কৈশোরে কিংবা প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও ব্রণ একটি সাধারণ সমস্যা। ত্বকের লোমকূপে অতিরিক্ত তেল জমা, মৃত কোষ আটকে যাওয়া এবং ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের কারণে ব্রণ তৈরি হয়। এর সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, দূষণ, অনিয়মিত ঘুম ও মানসিক চাপও ব্রণকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে শুধু বাহ্যিক নয়, ভেতর থেকেও যতœ নেওয়া জরুরি হয়ে পড়ে।
নিমের ভেষজ শক্তি
আয়ুর্বেদ ও লোকজ চিকিৎসায় নিমকে বলা হয় ‘প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক’। এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং ডিটক্সিফাইং গুণ। এসব উপাদান ব্রণ সৃষ্টিকারী জীবাণু ধ্বংস করে, প্রদাহ কমায় এবং রক্ত পরিশুদ্ধ করে ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার রাখে। তাই রাসায়নিক ওষুধ বা প্রসাধনী না ব্যবহার করে নিরাপদ উপায়ে ব্রণ নিরাময়ে নিম একটি নির্ভরযোগ্য সমাধান।
ব্যবহারের উপায়
নিম ব্যবহার করা যায় নানা রূপে। তাজা পাতা বেটে সরাসরি ব্রণের জায়গায় লাগালে প্রদাহ কমে। নিমপাতার গুঁড়া, সামান্য হলুদ ও গোলাপজল মিশিয়ে তৈরি ফেসপ্যাক ত্বক পরিষ্কার করে ও ব্রণ শুকিয়ে দেয়। আবার ফুটানো নিমের পানি দিয়ে মুখ ধুলে জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ হয়। এছাড়া অল্প পরিমাণ নিম তেল আক্রান্ত স্থানে লাগানো কার্যকর, তবে তা সরাসরি বেশি ব্যবহার না করাই ভালো। কেউ চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে নিমপাতা শুকিয়ে গুঁড়া খেতেও পারেন, যা রক্ত বিশুদ্ধ করতে সহায়তা করে।
সতর্কতা
যদিও নিম নিরাপদ, তবুও সংবেদনশীল ত্বকে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সরাসরি ব্যবহারের আগে পরীক্ষা করা জরুরি। গর্ভবতী বা স্তন্যদানকারী নারীদের ক্ষেত্রে নিম তেল খাওয়ার মতোভাবে ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ। দীর্ঘমেয়াদে অভ্যন্তরীণ প্রয়োগের ক্ষেত্রেও বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সব মিলিয়ে বলা যায়, সঠিকভাবে ব্যবহার করলে নিম ব্রণ নিরাময়ের পাশাপাশি ত্বককে স্বাস্থ্যকর, উজ্জ্বল ও সতেজ রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখে।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল থেকে মতামত লিখুন