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনভাবে অপপ্রচার চালানো হয় যে, মনে হয় এক ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা চলছে। মব তৈরি করা হচ্ছে। মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রচারণা করা হচ্ছে। একজন মানুষকে ভিন্নভাবে প্রচার করে তাকে হেয় করা হচ্ছে। এর ফলে আমাদের গণতান্ত্রিক যাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’ নির্বাচন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা সবাই অপেক্ষা করছি ফেব্রুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে যেন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরে যেতে পারি। তবে একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অপরিহার্য। ভিন্নতা থাকবেই। আমি আপনার সঙ্গে একমত না-ও হতে পারি, কিন্তু আপনার মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাদের দেশে ভিন্নমত মানেই শত্রু। তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের মিথ্যা অপপ্রচার চালানো হয়।’

বিএনপি একটি প্রমাণিত গণতাত্রিক রাজনৈতিক দল বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘১৯৭৫ সালে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে একদলীয় শাসন থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বন্ধ থাকা পত্রিকাগুলো পুনরায় চালু করেছিলেন। পরবর্তীকালে খালেদা জিয়াও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করতে কাজ করেছেন।’ বিএনপির মহাসচিব বলেন, আমাদের ৩১ দফায় গণমাধ্যমের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে। এটা শুধু কথার কথা নয়, এটা পরীক্ষিত কমিটমেন্ট।’

অধিকার আদায়ে সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী হতে হবে বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের লেজুড়বৃত্তি করলে সমস্যার সমাধান হয় না। গত ১৫ বছরে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে গণমাধ্যমকে ধ্বংস করা হয়েছে।’ সাংবাদিকদের প্রতি তার অনুরোধ, এ জায়গা থেকে তার যেন বেরিয়ে আসেন, ঐক্যবদ্ধ হন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নিজেদের দাবিদাওয়া, চাকরির নিরাপত্তা, কর্মপরিবেশÑ এসব নিয়ে মালিকপক্ষ ও সরকারের সঙ্গে শক্তভাবে কথা বলা উচিত। কোনো দলের ওপর নির্ভর করলে অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।’

অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি কবি হাসান হাফিজ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি কবি আবদুল হাই শিকদার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!