ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৫

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন

পুলিশের মাথাব্যথা সাড়ে ১৭ হাজার ভোটকেন্দ্র

সাইফ বাবলু
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৫, ১১:১৬ পিএম

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪২ হাজার ৭৬১ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৭ হাজার ৫৫৬টি ভোটকেন্দ্রকে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। দেশের ৮ বিভাগের ৬৪ জেলা ও ৮ মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি ‘অতি ঝুঁকিপূর্ণ’ এবং ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুুভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠান করাই এখন পুলিশের মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মোট ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় অবাধ, সুষ্ঠুু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বড় বাধা। তাই এসব ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠুুভাবে ভোটগ্রহণ নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাড়তি নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিতে হবে।

তালিকা অনুযায়ী ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের তালিকায় সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা বিভাগ। মেট্রোপলিটন ও রেঞ্জ হিসেবে ঢাকার পরেই অবস্থান চট্টগ্রাম বিভাগের। তবে পুলিশ বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের বিষয়ে বিশেষ নিরাপত্তার প্রস্তুতি রয়েছে পুলিশের। পাশাপাশি সারা দেশে প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশের বিশেষটিম বডিওর্ন ক্যামেরা এবং অস্ত্র নিয়ে ভোটগ্রহণ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পাহারায় থাকবেন। নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ এবং সার্বজনিন করতে নির্বাচনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ের জন্য জেলায় এসপিদের এবং বিভাগীয় পর্যায়ে ডিআইজিদের ও মেট্রোপলিটনে কমিশনারদের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে সরকারের কাছে। সরকারের পক্ষ থেকে এ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হলে নির্বাচনকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ছক চূড়ান্ত করা হবে।

গতকাল সোমবার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বাচনের সময় যাতে প্রতিটা কেন্দ্রে বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকে তা নিশ্চিত করা হবে। বিশেষ করে যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ থাকে না, ওইসব এলাকায় বিকল্প ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।’

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন যে এবার ভোটগ্রহণ শুরু ও শেষের সময় বাড়ছে। সূর্যের আলোর পরেও কিন্তু আমাদের ভোট গণনা করতে হবে। এ জন্য যে এলাকায় ইলেকট্রিসিটি না থাকে ওই এলাকায় অল্টারনেটিভ কি লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা যায়। আর যেখানে ইলেকট্রিসিটি থাকে সেখানে ইলেকট্রিসিটি এনসিওর করতে হবে।’

জানতে চাইলে পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি (অপারেশন্স) মো. রেজাউল করিম রূপালী বাংলাদেশকে জানান, পুলিশের রেঞ্জ ( বিভাগ) এবং মেট্রোপলিটন এলাকা ভাগ করে সারা দেশের ভোটকেন্দ্রগুলোকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাধারণÑ এ ৩টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। বিগত দিনের নির্বাচনে সহিংসতার পরিসংখ্যান বিবেচনা করে এবং গোয়েন্দা তথ্য ধরে এ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী নিরাপত্তার ছক তৈরি করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, সারা দেশে মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪২ হাজার ৭৬১। এর মধ্যে সাধারণ ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৭ হাজার ৩৫৯। বাকি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ৮ হাজার ৭৪৬টি কেন্দ্র। আর ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে ১৬ হাজার ৩৫৯টি কেন্দ্র।

