দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেছে। তিনটি ইউনিটের মধ্যে গত সোমবার সন্ধ্যা থেকে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তৃতীয় ইউনিটের উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।
ওই ইউনিটটি থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়ে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছিল। এর আগে ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কারকাজের জন্য বন্ধ আছে। শুধু ১ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে, যা ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হয় মাত্র ৬০-৬৫ মেগাওয়াট।
গতকাল বিকেলে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে রংপুর বিভাগের দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধাসহ আটটি জেলা।
বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গত সোমবার সকাল থেকেই বিদ্যুৎকেন্দ্রটির তিন নম্বর ইউনিটটিতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তার পর থেকে বিশেষজ্ঞ দল ইউনিটটির মেরামতের জন্য দিনব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে চালু করার চেষ্টা করা হলেও পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমানে ইউনিটটি মেরামতের কাজ চলমান। শুধু ১ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। তবে এ সমস্যা সাময়িক।
সূত্রটি জানায়, বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক ৫২৫ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তিনটি ইউনিটের মধ্যে ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ২ নম্বর ইউনিটটি ২০২০ সালের নভেম্বর থেকে সংস্কার কাজের জন্য বন্ধ আছে। বর্তমানে চালু ছিল ১ ও ৩ নম্বর ইউনিট। তার মধ্যে ২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ৩নং ইউনিট সোমবার সকালে ত্রুটির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু ১ নম্বর ইউনিটটি চালু আছে। যা ১২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার হলেও উৎপাদন হয় ৬০-৬৫ মেগাওয়াট।
ফুলবাড়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ (নসকো) আবাসিক প্রকৌশলী দেলওয়ার হোসেন জানান, বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ট্রিপ করার সাথে সাথে রংপুর বিভাগের সব গ্রিড ট্রিপ করে যায়। বর্তমানে ফুলবাড়ী দপ্তরের ৩৩ কেভি চালু রয়েছে। তবে চাহিদার তুলনায় লোড বরাদ্দ কম থাকায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। লোড বরাদ্দ স্বাভাবিক হলে এই দপ্তরের সব এলাকায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবারহ নিশ্চিত করা হবে ।
এদিকে নর্দান ইলেকট্রিসিটি (নেসকো) রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী (অপারেশন) আশরাফুল আলম ম-ল গতকাল বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জাতীয় গ্রিড ট্রিপ করার কারণে বিদ্যুতের সমস্যা হয়েছে। তারা চেষ্টা করছেন। বিদ্যুতের কী পরিমাণ ঘাটতি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা বলা কঠিন, তবে শুধু কোনোমতে কোথাও কোথাও লাইন চালু রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :