শনিবার, ০৪ অক্টোবর, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


হাসানুর রহমান তানজির, খুলনা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১২:২৬ এএম

বাড়ছে খুন-সহিংসতা, আতঙ্কে জনজীবন

হাসানুর রহমান তানজির, খুলনা

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৫, ১২:২৬ এএম

বাড়ছে খুন-সহিংসতা, আতঙ্কে জনজীবন

  • খুলনায় সেপ্টেম্বরে ৮ খুন
  • গুলি করে হত্যা ২, কুপিয়ে হত্যা ৫ ও পিটিয়ে হত্যা ১
  • রহস্যজনক মৃত্যু/মরদেহ উদ্ধার ৪ ও আহত ১২

খুলনা মহানগর থেকে জেলার প্রত্যন্ত গ্রামÑ সব জায়গাতেই মিলছে লাশ। গেল বছরের ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময় থেকে শুরু হওয়া এই লাশের মিছিল দিন দিন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। গত এক মাসে দুর্বৃত্তদের হামলায় প্রাণ গেছে ৮ জনের, রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছে আরও ৪ জনের। প্রতিপক্ষের সংঘর্ষ ও হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। হত্যার উদ্দেশ্যে দুজনকে গুলি করা হয়েছে, ৫ জনকে কুপিয়ে ও আরও ৫ জনকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। 

এসব ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। বরং আতঙ্ক আরও বাড়ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত ১১ সেপ্টেম্বর খুলনা মহানগরের আট থানার ওসি বদল করা হলেও তার সুফল মেলেনি। হত্যাকা- ও সহিংসতার জন্য মাদককে দায়ী করা হলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক নেতারা। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের দাবি তুলেছেন তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেপ্টেম্বর মাসে রূপসা, দাকোপ, ফুলতলা, দৌলতপুরসহ মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় গুলি, কুপিয়ে ও গণপিটুনিতে এসব হত্যাকা- ঘটে। এর মধ্যে গৃহবধূ পারভীন বেগম, ইমরান হোসেন মানিক, রেখা রানী ম-ল, আলমগীর হোসেন রানা, মনোয়ারা বেগম সুপ্তিসহ বেশ কয়েকজন খুন হন। সবশেষ ৩০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে দৌলতপুরে নিজ ঘরে গুলি করে হত্যা করা হয় তানভীর হাসান শুভকে। একই সময়ে কাজীবাছা নদী, মহানগরের হোটেল, শিপইয়ার্ড ও দাকোপের খেয়াঘাট থেকে অজ্ঞাত চারজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ছাড়া সংঘর্ষ, বোমা হামলা, গুলি ও মারধরের ঘটনায় আহত হয়েছেন যুবদল নেতা মাসুদ হোসেনসহ ১২ জন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দাবি, অভ্যুত্থানের আগে মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ হতো নির্দিষ্ট একটি বাড়ি থেকে। গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে মাদক সিন্ডিকেট ভেঙে যায়। সন্ত্রাসীরা নানা দল, উপদলে বিভক্ত হয়ে পড়ে। মাদক বিক্রির নিয়ন্ত্রণ এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিনিয়ত সংঘাতে জড়াচ্ছে তারা। পাশাপাশি কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী ও কিশোর গ্যাং সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফলে দিন দিন অশান্ত হয়ে উঠেছে খুলনার জনপদ।

খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার বলেন, এসব অপরাধের পেছনে আধিপত্য বিস্তার, পূর্ববিরোধ, মাদকসংশ্লিষ্টতা ও রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ার বিষয়গুলো বড় ভূমিকা রাখছে। সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানের মাধ্যমে অপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। তিনি আরও বলেন, খুলনার পুলিশ প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে আনতে এখন চরমভাবে ব্যর্থ হচ্ছে। সাধারণ মানুষ হিসেবে এমন অবস্থা কাম্য নয়।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) মোহাম্মদ রাশিদুল ইসলাম খান বলেন, খুলনাঞ্চলে সবচেয়ে বড় সমস্যা মাদক। খুলনায় যতগুলো হত্যা বা হামলার ঘটনা ঘটেছে, তার বেশির ভাগের নেপথ্য কারণ মাদক। তবে এসব নিয়ন্ত্রণসহ আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে আমরা কাজ করে চলেছি।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!