শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৫, ০২:১৫ এএম

মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি

এখনো পোড়া ভবন দেখতে আসছেন সাধারণ মানুষ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০২৫, ০২:১৫ এএম

এখনো পোড়া ভবন দেখতে  আসছেন সাধারণ মানুষ

কেউ তুলছেন সেলফি, কেউ ভিডিও, কেউ আবার ভিডিও কলে অন্যদের দেখাচ্ছেন মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের পুড়ে যাওয়া হায়দার আলী ভবন। যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের পর পুড়ে যাওয়া এ ভবন দেখতে দূরদূরান্ত থেকে আসছে মানুষ। 
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে দর্শনার্থী মানুষের এমন ভিড় দেখা গেছে। কেউ পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউ ছোট শিশুদের নিয়ে, আবার কেউ কেউ আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে দেখতে এসেছেন ভয়াবহ এ দুর্ঘটনাস্থল।
অসুস্থ মাকে নিয়ে কাওলা থেকে এসেছেন নাসরিন বেগম। তিনি জানান, মায়ের ইচ্ছা পূরণ করতে তিনি এসেছেন এখানে। নাসরিন বেগম বলেন, দুর্ঘটনার পর থেকে মা বলছিলেন, এখানে আসবেন। কিন্তু ভিড়ের কথা চিন্তা করে আনা হয়নি। আজ সময় পেয়ে নিয়ে এলাম।
বিকেল সাড়ে ৪টায় স্কুল গেটের বাইরে রিকশার জট দেখা যায়। চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সপ্তাহজুড়েই মানুষ আসছে মাইলস্টোন স্কুলটি দেখতে। বেশির ভাগ দর্শনার্থীই উত্তরার বাসিন্দা। তবে দূর থেকেও আসছেন অনেকে। মিজান নামের এক রিকশাচালক বলেন, আজ (গতকাল) এখানে তিনবার এলাম। এখন আসছি, হাউস বিল্ডিং থেকে। যিনি আসছেন, তিনি আমার পরিচিত, পোড়া ভবন দেখেই চলে আসবেন। এ জন্য বাইরে অপেক্ষা করছি।


গতকাল মেইন গেট বাদে বাকি দুটি বন্ধ রয়েছে। স্কুলের ভেতরে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বসে থাকতে দেখা গেছে। পুড়ে যাওয়া হায়দার আলী ভবনের সামনে তৈরি করা হয়েছে অস্থায়ী গেট। সেই গেটের তালা খোলা রয়েছে। দর্শনার্থীরা পুড়ে যাওয়া ভবনের কাছে গিয়ে ছবি, ভিডিও নিচ্ছিলেন। এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের কাউকে দেখা যায়নি।


মেইন গেটে কথা হয় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের নিরাপত্তাকর্মী সম্রাট হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্কুল গেট খোলা রাখা হয়েছে। এলাকাবাসী আবদার করেছে দুর্ঘটনার স্থান দেখবে। এ জন্য বাধ্য হয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ গেট খোলা রেখেছে।


দুই বন্ধুকে নিয়ে আশুলিয়া থেকে এসেছেন আলিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘বিমানটি যে শ্রেণিকক্ষে বিধ্বস্ত হয়েছে, সেটি আমরা টেলিভিশনে দেখেছি। অনেক শিশু মারা গেছে। ওই জায়গা আমরা নিজ চোখে দেখতে এসেছি।’ উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩৪ জন মারা গেছেন, যাদের অধিকাংশই ওই স্কুলের শিক্ষার্থী।

রূপালী বাংলাদেশ

Shera Lather
Link copied!