পুুলিশ সদর দপ্তরের সূত্র জানিয়েছে, ভোটার সংখ্যা, আধিপত্য, থানা থেকে দূরত্ব, দুর্গম এলাকা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা, অবকাঠামো এসব বিবেচনা করে অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে রেডমার্ক (লাল চিহ্ন) করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে ইয়োলো মার্ক (হলুদ) দেওয়া হয়েছে। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রগুলোকে গ্রিন মার্ক (সবুজ) করা হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে সহিসংসতা এড়াতে নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমন্বয় করে নিরাপত্তা পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ, আনসার, বিজিবি, কোস্টগার্ড এবং সশন্ত্র বাহিনীর সমন্বয়ে একাধিক সভায় নির্বাচনকে অবাধ, গ্রহণযোগ্য এবং নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত করার বিষয়ে একমত পোষণ করা হয়েছে।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, মেট্রোপলিটন এলাকার মধ্যে ডিএমপিতে ২১৩১ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ৬৯৫টি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র রয়েছে ১১৩৩টি। আর সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে ৩০৩টি। একইভাবে চট্টগ্রাম মেট্টেপলিটনে(সিএমপি) ৬০৭ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩১২টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ৩১২টি আর ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র ১৪৯টি। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্র ১৪৬টি। খুলনা মেট্রোপলিটনে (কেএমপি) ৩০৯ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৭৯টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ১২৮টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ১০২টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটনের (আরএমপি) ২১৭ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮৭টি অতি ঝুঁকিপূণ, ১১৬টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং সাধারণ কেন্দ্র ১৪টি রয়েছে। বরিশাল মেট্রোপলিটনে ( বিএমপি) ১৯৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ৮২টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৯৬টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে। সিলেট মেট্রোপলিটনে (এসএমপি) ২৯৪ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৯৫টিটি অতি ঝুঁকিপূণ, ১৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৬৫টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে। গাজীপুর মেট্রোপলিটনে ৩৯৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৮০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ২২৭টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৯১টি সাধারণ কেন্দ্র। রংপুর মেট্রোপলিটনে ২০৪ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৭টি অতি ঝুঁকিপূণ, ৭০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ৮৭টি সাধারণ কেন্দ্র রয়েছে।

বিভাগীয় পর্যায়ে ( রেঞ্জ) ঢাকা বিভাগের ৮ হাজার ৩১ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৯৮০, ঝুঁকিপূর্ণ ২৫৫২ এবং সাধারণ কেন্দ্র ৩৪৯৯টি। চট্টগ্রাম বিভাগের ৭৩৪৭ কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৪০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ, ৩৭৩৭ ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২১৭০টি সাধারণ কেন্দ্র। খুলনায় ৪৮২৪ কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩০টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ,১৫৬৫ ঝুঁকিপূর্ণ এবং ২৫২৯টি সাধারণ কেন্দ্র। রাজশাহীতে ৫২৪৭ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৮৮১, ঝুঁকিপূর্ণ ১৬৭০ এবং সাধারণ কেন্দ্র ২৭৩৬টি। বরিশালে ২৬৩৫ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৬৯৭, ঝুঁকিপূর্ণ ১০৯২টি এবং সাধারণ কেন্দ্র ৮৪৬টি। সিলেটে ২৬৪১ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৩৬২টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৮৯৮ এবং সাধারণ কেন্দ্র ১৩৮১টি। রংপুরে ৪৫৪৬ কেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৮২৭টি, ঝুঁকিপূর্ণ ১৭৭২টি এবং সাধারণ কেন্দ্র ১৯৮৫টি। এ ছাড়া ময়মনসিংহে ৩০৯১ ভোটকেন্দ্রের মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৪১৩টি, ঝুঁকিপূর্ণ ১০৭২টি এবং সাধারণ কেন্দ্র ১৬০৬টি।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, সারা দেশে বিভাগ এবং মেট্রোপলিটন এলাকায় মোট ভোটকেন্দ্রের অর্ধেকের বেশি অতি ঝুঁকিপূর্ণ এবং ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব ভোটকেন্দ্রগুলো দূরত্বের দিক থেকে, যোগাযোগ ব্যবস্থা, অবকাঠামো, অংশগ্রহণকারী দলগুলোর প্রার্থীদের পক্ষ-বিপক্ষের শক্তি ও সহিংসতার ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে তালিকা করা হয়েছে। যেসব ভোটকেন্দ্র অতি ঝুঁিকপূর্ণ এবং ঝুঁিকপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত করা হয়েছে সব কেন্দ্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংখ্যা অন্যান্য কেন্দ্রগুলোর চেয়ে বাড়তি মোতায়েন করা হবে। এ ছাড়া অস্ত্র, ক্যামেরাসহ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। ওইসব ভোটকেন্দ্রে সাধারণ ভোটাররা যাতে ভোট দিতে কোনো বাধার মুখে না পড়ে এ জন্য ভোটের শুরু থেকে ফল গণনা পর্যন্ত বাড়তি স্ট্রাইকিং ফোর্স টহলে থাকবে।

পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বডিওর্ন ক্যামেরা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে। যাতে কোনো ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কেন্দ্রে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা হলে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্য বডিওর্ন ক্যামেরায় তার ভিডিও ধারণ করবেন। এই ভিডিও ফুটেজ ডিজিটাল অ্যাভিডেন্স হিসেবে সংরক্ষণ করা হবে। যাতে পরে যেকোনো তদন্তে ব্যবহার করা যায়। অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে সর্বনি¤œ তিনজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করার প্রাথমিক পরিকল্পনা রয়েছে। প্রয়োজনে সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। এ ছাড়া প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৩ জন আনসার সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এই ১৩ জনের মধ্যে ৩ জন থাকবেন অস্ত্রসহ আর বাকি ১০ জন থাকবেন অস্ত্র ছাড়া। অস্ত্রবিহীন ১০ জনের মধ্যে ৬ জন থাকবেন পুরুষ আর ৪ জন থাকবেন নারী। এর বাইরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), কোস্টগার্ড নৌ বাহিনীর থাকবেন।

এসপিদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয়ক করতে আলোচনা চলছে : এদিকে গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় পুলিশ সুপার (এসপি) ও ডিআইজিদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সম্মেলন শেষে রাজারবাগে আইজিপির সঙ্গে ডিআইজি, এসপি বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এসপিদের পক্ষ থেকে বলা হয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ করতে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বয় করার সক্ষমতা দিতে হবে। ওই সভায় আইজিপির পক্ষ থেকে মাঠ পুলিশকে ৬ ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পুলিশ সদর দপ্তরের ডিআইজি পদমর্যাদার এক কর্মকর্তা জানান, এসপি নির্বাচনকালে জেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্বে থাকা সবাইকে সমন্বয় করার ক্ষমতা চেয়েছেন। বিগত নির্বাচনে জেলা প্রশাসকরা এ দায়িত্ব পালন করতেন। কিন্তু বিগত কয়েকটি বিতর্কিত নির্বাচনের কারণে পুলিশের ওপর নানা বদনাম আসে। এ কারণে এবার পুলিশ সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থেকে দায়িত্ব পালন করতে চায়। তাই আনসার, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীসহ যেসব বাহিনী মাঠে থাকবে তাদের কমান্ডিং অফিসার হিসেবে জেলা এসপিরা দিক নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষমতা চেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এটি হলে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ সুষ্ঠুু নির্বাচন উপহার দিতে পারবে পুলিশ।

সুষ্ঠুুভাবে নির্বাচন আয়োজনে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল ইসলাম বলেছেন, নির্বাচনকালে কোন দল বা গোষ্ঠীর পক্ষ নেবেন না। নির্বাচনে অস্বাভাবিক টাকা-পয়সা লেনদেনের বিষয়টি নজরে রাখতে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে মাঠ পুলিশকে নির্দেশনা দিয়েছেন আইজিপি। কোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচন ঘিরে গুজব প্রতিরোধে সাইবার স্পেসে মনিটরিং বাড়ানোর ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টারকে বিশেষ ভূমিকা রাখতেও বলা হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনকালে বিভিন্ন বাহিনী বা সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করতেও বলা হয়েছে মাঠ পুলিশকে।

ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের এলাকায় শুরু হচ্ছে বিশেষ অভিযান : পুলিশ সদর দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্র যেসব এলাকায় অবস্থিত ওইসব এলাকায় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর পরই বিশেষ অভিযান জোরদার করা হবে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, ভোটকেন্দ্র সহিংসতায় জড়িত ব্যক্তিদের তালিকা প্রস্তুত করে এ অভিযান চলবে। এ ছাড়া দাগী অপরাধী, ভোটের সময় ভাড়ায় খাটা সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণেও অভিযান অব্যাহত থাকবে। নির্বাচনকালে মোতায়েনকৃত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, আনসার, বিজিবি ও পুলিশের পাশাপাশি প্রতিটি সংস্থার গোয়েন্দারা কাজ করবেন।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র এবং অতি ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে। পুলিশ সদর দপ্তর, নির্বাচন কমিশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পৃথকভাবে নজরদারি রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে কুইক রেসপন্সটিম প্রস্তুত রাখা হবে। প্রার্থীদের পক্ষে যারাই পেশিশক্তি দেখানোর চেষ্টা করবে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে জরিমানা ও সাজা দেওয়া হবে যাতে এটি নজির হয়ে থাকে।